পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (Dearness Allowance) পাওয়ার জন্য লড়ে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এ যেন এই দীর্ঘমেয়াদী লড়াই। সরকারি কর্মীদের দাবি, অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। সময়ের সঙ্গে তাঁদের ডিএ সংক্রান্ত আন্দোলন ক্রমশ বিস্তৃত হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখনো আশার আলো খুঁজছেন, কবে তাঁদের দাবি পূরণ হবে।
West Bengal Dearness Allowance Case
কিন্তু তাঁদের যেন অপেক্ষাই সার। বাংলার লাখ লাখ কর্মী যে ঘোষণা শোনার অপেক্ষায় রয়েছেন সেই ঘোষণা আদৌ কবে হবে তাই নিয়ে জোরদার জটিলতা। তবে এরই মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা পেলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই মুহূর্তে ঠিক কি জানা যাচ্ছে? সত্যিই কি তাঁরা কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা পেতে চলেছেন? সরকার কি কোন সিদ্ধান্ত নিল? ডিএ মামলার (DA Case) গতিপ্রকৃতি কী বলছে?
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কি জানানো হচ্ছে?
ইতিমধ্যে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী জানালেন, সোমবার দিন শীর্ষ আদালতে ডিএ মামলার শুনানি চলাকালীন সময়ে একটি ক্ল্যারিফিকেশনের দেওয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে আগামী দিনে যাতে ডিএ পাওয়ার পথ যাতে প্রশস্ত হয় তার জন্য।
মামলায় শীর্ষ আদালতের কাছে তুলে ধরা হয়েছে, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার অধিকার এসেছে সার্ভিস রুল থেকেই। যখনই যেমনভাবে সর্বভারতীয় মূল্যসূচক বাড়বে, সরকারি কর্মীদের সেরকমভাবেই ডিএ (Dearness Allowance) দিতে হবে। একথা বলে আদালতে সওয়াল করা হয়েছে।
আবার, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা অধিকার আসছে ‘ক্ল্যারিফিটরি নোট’ থেকে। যেগুলি জারি করে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দেওয়া হচ্ছিল, সেই সওয়ালেরও বিরোধিতা করা হয়েছে। এই নিয়েও তাঁরা সওয়াল করেছেন, ডিএ-এর অধিকার আসছে সার্ভিস রুল থেকেই।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা?
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের আহ্বায়ক দাবি তুলেছেন, সার্ভিস রুলে লেখা আছে, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মীদের অধিকার। ডিএ হল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের অংশ। তাই সর্বভারতীয় মূল্যসূচক মেনে ডিএ দেওয়ার বিষয়টি শুধু রোপা ২০০৯-র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। উল্টে রোপা ২০১৯-র ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে সেই নিয়ম। আর এই সমস্ত আলোচনার পর সরকারি কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ মেলার সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই আশা করা হচ্ছে।
উপসংহার
রাজ্য সরকার রোপা ২০১৯-তে (ষষ্ঠ বেতন কমিশন) ডিএ বিষয়টি তুলে দিয়েছে। সেটা নিয়ে ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ করা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে তাঁরা যে বিষয়টি নিয়ে সওয়াল করেছেন, তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠবে। তাঁরা আশাবাদী যে, মামলা তাঁরা জিতবেন। আগামী দিনে সরকারি কর্মীদের দাবি পূরণ হবে।