পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলাটি (DA Case Update) দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে চলছে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই ডিএ (Dearness Allowance) সংক্রান্ত মামলাটি সেটা পঞ্চম বেতন কমিশন সংক্রান্ত। সরকারি কর্মীরা নিজেদের দাবি তুলে ধরেছেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু বকেয়া ডিএ নিয়ে হাজারো টালবাহানা চলায় মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। বর্তমানে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ও রায়ের অপেক্ষায় সরকারি কর্মীরা (Government Employees).
WB Govt Employees DA Case Update
বকেয়া ডিএ মামলার সর্বশেষ শুনানির অর্ডার কপি অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মামলাটি এখন রায়ের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। শীর্ষ আদালত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আগামী দুসপ্তাহের মধ্যে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দিতে হবে।
তারপর কর্মচারী সংগঠনগুলো রাজ্য সরকারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব দাখিল করবে। আর এই প্রক্রিয়া শেষ হলে মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পথে আর কোনও বাধা থাকছে না। রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশাবাদী, তাঁরা এই মামলায় জিতবেন। বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে তাঁদের এতদিনের লড়াই সফল হবে।
ডিএ মামলার শুনানির আগের খবর
বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত শুনানির আগে কপিল সিব্বল রাজ্যের তরফ থেকে ৬২ পাতার লিখিত জবাব জমা করেছিলেন আদালতে। সেই সাবমিশনের দ্বারা নিজের অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। রাজ্য সরকারের তরফে মূলত দুটি যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে প্রথমত, রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো অনুযায়ী, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে কোনো ভাবেই আইনত বা সাংবিধানিকভাবে বাধ্য নয়।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের সুখবর। অর্থ দপ্তরের নতুন বিজ্ঞপ্তি
আর দ্বিতীয়ত, ভারতের আর্ধেক রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা দেয় না। তাই সুপ্রিম কোর্ট যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (DA) দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তাহলে বাকি রাজ্যগুলোর ওপরেও এর প্রভাব পড়বে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের একার সমস্যা ডিএ নয়, বরং সারা দেশের আরও অনেকগুলি রাজ্যেরও বিষয় এটি। কপিল সিব্বল বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিজেদের সাধ্য মতো ডিএ দিচ্ছে।
ডিএ মামলার শুনানিতে কি হল?
মহার্ঘ ভাতা মামলার চূড়ান্ত শুনানির পর রাজ্য সরকার কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিত বক্তব্য জমা করতে হবে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনকারী সরকারি কর্মীদের এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতেও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলায়। আজকের শুনানির আপডেট জেনে নিন
উপসংহার
সময় দেখলে বোঝা যাচ্ছে, লিখিত বক্তব্য জমা পড়ার পর শীর্ষ আদালতে দীপাবলির ছুটি শুরু হয়ে যাবে। আর সেই আবহে দীপাবলির ছুটির পরেই হয়তো সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার রায়দান হতে পারে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই লড়াই দীর্ঘদিনের। তাই এখন তাঁরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছেন।