PSC নিয়ে হতাশাজনক মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তবে কি এবার তদন্তের মুখে পিএসসি?

জানুন PSC নিয়ে ঠিক কি বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তার মন্তব্যে PSC পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে আক্ষেপের সুর স্পষ্ট। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এর তত্ত্বাবধানে নতুন শুনানি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের PSC অর্থাৎ পাবলিক সার্ভিস কমিশন এর দুর্দশা নিয়ে আক্ষেপ করলেন তিনি। তিনি নিজেও এই পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি চাকরি পেয়েছেন অতীতে। কিন্তু বর্তমান PSC নিয়োগের দুর্নীতিতে আফসোস করলেন বিচারপতি।

Advertisement

কি মন্তব্যে করেছেন বিচারপতি?
বিচারপতির বক্তব্য, ” এখন PSC এর অবস্থা দেখলে খারাপ লাগে। চোখের সামনে একটা সিস্টেম খারাপ হয়ে গেলো। আমিও এক সময় পিএসসি পরীক্ষা দিয়েই সরকারি চাকরি করেছি। আমি দুটো সরকারি চাকরি করেছি। কাউকে এক টাকাও দিতে হয়নি। তখন অত্যন্ত স্বচ্ছ ছিল।”

Dearness Allowance নিয়ে মিলল বড় খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এক ঘোষণায় পাল্টে গেলো সবকিছু।

বিচারপতির এই মন্তব্য যে নাম না করেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে ছুড়ে দেওয়া তা স্পষ্ট। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে এর মামলা সামলাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। তার তদারকি খোদ বিচারপতির তত্বাবধানে। তিনি আরও বলেছেন, ” পিএসসি-তে ২৮ নম্বর থেকে ৮২ নম্বর হয়ে গেল! ভাবা যায়? খুব খারাপ লাগে।’ পিএসসি এর নিয়োগদুর্দশা কে মোটেই সহজ ভাবে দেখছেন না তিনি। এখনকার ছাত্র ও শিক্ষক বিষয়ক পরিস্থিতি নিয়েও তাকে বেশ চিন্তিত দেখা গেলো।

রাজ্যের বেহাল পরিস্থিতিই কি এই দুর্দশার কারণ!?
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার এর কড়া আঙ্গুল তুলেছে কেন্দ্র সরকার। খোদ এডি এবং সিবিআই এই দুর্নীতির তদারক্ষি করছে। সেই বিচারে তৃণমূল কংগ্রেসের একের অধিক নেতা নেতৃবৃন্দ জেলে আটক রয়েছেন। কবে জামিন পাবেন সেটাও নির্দিষ্ট নয়। স্বয়ং শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আটক রয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই দল এবং মন্ত্রিসভা থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মামলা শুরু হয়ে গেছে। তাই বিচারপতির এই বক্তব্যে পরিস্থিতি আরও অর্থবহ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের ডিএ ও ইনক্রিমেন্ট বন্ধ। বকেয়া বেতন নিয়ে বিকাশ ভবন থেকে আপডেট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button