Birth Certificate – যাদের বার্থ সার্টিফিকেট নেই তারা অবশ্যই দেখুন। 1st অক্টোবর পর্যন্ত শেষ সুযোগ।
Birth Certificate – আপনার শিশুর কি বার্থ সার্টিফিকেট নেই? না থাকলে এই খবরটি অবশ্যই পড়ুন।
সরকার থেকে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) কে আধার কার্ডের মতন একটি প্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যক নথি হিসাবে পরিগনিত করা হলো। সেই আইন পাশ হলো এবার। যেটি কার্যকর করা হবে ২০২৩ এর ১ লা অক্টোবর থেকে। একটি শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার দেশের একজন নাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করার প্রথম ধাপ হলো এই বার্থ সার্টিফিকেট। শিশুর জন্মের পর সর্বপ্রথম সে রাষ্ট্রের থেকে নাগরিকত্বের আইনগত প্রমাণ পায় এই জন্ম নিবন্ধন পত্রের মাধ্যমে।
এটি শিশুটির নাগরিকত্ব অধিকার দিয়ে থাকে। সে তার নাম ও জাতীয়তার মাধ্যমে একটি পরিচিতি লাভ করে। তাই বার্থ সার্টিফিকেট একটি মূল্যবান নথি। সরকার থেকে তাই এই জন্ম মৃত্যু রেজিষ্টেশন কে আইনের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক করে দিলো। এটি কার্যকর করা হচ্ছে ২০২৩ ১ লা অক্টোবর থেকে।
ঘরে বসে মাত্র 5 মিনিটে বানিয়ে ফেলুন আপনার শিশুর আধার কার্ড, জেনে নিন সহজ পদ্ধতি।
সাধারণত একটি শিশুর জন্মের পরের ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে কাছের মিউনিসিপ্যালটি বা কর্পোরেশন থেকে এবং গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত অফিস থেকে এই সার্টিফিকেট (Birth Certificate) সংগ্রহ করতে হয়। এর জন্য সরকার থেকে ২০ টাকা ফিস ধার্য করেন। তাই আপনি যদি বার্থ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে হেলেফেলা করেন তাহলে এই বিষয় টি আপনার শিশুর জন্য অসুবিধার সৃষ্টি করবে ভবিষ্যতে।
এই আইন কার্যকর হওয়ার পর বিভিন্ন সরকারি কাজে আপনার শিশুর স্কুল ভর্তির সময় তথ্য যাচাই করতে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) নথি শিশুর জন্মের প্রমাণের একটি নথি। এবার থেকে এই জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এর ভূমিকা বাড়তে চলেছে । ১৩ই সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় সেখানে এই আইন পাশ করার কথা বলা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার ১লা অক্টোবর থেকে সেই আইন কার্যকর হবে বলে জানিয়ে দিল।
কেন বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) রেজিষ্টেশন প্রয়োজনঃ
আধার কার্ড যেমন প্রতিটি সরকারি কাজে আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য কে তুলে ধরে তেমনি বার্থ সার্টিফিকেট ও এবার থেকে জমা করলে একজনের জন্ম স্থান, তার পরিচিতি, তার অ্যাড্রেস এসব তথ্যের জন্য আলাদা কোনো ডকুমেন্ট শো করতে হবেনা। বার্থ সার্টিফিকেট ই হয়ে উঠবে সকল প্রমাণের একক ডকুমেন্ট।
এছাড়া স্কুল অ্যাডমিশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার তালিকা তৈরি, চাকরির অ্যাপয়েনমেন্ট, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন প্রভৃতি কাজে সুবিধার জন্য একটি দরকারি ডকুমেন্ট হিসাবে বিবেচিত হবে।এছাড়া এই আইনের মাধ্যমে একটি অনাথ বা পরিত্যক্ত শিশু কিংবা সারগেট শিশুর একদিকে যেমন তাদের জন্ম সংক্রান্ত ঝামেলা অথবা কোনো সিঙ্গেল মা বা বাবার তাদের শিশুর জন্ম সার্টিফিকেট রেজিষ্টেশন এর কাজটিকে সহজ করে তুলবে ।
বিশ্বকর্মা পুজা সোমবার। ছুটির লিস্টে আছে রোববার। তবে কি সোমবার ছুটি থাকবে?
বার্থ সার্টিফিকেট আইনের প্রয়োজন কেনঃ
সরকার এই বার্থ অ্যান্ড ডেট রেজিষ্টেশন আইন ২০২৩ কার্যকর করার একটি কারণ হলো রাজ্য ও জাতীয় স্তরে জন্ম ও মৃত্যুর একটি স্বচ্ছ ডেটাবেস তৈরি করা যাতে সামাজিক, জনসেবা ও ডিজিটাল কাজে সহজ ও সুবিধা হয়। এছাড়া নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে ও এই আইন অনেক কাজে লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আইন একটি শিশুর জন্মস্থান ও তারিখ প্রমাণের তথ্য হিসাবে কাজ করবে। তবে উল্লেখ্য ২০২৩ বা এর পর যারা জন্ম গ্রহণ করবে তাদের জন্য এই আইন কার্যকর হবে।
Written by Shampa Debnath