Cooking Oil Price বা ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কমলো, আমজনতার মুখে হাসি ফুটবে এবার, হটাৎ কেন কমলো তেলের দাম? বাঙালির খাবারে সর্ষের তেল দিয়ে হবেনা সেটা আবার হয় নাকি? যে কোনো ভাজাভুজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, ডিম বা সান্ধ্যকালীন খাবার প্রত্যেকটির জন্য তেল অনাবশ্যক জিনিস। শুধু বাঙালি খাবার নয় দক্ষিণ ভারতীয় বা উত্তর ভারতের খাবারে তেল একটি অত্যাবশ্যক জিনিস।
Cooking Oil Price Reduce.
দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত সবারই বাজারে গেলে পকেট শুন্য হয়ে ফিরতে হয়। শুধু মাসের মাল নয় সেই সাথে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার সমান অবস্থা। তারমধ্যে আবার শীতকাল পড়েই গেছে, আর শীতকাল মানে বেগুন ও টম্যাটো ভর্তা আর আর গরম গরম বেগুন ভাজা ছাড়া শীতকাল ভাবাই যায়না। তবে শীতকালের সবজি গাজর, বীট থেকে শুরু করে মটরশুটি প্রত্যেকটি জিনিস ও মুদিমালের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে সর্ষের তেলের দাম (Cooking Oil Price) বাড়বে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।
কিন্ত হটাৎ করেই সর্ষের তেলের দাম (Cooking Oil Price) অনেকটাই কমেছে। সর্ষের তেল ছাড়াও সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার অয়েল এগুলোর দাম ও তুলনামূলকভাবে অনেক কম রয়েছে। কিন্ত কোনো এত কমলো তেলের দাম? জানা যাচ্ছে, এই বছর সর্ষের ফলন খুব ভালো হয়েছে। আর সর্ষের তেল উৎপাদন হয় সর্ষের বীজ থেকে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এইজন্য সর্ষের তেলের দাম অনেকটাই কমেছে।
তবে এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় সর্ষে বীজের পরিমাণ কম কিন্ত মানুষের চাহিদা বেশি থাকায় অনেকটাই কমে ছেড়ে দিচ্ছে ব্যাবসায়ীরা। অন্য দিকে সয়াবিন অয়েল, পাম অয়েল, সানফ্লাওয়ার অয়েল এ গুলো সাধারণত বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। শোনা যাচ্ছে, একাধিক বন্দর থেকে অনেক কম দামে ভোজ্য তেল (Cooking Oil Price) আমদানিকারীরা বেচে দিচ্ছেন।
জানা যাচ্ছে, তেল ব্যাবসায়ীদের অনেক ঋণ থাকায় তারা কম দামে আমদানি করা তেল (Cooking Oil Price) বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। নিজেরা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য কম দামে আমদানি করা তেল বাজারে ছেড়ে দিচ্ছেন। আর এই জন্যই এত কম হয়েছে তেলের দাম। সর্ষে, বাদাম, সানফ্লাওয়ার যে গুলো থেকে তেল উৎপন্ন হয় সে গুলোর মূল্য কমে বিক্রি হচ্ছে।
গতবছর ২.৭ লাখ হেক্টর জমিতে তৈলবীজ চাষ হয়েছিল। সেটা এবার এসে দাড়িয়েছে ১.৮০ লাখ হেক্টর। অর্থাৎ চাষের জমি ও কমে গিয়েছে। সূর্যমূখীর চাষও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবার ৪১,০০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। এবার সেটা কমিয়ে ৩৭,০০০ হেক্টর জমিতে করা হয়েছে। তবে ভোজ্য তেলের চাহিদা আবার ১০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে এবার। যদিও চাষের জমি নেই, বা অন্যান্য অসুবিধা থাকলেও চাহিদা বাড়ায় ভোজ্য তেলের দাম (Cooking Oil Price) কিছুটা কমেছে।
এছাড়া তেল ছাড়াও যেটা খুবই গুরত্বপূর্ণ খাদ্য ঘি-এর দাম প্রতি টিন ১৭৮৫ থেকে ১৮৯৫ কমে গিয়েছে। সর্ষের দামও প্রতি কুইন্টাল ৫৬৫০ থেকে ৫৭০০ হয়ে গিয়েছে। সর্ষের দাদ্রি তেলও ২৫০ টাকা কমে প্রতি কুইন্টালে ১০,৫০০ টাকা হয়েছে। ১৫ কেজির টিন হিসাবে সর্ষের পাক্কির দাম ১৭৮৫-১৮৮০ টাকা আর কাচ্চি ঘানির তেল ১৭৮৫-১৮৯৫ প্রতি টিন। সোয়াবিন দিল্লি, সোয়াবিন ইন্দোর আর সোয়াবিন দেগাম তেলের দাম (Mustard Cooking Oil Price) যথাক্রমে প্রতি কুইন্টাল ১০,৪০০,১০,২০০ ও ৮৮৫০ টাকা করে।
পশ্চিমবঙ্গের বকেয়া DA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় কতটা খুশি সরকারি কর্মীরা।
দাম শুনে সাধারণ মানুষের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটবে। কারণ বাজার গেলেই প্রত্যেক ব্যক্তির মাথায় টাকার চিন্তা ঘোরে। আর অনেক টাকা নিয়ে গেলেও দেখা যায় কিছু টাকা ফেরে বাজার থেকে। এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে প্রত্যেক জিনিসের দাম। তাই কোনো একটা বা দুটো জিনিসের দাম কমলেও সেটা সাধারণ মানুষের কাছে অনেকটাই স্বস্তির বিষয়। সারা শীতকাল জুড়েই আর ভাজাভুজি থেকে ভর্তা হোক সব কিছুতেই সর্ষের তেল (Cooking Oil Price) ব্যবহারে কোনো কৃপণতা থাকবেনা বলেই মনে করা যায়।
Written by Shampa Debnath.