Dearness Allowance – দশম বারেও হল না মীমাংসা! পিছিয়ে গেলো DA মামলার শুনানি। ফের শুরু তারিখ পে তারিখ খেলা।

Dearness Allowance – আবারও ছন্দপতন, পিছিয়ে গেলো DA মামলার শুনানি।

পরপর ১০ বার এই নিয়ে, সুপ্রিমকোর্টে শুনানির দিনক্ষণ স্থির হয়েও বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে Dearness Allowance মামলার শুনানি। এর আগের অনেকগুলো ডেট পেরিয়ে অনেক আশা নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীগণ বসে ছিলেন পূজার পরে এই ৩ নভেম্বর ডেট নিয়ে। কিন্ত সে আশাও সফল হলনা। আবার পিছিয়ে গেলো শুনানির দিন।

আজ শুক্রবার আদালতে সওয়াল-জবাব পর্বে রাজ্যের তরফে একজন বড়ো আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি আদালতে বলেন, পূর্বে আদালত জানিয়েছিল, বিস্তারিত শুনানির জন্য অন্য কোনও দিন ঠিক করা হবে। তাই অন্য কোনও দিন এই মামলার শুনানি হোক।

শিয়ালদহ মেইন লাইনে আজকে বিকাল থেকে বন্ধ সব ধরনের ট্রেন পরিষেবা। চরম ভগান্তিতে অফিস ফেরত নিত্য যাত্রীরা।

অন্যদিকে রাজ্যের আইনজীবীর বিরোধিতা করে পাল্টা জবাব দেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম জানান, বারংবার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। এই শুনানির জন্য কোনও একটা নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া হোক। বিজেপির কর্মচারী সংগঠন সরকারি কর্মচারী পরিষদের আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিও একই বক্তব্য রেখেছেন।

অবশেষে সুপ্রিমকোর্ট থেকে বিচার বিবেচনা করে শুনানির দিন আবারও পিছিয়ে দেওয়া হলো। নেক্সট শুনানি হবে ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ নাগাদ। আজ কোর্টে বিচারপতি হিসাবে ছিলেন বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের Dearness Allowance মামলাটি উঠেছিল।

প্রায় একবছর হতে চললো রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness Allowance) বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের সাথে একটা ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিবেশ চলছে। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের এই নিয়ে বছরে দুবার মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা হলো সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ তাদেরও কেন্দ্রের হারে মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এই নিয়ে মিছিল মিটিং শহীদ মিনারের পাদদেশে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেই চলেছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এদের বিক্ষোভ বা অভিযোগে রাজ্য সরকারের মুখে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। সরকারের একটাই কথা রাজকোষ পর্যাপ্ত অর্থ নেই যেটা দিয়ে বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি করা যায়।

এরপর রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মামলা করে প্রথম ২০১৬ সালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইনবুনালে মামলা করা হয় তারপর আবার আগের বছর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। প্রায় একবছর হতে চললো। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। তারপর ২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে।

এরপর এই রায় পুনরায় বিবেচনার জন্য আর্জি জানায় রাজ্য। তবে হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া DA না মেটানোয় রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য। তারপর থেকে একাধিকবার মামলাটি উঠলেও শুনানি হয়নি।

জানা যাচ্ছে এই নিয়ে ১০ বার শুনানির দিন ঠিক হয়েও বারংবার খারিজ হয়েছে। অনেক আশা নিয়ে বসেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ও পেনশনারগণ। আজ ৩ নভেম্বর ফের সুপ্রিমকোর্টে শুনানির তারিখ ছিল। আজও ক্যানসেল হয়ে গেলো শুনানি।

কিন্ত আশা বাস্তবে রূপ এবারও পেলনা। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভাবনা ছিল পূজার মধ্যে Dearness Allowance বৃদ্ধি না করলে তারা আরও বড়ো প্রতিবাদে নামবে। কিন্ত Dearness Allowance মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় তাদের এখন বর্তমান ভাবনা কি হতে চলেছে বা তারা এখন কি করবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হবে ভেবেও শেষ না হয় আগামী ফেব্রুয়ারি অবধি সেই প্রহর গোনা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।
Written by Shampa Debnath.

সোনার দামে বিরাট পতন। আপনার শহরে রূপো ও সোনার দাম কত জেনে নিন।

Leave a Comment