Die in Harness – পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরাট সুখবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্য সরকারের কর্মচারী যদি তার কর্মরত অবস্থায় কোন কারণে অকাল প্রয়াণ ঘটে কিংবা কোন দুর্ঘটনায় অক্ষম হয়ে পড়লে সরকারি নিয়ম বা Die in Harness অনুযায়ী সেই পরিবারের যেকোনো একজন সদস্যকে কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু জানা যাচ্ছে বিগত কিছু বছর ধরে কয়েকজন সরকারি কর্মীর পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা বলছেন তাদের বাড়ির কর্মরত কর্মীর মৃত্যুর পরেও পরিবারের সদস্যর চাকরি পেতে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে।

Die in Harness Job Rules in West Bengal

সরকারি দপ্তরে ঘুরে ঘুরে তাদের এক প্রকার হতাশা এসে গিয়েছে। এছাড়া বহু প্রার্থীর আবেদনে ত্রুটি থাকায় আবেদন পত্র গণ্য করা হচ্ছে না। এমনই অনেক দিন অপেক্ষা করার পরে কিছু ব্যক্তি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা যদিও বছরের বছর ধরে শুনানি চলছে। কিন্তু কোন সিদ্ধান্তে আসা হচ্ছে না। বুধবার পঞ্চায়েত দফতরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন (Die in Harness). সেগুলি হল,

১) এখন থেকে পঞ্চায়েত দফতরের কোনও সরকারি কর্মচারীর অকালমৃত্যু তথা Die in Harness হলে বা দুর্ঘটনা কিংবা অসুস্থতার কারণে অক্ষম হয়ে পড়লে পঞ্চায়েত দফতরই নিজের থেকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
২) আবেদনপত্রের ত্রুটিজনিত সমস্যার কারণে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য চাকরি পাচ্ছেন না। তাই কোন সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর দু’বছরের মধ্যে (সর্বোচ্চ সময়সীমা) তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের চাকরির আবেদনের জন্য গাইড করে দিতে হবে। অর্থাৎ কোন অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে, কি কি নথিপত্র লাগবে, কিভাবে আবেদন পত্র লিখতে হবে প্রত্যেকটি প্রক্রিয়া যথোপযুক্ত ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।

৩) আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে মৃতের পরিবারকে একটি রিসি’ কপি দিতে হবে। এছাড়া আবেদন করার জন্য যদি কোনও নথিপত্রের প্রয়োজন হয়, তার ব্যবস্থা করতেও সাহায্য করবে পঞ্চায়েত দফতরকে। এ ব্যাপারে দফতরের একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিতে হবে।
৪) আবেদন জমা পড়ার ৩০ দিনের মধ্যে তা কার্যকরী করে ফেলতে হবে (Die in Harness).

আরও পড়ুন, মাস শুরু হতে না হতে সুখবর সরকারি কর্মীদের আবারও বাড়তে চলেছে ডিএ, কত শতাংশ?

তবে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত দপ্তরের কর্মীদের জন্যই শুধু এই নিয়ম নয়, রাজ্য সরকারের যে কোন দপ্তরেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এইরকম নির্দেশে সরকারি কর্মীর পরিবার গুলো অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছেন। নাহলে এতদিন কোনো পরিবারের সরকারি কর্মী অকাল প্রয়াণে এমনিতেই সেই পরিবারের সদস্যদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকত না (Die in Harness).

তারমধ্যে সেই মৃত ব্যক্তির চাকরি কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে উঠত। এবার থেকে সেই অবস্থার অনেকটাই উন্নতি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমস্ত দরকারি কাজের বা অন্যান খবর আপনি সবার আগে আমাদের কাছ থেকে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন (Die in Harness).
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment