Heat Wave – তীব্র গরমে মর্নিং স্কুলের সিদ্ধান্ত, সরকারী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ।
Heat Wave – খুলেছে স্কুল, কিন্তু তীব্র গরমে কি স্কুল চলবে? কি জানা যাচ্ছে?
স্কুল খুলতেই শুরু হয়েছে আরেক (Heat Wave) সমস্যা। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ১৫ ই জুন বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি দীর্ঘ ৪৫ দিনের গরমের ছুটি কাটিয়ে ফের খুলে গিয়েছে। শুরু হয়েছে অফলাইনে ক্লাস। পঠন পাঠন চালু হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু গরমের তীব্রতা যে এতোটুকু কমেনি। আর তার জন্যই পড়ুয়ারা যথেষ্ট কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে। বহু পড়ুয়ার মধ্যে অসুস্থতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এই তীব্র গরমের (Heat Wave) মধ্যে স্কুলে গিয়ে ক্লাস করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তীব্র দাবদাহের কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরমের ছুটি এগিয়ে এনে ২ মে থেকে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্য সরকার গরমের ছুটি আগে থেকেই সমস্ত স্কুলগুলিতে ঘোষণা করে দেয়। পরবর্তীতে ৫ জুন থেকে স্কুল খোলার কথা থাকলেও ফের মুখ্যমন্ত্রী গরমের ছুটি আরো বেশ কিছুদিন বাড়িয়ে ১৪ই জুন পর্যন্ত করে দেন।
বেড়ে গেল আধার আপডেট লিঙ্ক এর সময়সীমা, সঠিক তারিখ ও উপায় জেনে নিন।
তার প্রধান কারণ, সেই সময়ে তীব্র গরম (Heat Wave) চলছিল রাজ্য জুড়ে। স্কুলে যাতে পড়ুয়ারা অসুবিধার মধ্যে না পড়ে, তাই রাজ্য সরকার ১৪ই জুন পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দিয়ে ১৫ ই জুন বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলগুলি খোলার নির্দেশিকা জারি করে। এবার স্কুল যখন খুলেছে তখনও গরম এতটুকুও কমেনি। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিকর পরিবেশ চলছে। যার ফলে ঘেমেনেয়ে একাকার মানুষ।
পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর তাই এই পরিস্থিতিতে হাওড়া জেলার তরফে সেই জেলার সমস্ত প্রাইমারি এবং জুনিয়র বেসিক স্কুলের ডে সেশন (Primary School and Junior Basic School Morning Session in Howrah District) বদল করে মর্নিং সেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাওড়া জেলার প্রাইমারি স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা প্রাথমিক কাউন্সিলের কাছে এই তীব্র গরমের জন্য ক্লাস করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন জানান। তারপরেই মর্নিং সেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি ও প্রকাশিত হয়েছে।
কিন্তু যে সমস্ত স্কুলে প্রাইমারি, জুনিয়র এর সঙ্গে হাইস্কুল রয়েছে সেক্ষেত্রে একটা সমস্যা (Heat Wave) তৈরি হয়েছে। যেহেতু প্রাইমারি এবং জুনিয়র বেসিক স্কুলগুলি মর্নিং সেশনে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাই এই সমস্যার সূত্রপাত। তবে সেক্ষেত্রে স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। অভিভাবকদের জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠানোর সময় জলের বোতলসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যাতে শিশুর শরীর রিহাইড্রেট থাকে, সেই দিকে নজর দিতে হবে। পাশাপাশি, স্কুলগুলিতেও পানীয় জলের পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য দুর্দান্ত সুখবর, স্কুল খুলতেই পেলেই বহু প্রতীক্ষিত সুখবরটি।
বর্তমানে দক্ষিনবঙ্গের আবহাওয়া ও তাপমাত্রা ৪০ এর আশেপাশে থাকলেও সহ্য ক্ষমতা বা (Feels Like Temperature 50 Degree এর উপ্রে রয়েছে। তবে হাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গিয়েছে, এক্ষুনি ঝড় বৃষ্টির কোনো আশঙ্কা না থাকলেও বজ্রবিদ্যুত বা বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হয়ে আকস্মিক ঝড় বৃষ্টির সমভাবনা রয়েছে। আর সেই বিষয়েও একটা সতর্কতা জানানো হয়েছে। এবং ১৮ই জুন রবিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টির একটা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ওই সময় থেকেই রাজ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গে রীতিমতো বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেখানকার আবহাওয়া আর অস্বস্তিকর নেই। দক্ষিণবঙ্গেও হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী যদি ১৮ তারিখ থেকে বর্ষা শুরু হয়, তাহলে এখানকার পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।