TET Case – প্রাইমারী ও হাইস্কুল শিক্ষকদের আদালতের নয়া নির্দেশ, ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতি আটকে যাবে।

TET Case – 2011 সালের আগে নিযুক্ত শিক্ষকদের নিয়ে নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট, জানুন বিস্তারিত।

শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পাশ করা বাধ্যতামূলক। অবশ্য এই পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির একাধিক তথ্য এইমধ্যেই উঠে এসেছে। এই নিয়ে মামলার (TET Case) নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। এর মাঝেই 2011 সালের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নয়া আপডেট মিলল। তবে এ রাজ্যে নয়, মাদ্রাজ হাইকোর্ট শিক্ষক নিয়োগে টেট পরীক্ষায় পাশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলো।

Advertisement

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মাদ্রাজ হাইকোর্ট সম্প্রতি জানায়, 29 জুলাই, 2011 সালের আগে মাধ্যমিক গ্রেড শিক্ষক বা স্নাতক শিক্ষক/ বিটি সহকারী হিসাবে নিয়োগ হয়েছেন এমন শিক্ষকেরা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ন না হলেও চাকরি চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে বিশেষত একটি ক্ষেত্রে টেট পাশ করা থাকতে হবে।

Advertisement

বিচারপতি আর মহাদেবন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শফিকের ডিভিশন বেঞ্চে এই নিয়ে মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে।
আদালতের (TET Case) নির্দেশ অনুসারে, 29 জুলাই, 2011 সালের আগে নিয়োজিত শিক্ষকেরা টেট পাশ না করলেও চাকরি করতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। তবে শিক্ষকদের পদন্নতি নিয়েও স্পষ্ট জানানো হয়েছে।

PNB ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেই কেল্লাফতে! আবেদন করলেই পাবেন নগদ 50000 টাকা।

আসলে চাকরির ক্ষেত্রে পদন্নতির আশা সকলেই করে থাকেন। কিন্তু টেট পাশ না করলে পদন্নতি কী আটকে যাবে? তা আদালতের রায়ে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
এর আগেই অবশ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE) 29 জুলাই, 2011 সালের শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধন করে, ন্যূনতম যোগ্যতার অধীনে TET পাশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন বিচারপতি আর মহাদেবন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শফিকের ডিভিশন বেঞ্চে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, টেট পাশ না করলে শিক্ষকের পদোন্নতি (TET Case) আটকাবে কিনা। এ নিয়ে নির্দেশ প্রদানের সময় আদালত স্কুল শিক্ষা দফতরের জারি করা একটি সরকারী আদেশকে বাতিল করে দেয়। তাতে বলা ছিল, সহকারী শিক্ষকপদে সরাসরি নিয়োগের জন্য টেট পাশ বাধ্যতামূলক। তবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে নয়। যদিও আদালতের নির্দেশ, 29 জুলাই, 2011-এরপর শিক্ষক পদে নিযুক্ত হতে হলে টেট পাশ বাধ্যতামূলক। সেটা সরাসরি নিয়োগ বা পদোন্নতির মাধ্যমে হোক না কেন।

আসলে আদালতের (TET Case) তরফে বিবেচনা করা হয়েছিল, 2011 সালের আগেও প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষক এমন রয়েছেন, যারা টেট উত্তীর্ন নন। তাই টেট পাশ বাধ্যতামূলক করা হলে তাদের কর্মজীবন সংকটে পড়তে পারে। এর প্রভাব শিক্ষক সমাজেও পড়তে পারে।

2014, 2017, 2022 সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা, নতুন করে টেট সার্টিফিকেট Download করবেন কিভাবে?

তাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, 29 জুলাই, 2011 এর আগে নিয়োজিত শিক্ষকদের টেট পাশ না করলেও চাকরি জীবনে তাদের কোন সমস্যা হবে না। কেবলমাত্র পদন্নতির ক্ষেত্রে বা প্রধান শিক্ষক পদে নিযুক্ত হতে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে টেট পাশ করতে হবে।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

One Comment

  1. কি হবে এতোগুলো লোকের চাকরি খেয়ে ? এতো দিন ধরে চাকরি করে এরা ছাত্রদের ও পরিদর্শক দলের মধ্যে সরগড় হয়ে গেছেন। তাছাড়া অভিজ্ঞতা ও হয়েছে। অনেকেই এই চাকরির ভরসায় বিয়ে থা করেছেন, ব্যাঙ্কলোন নিয়েছেন । চাকরি গেলে সমাজব্যাবস্থায় কি প্রভাব পড়বে সেটা চিন্তা করার বিষয় । আশাকরি বিকল্প কিছু ভাবার সময় এসেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button