বেড়াতে যাওয়া হোক বাণিজ্য যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে অনেকেরই প্রথম পছন্দ রেলপথ। এতে যাতায়াত ভাড়াও কম এবং যাওয়া যায় আরামে এবং কম সময়ে। এছাড়াও যদি আপনি দূরপাল্লার কোথাও ঘুরতে চান অনেকে মিলে সেই ক্ষেত্রে আপনারা একসাথে রেল পথে যেতে পারেন। শুধুমাত্র ঘুরতে যাওয়া নয় নিত্যদিনের যাতায়াত বহন হিসেবে অনেকেই অফিস বা ব্যবসার কাজ, রোজের যাতায়াত মাধ্যম হিসাবে রেলপথ ব্যবহার করে থাকেন।
ট্রেনের সম্পর্কে এই ধরণের তথ্য দেওয়া হল এই পোস্টে।
আমাদের ভারতে একদিনে প্রায় কয়েক কোটি মানুষ রেলপথ ব্যবহার করেন। প্রায় 7325 টি স্টেশনে প্রায় 13,169 প্যাসেঞ্জার ট্রেন প্রত্যেকদিন ভারতে চলে। এটা কি আপনারা যারা রোজ রেলপথ ব্যবহার করেন তারা জানতেন? এরকম আরো কিছু তথ্য জানতে পারলে আপনার চোখ কপালে উঠবে।
আমাদের মোটামুটি সবার কাছেই স্কুটি বা পাই থেকেই থাকে। কাছাকাছি বা কোথাও ঘুরতে গেলে পরে আমরা এগুলি ব্যবহার করে থাকি আপনার বাইকের মাইলেজ অনুযায়ী বাইকে তেল প্রয়োজন হয়। তাহলে একবার ভেবে দেখুন তো এই রেলগুলি এত প্যাসেঞ্জার নিয়ে এত দুর দুর পর্যন্ত যাতায়াত করে তবে এই ট্রেন গুলির কত ডিজেল লাগে?
ট্রেনের মাইলেজ কত হয়। সাধারণত গাড়ি, বাইক বা স্কুটি কেনার সময় এই জিনিসগুলি দেখেনি। অনেকেই আছেন যারা বিমানের সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তারা বিমানের তা জানেন কিন্তু যেই রেলপথ রোজ ব্যবহার করছে্ন সেই রাইলের ব্যাপারে আমার আপনার জানা অবশ্যই দরকার।সাধারণত লোকাল ট্রেন গুলি ইলেক্ট্রিকের মাধ্যমে চলে ফলে পরিবেশ দূষণ ও কম হয় এবং একসাথে অনেক মানুষ যাতায়াত করতে পারে।
ফলে খরচ অনেক কম হয়। আবার কিছু জায়গায় ইলেকট্রিকের মাধ্যমে প্যাসেঞ্জার রেল গুলি চলে না। সেগুলি চলে ডিজেলের মাধ্যমে। ১২ কোচের একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ক্ষেত্রে এক কিলোমিটার যেতে ছ লিটার ডিজেল খরচ হয়। অপরদিকে যেই কোচের সংখ্যা বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি তখন একটি ট্রেনের জ্বালানির প্রয়োজন হয় বেশি।
এটা স্বাভাবিক যখন কার্য বাড়ে তখন জ্বালানিরা প্রয়োজন হয় বেশি। ১২ কোচের একটি এক্সপেক্স রেল এক কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ৪ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে কোচের সংখ্যার সাথে রেলের স্পিড এবং বহন ক্ষমতা নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে মালগাড়ি মালগাড়িতে ৮ থেকে ১০ লিটার তেল প্রয়োজন হয়।