রাজ্য সরকার ইতি মধ্যেই মানুষের উপকারের জন্য নানা ধরনের প্রকল্প নিয়ে হাজির হয়েছে। এরই মধ্যে অন্যতম হল ওয়েসিস স্কলারশিপ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর উদ্যোগে সমাজের নানা স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ভাতার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তফসিলি জন জাতির ছাত্র-ছাত্রী দের পড়াশুনায় যাতে কোন বাধা না পরে তার জন্য সরকারের প্রচেষ্টায় ওয়েসিস স্কলারশিপের সুযোগ নিয়ে এসেছে।
এই স্কলারশিপ পেতে হলে কী কী করনীয়, জানতে হলে পড়ুন বিস্তারিত।
পড়াশুনাকে আরও সহজ করে তোলার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্যে বসবাসকারী সকল তফসিলি, ওবিসি সম্প্রদায়ের সকল পড়ুয়ারা অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হয়ে নবম শ্রেণিতে পদার্পণ করলে এই ওয়েসিস স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও যেই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবে মাত্র উত্তীর্ণ হয়েছে তারাও এই আবেদনের যোগ্য বলে জানিয়েছে সরকার।
বেশ কিছু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মত অনুসারে কিছু দিন আগে পর্যন্ত এই প্রকল্পের ওয়েবসাইটে অসুবিধার জন্য অনেকেই এই আবেদন ঠিক করে করতে পারেনি। এই বিষয়টি সামনে আসতেই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর আগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ৩০’শে নভেম্বর এর মধ্যে স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশে পরিবর্তন করে সময়সীমা ১৫’ই জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি সকলে।
এই নির্দেশ ওয়েসিস স্কলারশিপের ওয়েবসাইটে সকল আবেদনকারীর উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে রাজ্য সরকারের আরও বক্তব্য যেই সকল ছাত্র-ছাত্রীরা রাজ্যের বাইরে গিয়ে পড়াশুনা করছেন তারাও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সকল শিক্ষার্থীরা যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজেদের পড়াশুনা করছেন সেই প্রতিষ্ঠান গুলিকে এই সকল বিবরণ নিজের জেলার PO-CUM-DWO অফিসে গিয়ে জানাতে হবে।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আবেদনের সময় নিজের জেলার নাম আবশ্যিক ভাবে উল্লেখ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই প্রকল্পে আবেদন ছাড়াও কিভাবে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে এই নিয়েও অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে সকলের মধ্যে। যারা এর আগে আবেদন করেছিলের তারা মুলত পড়েছেন চিন্তায়। কারন আবেদনের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ার জন্য অনুদান পেতেও সময় লাগবে বলে মনে করছে অনেকে।
পরিবারের আয় একটু কম হলেই পড়াশোনার সব খরচ দিচ্ছে ষ্টেট ব্যাংক, আবেদন করলেই পাবে এই স্কলারশিপ।
কিন্তু রাজ্য সরকারের স্পষ্ট বার্তা সময় সীমা বাড়ানোর সাথে বৃত্তি পাওয়ার কোন যোগাযোগ নেই। এর আগে স্বামী বিবেকানন্দ বৃত্তি প্রকল্পের সময়ও এই ধরনের চিন্তা সকলের মনে এসেছিল। সরকারের বার্তা জেলা স্তরের ভেরিফিকেশান সম্পন্ন হয়ে গেলেই সকলে অনুদান পেয়ে যাবে। এই প্রকল্প নিয়ে আরও আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। নিজের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।