একজন ব্যক্তি যতই উপার্জন করুন কোনো ব্যক্তির অর্থ (How To Become Rich) কখনো বেশি হয়না। মানুষ চায় আরও ইনকাম করতে। কিন্ত মাসিক ইনকাম থেকে ব্যাংকে টাকা জমিয়ে সুদের টাকায় বড়লোক হতে কখনোই পারা যায়না। কিন্ত প্রত্যেকটা ব্যক্তির স্বপ্ন থাকে উচ্চ। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন কিছু উপায় বলবো যাতে খুব দ্রুত আপনি ধনী হতে পারবেন। তবুও যারা সরকারি জব করেন চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর পেনশন পেয়ে থাকেন।
How To Become Rich by Following this Tips
সেই টাকাও একটা সময় পর ফুরিয়ে আসতে থাকে। কিন্ত যারা সরকারি জব করেন না তাদের বৃদ্ধ বয়সে (How To Become Rich) কিভাবে চলবে সেটা ভেবেই পায়না। তাই আপনি কর্মঠ থাকাকালীন যদি টাকা জমিয়ে বড়লোক হতে না পারেন ভবিষ্যতে আপনারই কষ্ট হবে। আজকের প্রতিবেদনে এমন একটা উপায় বলা হবে যে পদ্ধতিতে টাকা জমিয়ে খুব অল্প সময়ে ধনী হতে পারবেন।
সবচেয়ে আগে দেখতে হবে আপনার মাসিক ইনকাম কত? সেই বুঝে হিসেব করে সংসার চালাতে হবে ও আনুষঙ্গিক খরচ করতে হবে। বেহিসেবী খরচ করলে আপনার টাকা জমবে না উল্টো বেশি খরচ হয়ে যাবে। তাই হিসেব করে চলতে শিখুন। টাকা আছে বলেই খরচ করে ফেলা নয় (How To Become Rich).
আপনি যে টাকা রোজগার করুন মাসের শুরুতে একবারের সংসারের যাবতীয় খরচ হিসাব করে লিস্ট করে নিন। এরপর ভাগ ভাগ করে প্রতি ক্ষেত্রের জন্য টাকা রাখুন। কোনো খুব দরকার ছাড়া আর কোনো টাকা তুলবেন না। খরচের প্রথম ধাপে রাখুন বেসিক জিনিসগুলো। যেমন – খাবার, বাড়ি ভাড়া যদি থাকে, কোনো ঋণ থাকলে, শিশুর পড়াশুনা ফি, অফিসের যাতায়াতের খরচ।
নিজের ব্যবসা করতে টাকা দিচ্ছে সরকার। আজই MSME লোনের আবেদন করে, ব্যবসায়িক ঋণ নিন।
আয়ের ৪০ শতাংশ এখানে খরচ করার চেষ্টা করুন এরপর কিছু টাকা রেখে দিন আপদকালীন সময়ে জন্য যেমন আচমকা শারীরিক অসুস্থতা টাকা দরকার পড়তে পারে। ১০ শতাংশ তার জন্য রেখে দিন। এরপর ২০ শতাংশ টাকা রাখুন বিনোদনের জন্য যেমন শপিং, ঘুরতে যাওয়া, বাইরে খাওয়া, সিনেমা দেখা এইসবের জন্য (How To Become Rich).
এরপর আপনি যদি কোথাও লোন নিয়ে থাকেন তার জন্য ২০ শতাংশ রাখুন। নিজের ওজন বুঝেই লোন নিন। যেটা এই মাসিক ২০ শতাংশের মধ্যে শোধ করতে পারবেন। আর বাকি যে ১০ শতাংশ রইলো সেটা কোনো ব্যাংকে ফিক্সড করুন। যার থেকে উচ্চ সুদ পাবেন (How To Become Rich).
মোটা টাকা পাবেন স্টেট ব্যাংক গ্রাহকরা। কোন গ্যারান্টির দরকার নেই!
আপনি যে টাকাই উপার্জন করুন না কেন এভাবে মাসের প্রথম হিসাব করে লিস্ট করে নিলে সঠিক খাতে সঠিক খরচ হবে। আর হাতেও টাকা থাকবে যেটা ফিক্সড করলে আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকবে। বয়সকালে বাড়িতে বসেই খেয়ে দেয়ে ভালোভাবেই কাটিয়ে দিতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে হিসেব করে খরচ করুন আপনার কোনোদিনও অভাব হবেনা বরং ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়বে।
Written by Shampa Debnath.