মানবিক প্রকল্পে প্রতি মাসে 1000 টাকা দিচ্ছে মমতা, নাম লেখাতে এখানে ক্লিক করুন।
মানবিক প্রকল্প গত ১লা এপ্রিলে সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের সকল বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য মাসিক ভাতা প্রদানের জন্য এই প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষের বেশি নাগরিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা করে বার্ষিক ১২ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের তরফে করা হবে।
মানবিক প্রকল্পে আবেদন করতে জানুন বিস্তারিত।
মানবিক প্রকল্পর অধীনে শুধুমাত্র বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকরা আবেদন করতে পারবে। অনেক সময় দেখা যায় শারীরিকভাবে কমজোর হওয়ার কারণে কাজ করতে অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু এখন এই প্রকল্পের অধীনে মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতার মাধ্যমে, রাজ্যের সকল বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের এই ভাতা প্রদান করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ২৪০ – ২৫০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই আলোচনাতে আমরা মানবিক প্রকল্পে আবেদনের পদ্ধতি, যোগ্যতা ও নথিপত্র নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা কি আদৌ পাওয়া যাবে এই মাসে? কি জানালো সরকার, দেখুন।
মানবিক প্রকল্পে আবেদন করার শর্ত ও যোগ্যতাঃ-
১. আবেদনকারীকে মূলরূপে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা হতে হবে।
২. ৪০% বিশেষভাবে সক্ষমরাই এই আবেদন করতে পারবে।
৩. আবেদনকারীর পারিবারিক আয় ১ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
৪. কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আগে যদি কোন ভাতার সুবিধা পেয়ে থাকেন, তাহলে আবেদন করা যাবে না।
৫. বিশেষভাবে সক্ষম এর প্রমানপত্র আপনার কাছে থাকতে হবে।
মানবিক প্রকল্পে আবেদনের প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
১. আবেদনকারীর আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
২. প্রয়োজন হলে ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ডের প্রয়োজন হতে পারে।
৩. নিজের নামে ব্যাংকের অ্যাকাউণ্ট থাকতে হবে।
৪. পরিবারের আয়ের প্রমানপত্র থাকতে হবে।
৫. আবেদনকারীর বসবাসের প্রমানপত্র দিতে হবে।
মানবিক প্রকল্পে আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিনঃ-
১. এই আবেদন সম্পূর্ণরূপে অফলাইনেই করতে হবে।
২. পঞ্চায়েত এলাকায় বসবাসকারিরা BDO অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হবে এবং পৌরসভা অঞ্চলে বসবাসকারীরা নিজেদের মহকুমা দফতরে গিয়ে আবেদন জানাতে হবে।
৩. এছাড়াও রাজ্য সরকারের উদ্যোগে “দুয়ারে সরকার” এর ক্যাম্পে গিয়েও এর আবেদন করা যাবে।
মানবিক প্রকল্পে আবেদনের অফলাইন ফর্ম কিভাবে ফিল করবেনঃ-
১. বিডিও বা মহকুমা অফিসে গিয়ে এই ফর্ম আপনাকে গ্রহণ করতে হবে।
২. এই ফর্মে আপনার নিজের নাম, অভিভাবকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর।
৩. আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড নাম্বার। জাতিগত শংসাপত্র থাকলে তার আই – ডি নম্বর। নিজের ই – মেল আই ডি থাকলে প্রদান করতে হবে।
৪. নির্ভুলভাবে ফর্ম ফিল আপ করতে হবে।
৫. পূর্বে আলোচিত সকল নথির সঙ্গে এই ফর্মটি নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।