বদলে গেলো লক্ষ্মীর ভান্ডারের আগের সব নিয়ম, নতুন নিয়মে সবাই মাসে পাবেন 1000 টাকা।
আবার কবে থেকে চালু হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের নতুন আবেদন প্রক্রিয়া জানুন।
বেশ কয়েক মাস ধরে চলে আসছে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলাদের জন্য এই প্রকল্প চালু করেছে। এর দৌলতে প্রতিমাসে বাড়ির মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি ৫০০ টাকা ও ১ হাজার টাকা করে চলে আসে। এই প্রকল্পে আবেদন করলেই রাজ্যের প্রতিটি মহিলার সুবিধা পাবেন। কিভাবে আবেদন করবেন? কি কি ডকুমেন্টস লাগবে? এইসব প্রশ্নের উত্তর আজকের প্রতিবেদনে পেয়ে যাবেন।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার নিয়মাবলী :-
১. এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২. এই প্রকল্পে কেবলমাত্র মহিলারাই আবেদন করতে পারবেন।
৩. আবেদনকারী মহিলার বয়স হতে হবে ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
৪. আবেদনকারী মহিলা সরকারি চাকরি করলে হবে না।
৫. আবেদনকারী মহিলার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
৬. আবেদনকারী মহিলার আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
৭. আবেদনকারী মহিলার রেশন কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।
৮. আবেদনকারী মহিলা নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট ঠিক থাকতে হবে।
সরকারি কর্মচারীদের ছুটির তালিকায় বড়সড় বদল! এবার থেকে সবাই পাবেন সবেতন 2 বছর ছুটি।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি :-
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কেবলমাত্র অফলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। এখনো পর্যন্ত অনলাইনে এপ্লাই করা শুরু হয়নি। আবেদন করতে নিজের নিকটবর্তী দোয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করে, তা ফিলাপ করতে হবে। এরপর উপযুক্ত ডকুমেন্টস সহ ওই ক্যাম্পেই জমা করতে হবে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে প্রাপ্ত টাকার পরিমান :-
এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতি পরিবারের মহিলারা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পান। অর্থাৎ বার্ষিক ১২ হাজার টাকা করে পেয়ে যান। আর অন্যান্য সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা করে পান। অর্থাৎ বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে তাদের একাউন্টে চলে আসে।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা দেওয়ার সময়কাল :-
প্রতি মাসে এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের একাউন্টে টাকা ঢুকে যায়। সাধারণত প্রতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই টাকা ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে যায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের জন্য ব্যাংক একাউন্ট এর সাথে আধার কার্ডের নম্বর লিংক থাকতে হবে।