বাংলার কৃষকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকার চালু করেছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme). এই স্কিমে রাজ্যবাসী কৃষকেরা পাবেন ১০,০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা। আর তার সঙ্গে কৃষকদের ২ লাখ টাকার বীমা সুবিধাও দেবে সরকার। যারা আবেদন করবেন, সুবিধা তাঁরাই পাবেন। আর দেরি না করে এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন (Krishak Bandhu Scheme).
Krishak Bandhu Scheme In West Bengal
বঙ্গবাসী কৃষকদের আর্থিক অবস্থা উন্নত করার।স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক বন্ধু (Krishak Bandhu) প্রকল্প চালু করেছেন। আর এই প্রকল্পের দ্বারা লাখ লাখ কৃষক উপকৃত। যারা কৃষক বন্ধু স্কিমে আবেদন জমা করেছেন এবং সুবিধা পেয়েছেন, তাঁরা জানেন দুটি কিস্তিতে সেই কৃষকদের ব্যাংক একাউন্টে এই টাকা ক্রেডিট হয়ে যায়। আর কিষানদের স্বার্থে ২ লাখ টাকার বীমার বন্দোবস্তও করেছে সরকার (Krishak Bandhu Scheme).
কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করার উদ্দেশ্য
- রাজ্যের কৃষকদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা এবং তাঁদের আর্থিকভাবে মজবুত করে তোলা এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য।
- এছাড়াও রাজ্যের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলা অন্যতম উদ্দেশ্য।
- বছরের বিভিন্ন ঋতুতে কৃষকদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হয়।
- কোন কৃষকের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবার সরকারি তরফে আর্থিকভাবে সহায়তা পান।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা
বাংলার কৃষকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে চালু হওয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme) বর্তমানে লাখ লাখ কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যেমন পিএম কিষাণ (PM Kisan) প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন ঠিক তেমন ভাবেই রাজ্যে পরিচালিত হচ্ছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প। এই প্রকল্পে উপকৃত হন বৈধ বর্গাদার ও কৃষকরা। সামান্য একটু জমি থাকলেও টাকা দেয় সরকার। দশ হাজার টাকা অ্যাকাউন্টে ঢোকে রাজ্যবাসী কৃষকদের।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের যোগ্যতা
- রাজ্যের কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে হলে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
- আবেদনকারী প্রার্থীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- একজন জমির মালিক ছাড়াও বৈধ বর্গাদারেরা এই প্রকল্পের সহায়তা পাবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি
এই প্রকল্পের (Government Scheme) জন্য আবেদন জানাতে হলে আপনি অনলাইনে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করে নিজের অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে পারেন। এছাড়া কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) আবেদন গ্রহণ চলাকালীন কৃষকেরা স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস অথবা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে গিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তারপর সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে তারপর অ্যাপ্লিকেশন জমা করতে পারবেন।
আপনি আপনার মানি স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন অফিসিয়াল সাইট থেকে। এছাড়াও এই প্রকল্পের আবেদন সংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাবেন এই প্রকল্পেরই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
উপসংহার
ইতিমধ্যে ২০২৫ সালের খারিফ মরশুমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা পাঠানো হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, খারিফ মরশুমের জন্য মোট ২,৯৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্রকল্পের দ্বারা সহায়তা পেয়েছেন প্রায় ১.০৯ কোটি কৃষক ও বর্গাদার। আগামী দিনে আরো কৃষকের কাছে সাহায্য পৌঁছবে বলে আশাবাদী সরকার।