Lok Sabha Election 2024 – এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির মোক্ষম চাল। বাংলায় কটা আসন পাবে? সারা ভারতে কত?

সামনেই লোকসভা নির্বাচন তথা Lok Sabha Election 2024. আর কিছুদিনের অপেক্ষা। বিভিন্ন দলের নেতাদের এইসময় ব্যস্ততা তুঙ্গে।
কে জিতবে এবারের লোকসভা নির্বাচন (लोकसभा चुनाव 2024) সেই নিয়ে সাধারণ মানুষের জল্পনার শেষ নেই। অন্যদিকে দলের মধ্য চিন্তার রেশ তো থেকেই যায় সেইসাথে ভোট প্রচার মিটিং মিছিল। এদিকে বাংলার বিজেপি প্রার্থীদের নামের অধিকাংশ লিস্ট প্রকাশিত হয়েই গেছে।

Lok Sabha Election 2024 BJP Seats

প্রথম ও ২য় ধাপ মিলিয়ে মোট ৩৯টি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে BJP. আরও ৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়া বাকি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলা ও সারা ভারতে কি ফলে পেতে পারে, সেই নিয়ে আজকের প্রতিবেদন। যদিও ভটের ফলাফল কি হবে, তা বিচার করবেন জনতা জনার্দন। এবং সেই প্রতিফলন আগামী ৪ই জুন প্রকাশ পাবে। তবে তার আগে বিভিন্ন সমীকরণ ও জনমতে যা জানা গেছে সেই নিয়ে আলোকপাত করা হলো।

Interview of Amit Shah

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন Lok Sabha Election এ বাংলায় কটা আসন জিততে পারে বিজেপি? এককথায় কোনো কিছু না ভেবেই অমিত শাহ সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন যে বিজেপি গোটা দেশে ৩৭০ এবং এনডিএ ৪০০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হবে।

অমিত শাহ জোর গলায় এটাও বলেন এবার বাংলা, ওড়িশা, তেলাঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবে ভালো ফলাফল করবে বিজেপি। উল্লেখ্য, গতবার ৩০৩টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে সেই আসনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এমনই দাবি রাজনৈতিক দলনেতার।

আগের বারের চেয়ে আরও ৭০ টি বেশি আসন পাওয়ার আশা রাখছে এই দলের নেতারা। অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কথা বললে বলেন, “এবার লোকসভায় বাংলা থেকেই ২৫ এর বেশি আসন পাবে বিজেপি। প্রতি লোকসভা ভোটে ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে বিজেপি আসন।”

“২০১৭ সালে বিধানসভায় বিজেপি আসন ২ জন ছিল, সেখান থেকে ৭৭ হয়েছে। আসন্ন লোকসভা ভোটে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। বিরোধী দল তৃণমূলকে নিয়ে অমিত শাহ বলেন বাংলার শাসকদল যেভাবে দুর্নীতি করে চলেছেন তার শেষের সময় এসে গেছে।

বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি সেটা চাকরি, শিক্ষা, রেশন, কয়লা চুরি সবকিছুর সাধারণ মানুষের সামনে আসতে থাকায় সাধারণ মানুষের চোখ খুলে গেছে। এদিকে কেন্দ্রের কোনো সুযোগ বাংলার মধ্যে আসতে না দেওয়ার কারণ যাতে বাংলার তার প্রভাব এসে যাক।”

CAA Factor

এককথায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেও জানেন এবার লোকসভায় (Lok Sabha Election 2024) তার দিকে কি হতে চলেছে। তাই CAA এর বিষয়ে মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। কারণ তিনি শুধু ভোট চান, কিন্ত সাধারণ জনগণের কোনো সুরাহা করার জন্য তিনি লোকসভায় জিততে চান না। এই প্রকৃত সত্যি কথাটা সাধারণ মানুষের বোধগম্য হয়ে গিয়েছে।

Recruitment Scam Factor

বিশেষ করে সাধারণ জনগণ বিশেষ কিছু কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত। কারণ কোনো চাকরি নেই বাংলায়। চাকরি পরীক্ষা হলেও কোনো নিয়োগ নেই। শিক্ষকরা পথে বসে আন্দোলন করছে। সরকারি কর্মীরা DA বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করছে। এছাড়া অন্যান্য আন্দোলন তো আছেই।

SandeshKhali Factor

এরপর যেটা মুখ্য বিষয় সন্দেশখালি! এই সন্দেশখালিতে যেভাবে মা বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যে অমিত শাহ নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন – যে মা-বোনরা ভোট দিয়ে তৃণমূলের সরকার গড়েছে, তাদের ওপর দলেরই নেতারা অত্যাচার চালাচ্ছেন। আর অন্যায়কারী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তবুও তাদের ধরা হচ্ছে না। শেষে হাই কোর্টের নির্দেশের পর ধরা হয়। তাই বাংলার মা বোনেরা মুখ্যমন্ত্রী আসল রূপ দেখে নিয়েছেন যখন তখন তার দিকে আশা না থাকাই স্বাভাবিক। এবারের আসন্ন লোকসভায় বিজিপি সব আসনে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করবে এটাই আশা করেন অমিত শাহ সহ বিজেপি দলনেতারা।
(উপরোক্ত বক্তব্য মাননীয় অমিত সাহের উক্তি। কোট আনকোট তুলে ধরা হয়েছে)

বাংলায় প্রার্থী বাছাইয়ে বিজেপির মোক্ষম চাল

দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা বাছাইয়ে বঙ্গ বিজেপি দেরী করায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন, যে বিজেপি প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না। আর সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২য় তালিকায় কার্যত মোক্ষম চাল দিলো BJP. প্রথমত বসিরহাট কেন্দ্রে যেখানে গত ৪ টার্ম ধরে তৃণমূল একাধিপত্ত বিস্তার করে আছে, সেখানে কার্যত রেখা পাত্র (Rekha Patra BJP) কে প্রার্থী করে সন্দেশখালী ইস্যু শুধু বসিরহাট কেন্দ্রেই নয়, সারা বাংলায় এক তুরুপের তাস হিসাবে খেলে দিলো। যদিও প্রার্থী ঘোষণার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, সাধারণ ঘরের মেয়ে কিভাবে লোকসভা ভোট এ লড়বে। আর প্রধানমন্ত্রীর ৯ মিনিটের একটি ফোন তাকে রাজনীতির লাইম লাইটে এনে দিয়েছে। এবার তিনি জিতবেন কিনা সেটা সময় বলবে। কিন্তু শুধু বসিরহাট ই নয় বরং সারা বাংলায় ভোটে এই ইস্যু প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

Ration Card বা রেশন কার্ড

দ্বিতিয়ত কৃষ্ণনগরের রানীমা অমৃতা রায় (Amrita Roy) কে প্রার্থী করে বিজেপি আরেকটি বাউন্সার ছুড়ে দিলো। একাধিক মামলায় জর্জরিত বহিষ্কৃত সাংসদের জেতা কেন্দ্রে এবার সাধারণ প্রার্থী ঘোষণা করায়, লড়াইটা একদম সাধারণ হবে না।
অন্যদিকে জাস্টিস গাঙ্গুলী (Justice Ganguly) বনাম দেবাংশুর খেলাটা একেবারে খেলা হবে বললেও ভুল হবে। অন্যদিকে কলকাতায় খারাপ ফল করা কেন্দ্র গুলোতে সদ্য তৃণমূল ছাড়া তাপস রায় ও উত্তর বঙ্গের সাংসদ তথা মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী কে প্রার্থী করে সেখান থেকে আসন তুলে নেওয়ার হাই রিস্ক কিছুটা হলেও ভালো ফল এনে দেবে।

আরও পড়ুন, প্রতিমাসে 1000 টাকা ইনভেস্ট করুন আর পেয়ে যান 35 লাখ টাকা রিটার্ন।

এদিকে অর্জুন সিংহ (Arjun Singh BJP) কে প্রার্থী করে শুধু ব্যারাকপুর ই নয়, বরং দমদম থেকে কল্যানী সারা শিল্পাঞ্চল ই বিজেপির একটা পজিটিভ হাওয়া বজায় থাকবে। দিকে দিলীপ ঘোষ ও মতুয়া কবি গায়ক অসীম সরকার কে বর্ধমানে প্রার্থী করায় একদিকে মতুয়া ভোট অন্যদিকে সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বর্ধমান, মালদা ও মুর্শিদাবাদে। সুতরাং এবারের প্রার্থী বাছাইয়ে একজন প্রার্থীর জন্য প্রভাবিত হবে একাধিক কেন্দ্র।

আরও পড়ুন, প্রতিমাসে পাবেন 3000 টাকা করে। আবেদন করুন এই প্রকল্পে।

আর যে সমস্ত কেন্দ্রে বিজেপির পাওয়ার কথা নয়, সেই সমস্ত কেন্দ্রে রাজনীতির বাইরের প্রার্থী দিয়ে বরং বিরোধীদের থেকে সেই আসনের দুই একটা আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ও চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বিরোধীদের। অন্যদিকে বাংলার সেনাপতি অভিষেকের গড় ডায়মন্ড হারবারে এখনো প্রার্থী না দিয়ে টেনশন জিইয়ে রাখলো বঙ্গ বিজেপি। এবার ফলাফল কি হয় সেটা দেখার বিষয়।
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment