তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প – রাজ্যের ছাত্র ছাত্রীরা পাবে নগদ 10000 টাকা, কবে দেবে জেনে নিন।

রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য সুখবর, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শীঘ্রই মিলবে 10000 টাকা।

রাজ্যের পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে একাধিক প্রকল্প। যার মধ্যে, তরুণের স্বপ্ন, লক্ষ্মীর ভান্ডার ইত্যাদি প্রকল্প অন্যতম। এতে আবেদনের মাধ্যমে বাড়ির গৃহবধূ থেকে নির্দিষ্ট বয়সসীমার অধীন মহিলারা পেয়ে থাকেন বার্ষিক 6,000 টাকা থেকে 12,000 টাকা। বর্তমানে এই প্রকল্পে আবেদনের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। তাছাড়া পড়ুয়াদের জন্যও চালু করা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রকল্প। যার নাম সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী ইত্যাদি প্রকল্প। আজকে এই প্রতিবেদনে যে প্রকল্প সম্পর্কে জানানো হবে, তার মাধ্যমে পড়ুয়ারা পাবেন 10,000 টাকা।

প্রকল্পের নামঃ ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্প।
বর্তমানে অভাবের তাড়নায় কিংবা অন্যান্য সমস্যার কারণে বহু পড়ুয়া পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। তাই তাদের পড়াশোনা চালাতে যাতে সমস্যা না হয়, সেকথা মাথায় রেখে চালু করা হয়েছে তরুণের স্বপ্ন নামে এই প্রকল্প। এর মাধ্যমে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পাবেন স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্য 10,000 টাকা। প্রসঙ্গত, শিক্ষা সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য থেকে শুরু করে ক্লাস, অনলাইনে নেওয়া সম্ভব। সুইচ দিক থেকে সুবিধা দিতেই এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের।

রাজ্যের সকল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, 2024 এর আগে লাখেরও বেশি শূন্যপদে নিয়োগ, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর।

তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা কবে দেবে?

চলতি মাসে 1 মাসের উপরে গরমের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এখনও অনেক স্কুল পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণও আগামী বছর এগিয়ে আনা হয়েছে। বহু পরীক্ষার্থী টাকার অভাবে স্মার্টফোন কিনতে পারেন না। আবার স্কুল ছুটিও। এই অবস্থায় পড়াশোনা চালাতে সমস্যা হয় তাদের। স্মার্টফোন কেনার টাকা সরকারের তরফে দেওয়া হলেও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার কিছুদিন আগে সেই টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে এসে ঢোকে। এই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।

তাদের মতে, টেস্ট পরীক্ষার পর কিছুদিন সময় থাকে। এরপর শুরু হয়ে যায় পরীক্ষা। তাই ট্যাব কেনার টাকা খুব একটা কাজে আসে না পড়ুয়াদের। সরকার যদি আরও কিছু সময় আগে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা পাঠায়, তাহলে তাদের সুবিধা হবে শিক্ষার ক্ষেত্রে।

তার উপর স্কুল ছুটির তালিকা অনুযায়ী দেওয়া হয় ছুটি। সেই ছুটিগুলিও কমানো সম্ভব নয়। বরং সেই সময় পড়ুয়াদের কাছে যদি ট্যাব বা স্মার্টফোন থাকে, তাহলে অনলাইন ক্লাস করাতে সুবিধা হবে, দাবি শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জেলায় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া জারি থাকবে। তাই দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার টাকা ঢোকার সম্ভাবনা খুব কম। তবে শিক্ষা মহলের এ দাবি যুক্তিযুক্ত বলে মেনে নিয়েছেন রাজ্য সরকারের একাংশ। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছর কিছুটা আগে হলেও ট্যাবের টাকা পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
শিক্ষা ও প্রকল্প সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

সরকারি কর্মীদের জোড়া খুশি, জুলাইতে স্যালারি ইনক্রিমেন্ট, আগস্টে ডিএ ঘোষণা।

Leave a Comment