Salary Release – রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেতন নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিলো মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছিলেন মাসের ১ তারিখেই Salary Release বা বেতন পাবেন মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। কথা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির বেতন পেয়েও গিয়েছেন শিক্ষকরা। কিন্তু ফেব্রুয়ারির মাসপূর্ণ হলেও এখনও বেতন পাননি বেশ কয়েকটি জেলার মাদ্রাসার শিক্ষকরা। মাসপূর্ণ হয়েও বেতন না মেলায় চরম সমস্যায় পড়েছেন বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। কিছু জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
WB Madrasas All Teachers Salary Release
এই নিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার মাদ্রাসা শিক্ষক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “মাসের ৫ তারিখের মধ্যে ক্রেডিট কার্ডের বিল জমা করতে হয়। কিন্তু এখনও Salary Release বা বেতন না ঢোকায় সমস্যায় পড়েছি।” হুগলি জেলার একটি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওবায়দুর রহমান মল্লিকের বক্তব্য, “আমাদের মধ্যে অনেকেই লোন নিয়ে বাড়ি-ঘর তৈরি করেছেন।
ফলে লোন একাউন্টে মাসের নির্দিষ্ট দিনে টাকা জমা না করলে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। তাছাড়া ২৯ শে ফেব্রুয়ারি অনেক স্কুল সহ মাদ্রাসার Salary Release বা বেতন হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখনও বেতন হয়নি।” আমাদের ক্ষেত্রে কেনো বঞ্চনা প্রশ্ন তুলেছেন ওবায়দুর রহমান মল্লিক। এবিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সমিতির রাজ্য সম্পাদক আলি হোসেন মিদ্যা জানান, “ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন প্রায় সর্বত্রই হয়েছে।
রাজ্যের অধিকাংশ জেলার মাদ্রাসাতেও Salary Release বা বেতন হওয়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু বর্ধমান, নদীয়া, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া , বাঁকুড়া, হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বা জেলার কিছু অংশে এখনও পর্যন্ত মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীরা বেতন না পাননি। আমরা চাই দ্রুত আমাদের বেতন দেওয়া হোক।”
সরকারি কর্মচারীদের 25 লাখ টাকা গ্র্যাচুইটি ছাড়াও আরও কিছু ভাতার বাড়ানো হচ্ছে।
সূত্রের খবর এ বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি। তবে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। এরপরই শোনা যায় অবশেষে ফেব্রুয়ারির ৬ তারিখে মাদ্রাসা গুলিতে Salary Release বা বেতন হয়েছে।
সেই আবহে খুশির হাওয়া পশ্চিমবঙ্গের মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের মধ্যে। তবে ঠিক কি কারণে দেরি হয়েছিল সেই বিষয়ে জানা যায়নি। বেতন হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে খুশি শিক্ষকরা। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন জানান, “রাজ্যের সব মাদ্রাসার শিক্ষক- শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের Salary Release বা বেতন সম্পন্ন হয়ে গেছে।
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা তৃণমূল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এর রাজ্য সভাপতি এ কে এম ফারহাদ জানান, “বর্ধমান, নদীয়া,দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া , বাঁকুড়া ও হুগলি সহ বেশ কয়েকটি জেলায় বা জেলার কিছু অংশে বেতন হতে দেরি হয়েছিল। সমস্যা মিটে গেছে।আমরা খুশি। বেতন আটকে যাওয়ায় মাসের খরচ থেকে শুরু করে যাবতীয় বিল এর খরচ চালাতে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছিল কিন্ত সেই জট খুলে অবশেষে বেতন হওয়ায় খুবই খুশি মাদ্রাসার শিক্ষিকারা।
Written by Shampa Debnath.