OBC Scholarship: ছাত্রছাত্রীরা পাবেন কড়কড়ে 48,000 টাকা। ওবিসি স্কলারশিপে আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু হয়েছে নতুন ওবিসি স্কলারশিপ (OBC Scholarship). বিশেষ করে ওবিসি শ্রেণীভুক্ত পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপ স্কিমে জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর আবেদন করলেই ৪৮০০০ টাকা ক্রেডিট হবে আপনার অ্যাকাউন্টে। কি ভাবছেন? কিভাবে এপ্লিকেশন করবেন? আসুন বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।

OBC Scholarship 2025

শিক্ষার ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কট বহু প্রতিভাবান পড়ুয়াকে মাঝপথে থামিয়ে দেয়। সেই বাধা দূর করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চালু করল ওবিসি স্কলারশিপ। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, ওবিসি শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করা এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়ানো।

OBC Scholarship Amount

এই স্কিমের আওতায় শিক্ষার্থীরা তাদের স্তর অনুযায়ী আর্থিক সহায়তা পাবেন। মাধ্যমিক স্তরে বছরে প্রায় ₹১২,০০০, উচ্চমাধ্যমিকে ₹১৮,০০০, স্নাতক স্তরে সর্বোচ্চ ₹৪৫,০০০ এবং স্নাতকোত্তরে প্রায় ₹৪৮,০০০ টাকা পর্যন্ত মিলবে। অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে, যাতে ফি, বই, হোস্টেল খরচ বা অন্যান্য প্রয়োজন সহজেই মেটানো যায়।

OBC Scholarship Eligibility

আবেদনের জন্য কিছু শর্তও রাখা হয়েছে।

  • আবেদনকারীর অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক ও পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
  • বৈধ ওবিসি সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • পরিবারের বার্ষিক আয় ₹২.৫ লক্ষের কম হতে হবে।
  • সর্বশেষ পরীক্ষায় অন্তত ৬০% নম্বর পাওয়া বাধ্যতামূলক।
  • নিয়মিত কোর্সের ছাত্রছাত্রীরাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন: সারা দেশের যুবক যুবতীদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নতুন প্রকল্প। ১০ এপ্রিলের মধ্যে আবেদন করুন।

OBC Scholarship Application Process

আবেদন প্রক্রিয়াটি হয় সম্পূর্ণ অনলাইনে।

  • শিক্ষার্থীদের OASIS পোর্টালে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে হবে।
  • আধার কার্ড, মার্কশিট, ব্যাঙ্ক পাসবুক এবং ইনস্টিটিউশনের প্রমাণপত্র আবশ্যক।
  • আবেদন সফল হলে প্রার্থীরা রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও পাসওয়ার্ড পাবেন, যার মাধ্যমে অগ্রগতি ট্র্যাক করা যাবে।

আরও পড়ুন: ছাত্র ছাত্রীদের ১০ লাখ টাকা শিক্ষা ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী যোজনা পোর্টালে কিভাবে আবেদন করবেন?

উপসংহার

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প ওবিসি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গড়তে সাহায্য করবে। পড়াশোনার চাপ কমবে, অন্যদিকে সমাজে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। গ্রামীণ এলাকা থেকে শহর পর্যন্ত বহু পড়ুয়া এই সুযোগে উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সময়মতো টাকা পৌঁছনো এবং স্বচ্ছতা বজায় থাকলে, এই বৃত্তি প্রকল্পটি হয়ে উঠতে পারে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভরসা।