সম্প্রতি সামনে এসেছে নতুন নির্দেশিকা। যার ফলে রীতিমতো প্রশ্ন উঠে গিয়েছে (Retirement Benefits) শিক্ষক মহলে। নির্দেশিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে স্বেচ্ছাবসরের ক্ষেত্রে সরাসরি পর্ষদের কাছে আবেদন করা যাবে না। রাজ্যে রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল। এই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষক প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা যদি স্বেচ্ছাবসর নিতে চান তাহলে আবেদন করতে হবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের মধ্যে দিয়ে। যদি স্বেচ্ছাবসরের কোনও আবেদন সরাসরি মধ্যশিক্ষা পরিষদের কাছে পৌঁছায় তাহলে তা কোনওভাবেই গ্রাহ্য করা হবে না। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পর্ষদের নতুন নির্দেশিকায়।
WB School Teachers Retirement Benefits
পর্ষদের নতুন নির্দেশিকা কী বলা হয়েছে?
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নতুন নিয়ম অর্থাৎ নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী (Retirement Benefits) দেখা যাচ্ছে যদি কোন ধরণের ইস্তফা দেওয়া বা স্বেচ্ছাবসরের আবেদন করতে কেউ ইচ্ছুক হন তাহলে স্কুলের কাছে সবচেয়ে আগে আবেদন জানাতে হয়। স্কুল পরিচালন সমিতির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি আলোচনা করতে হতো। এরপরই পুরো বিষয়টি পৌঁছে যাবে জেলা পরিদর্শকের কাছে।
এরপর নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট প্রসিডিওর মেনে জেলা পরিদর্শকের কাছ থেকে সমস্ত কিছু পৌঁছে যাবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। সম্প্রতি ফুটে উঠেছে এক অন্যরকম চিত্র। এই নিয়ম না মেনে অনেকেই সরাসরি আবেদন করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, জানা যাচ্ছে সেই আবেদনের সংখ্যা অনেকটাই বেশি (Retirement Benefits).
তাই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়েছে। ২০১৮ সালের আগে অবধি শিক্ষা দপ্তরের কাছেই এই আবেদন জমা পড়ত। পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী এখন পর্ষদ নিয়োগকর্তা, তাই শিক্ষকরা সম্ভবত সেখানেই তাদের আবেদন (Retirement Benefits) পাঠিয়ে ফেলছেন। অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে ভিআরএস এ যে ধরণের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে তা এক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।
তাই শিক্ষকদের অনেকের বক্তব্য এই প্রক্রিয়াকে স্বেচ্ছাবসর না বলে বরং প্রাক-অবসর (Retirement Benefits) তকমা দেওয়াই ভালো। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি-র দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদারের এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এই বিজ্ঞপ্তির মধ্যে নতুন কিছু নেই। শুধু আবেদনের পদ্ধতিগত সামান্য পরিবর্তন হয়েছে।
শিক্ষকদের জন্য সুখবর! একসঙ্গে 2 মাসের বেতন একাউন্টে ঢুকছে নববর্ষের আগেই।
অন্যান্য চাকরির ক্ষেত্রে ভিআরএস বা স্বেচ্ছাবসরের যে সুযোগ সুবিধাগুলি আছে তা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের যাতে দেওয়া হয় আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি।” এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে ৬০ বছর অবসর গ্রহণের (Retirement Benefits) পরের দিন থেকে হিসাব করে আরো সাত বছর অর্থাৎ ৬৭ বছর বয়সে মধ্যে যদি মৃত্যু হয় তাহলে বাকি এই সময়টুকুর জন্য তার পরিবারের লোকেরা পুরো পেনশন পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে যদি কেউ 55 বছর বয়সেই স্বেচ্ছাবাসর নিয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রে সময়সীমা ৬২ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকবে। বাকি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা যদিও একই থাকছে। জানা যাচ্ছে, বিগত প্রায় আট বছর ধরে রাজ্যের কোনও মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে (Retirement Benefits) নতুন করে শিক্ষক নেওয়া হয়নি।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত! DA আবহে নতুন নির্দেশিকা জারি হল।
এমন সময় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকরা সময় এর আগে যদি অবসর নিতে চান তাহলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাবে এমনটাই মনে করছেন শিক্ষক মহলের অনেকে। পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “বর্তমানে রাজ্যে স্কুলগুলিতে কোন নিয়োগ হচ্ছে না। এই অবস্থায় স্বেচ্ছাবসর নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। তা হলে কি পক্ষান্তরে বলতে চাইছেন যে স্কুলগুলি আরও ফাঁকা হয়ে যাক।”