TET – প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ মামলার নয়া মোড়, 68 নম্বর পেলেই হবে চাকরি? জানুন কি জানালো আদালত।

TET – নিয়োগ সংক্রান্ত কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

শিক্ষক নিয়োগ (TET) প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি। একের পর এক তথ্যের প্রকাশ ঘটছে। এখনও পর্যন্ত এই দুর্নীতির জট পুরোপুরি না খুললেও, ধীরে ধীরে তা অবশ্যই বের করা সহজ হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে। দুর্নীতির জেরে একাধিক অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি হয়েছিল। এতে যোগ্য প্রার্থীদের দাবি ছিল, অবিলম্বে তাদের চাকরিতে নিয়োগ করা হোক। সম্প্রতি টেট পরীক্ষায় পাশ নম্বর নিয়ে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিলো দুই বিচারপতির মধ্যে। এবার নিয়োগ সংক্রান্ত আরো একটি নয়া তথ্য নির্দেশ সামনে এলো। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই নজিরবিহীন নির্দেশ দিলেন।

Advertisement

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, একজন চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ জানান, তিনি ইন্টারভিউ দিলেও প্রাথমিক শিক্ষক পদে এখনও তাকে নিয়োগ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগ নিয়েই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা করেন মামলাকারী।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (TET) তথ্য অনুসারে, ওই প্রার্থী টেট ফেল করেছেন। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় কম নম্বর পেয়েছেন তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে প্রার্থীর আসল ওএমআর শিট এখনও তুলে ধরতে পারেনি পর্ষদ।
ঠিক কত নম্বর পেয়েছেন?

Advertisement

রাইমারী টেট নিয়ে ফের মামলা, আবার মহা বিপাকে 32000 বাতিল শিক্ষক।

মামলাকারী মহুয়া খাতুন কোর্টে চাকরি দেওয়ার দাবি নিয়ে মামলা করেন। তার দাবি, ২০২০ সালে ১৬৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল। তিনি ইন্টারভিউ দেওয়া সত্বেও চাকরি পাননি।
তিনি পর্ষদের কাছে RTI ফাইল করার পর জানানো হয়, টেট পাশের জন্য একজন সংরক্ষিত প্রার্থীর পেতে হবে ৮২ নম্বর। কিন্তু ওই প্রার্থী পেয়েছেন ৬২ নম্বর। প্রশ্ন ভুলের বিষয়টি যোগ করা হলে অর্থাৎ আরো ৬ নম্বর যোগ করলেও ৮২ নম্বর হচ্ছে না।


এ নিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, বেনিফিট অফ ডাউট হিসেবে চাকরি দেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আরো জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় ওই চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছিল। তাই ধরা যায়, ওই প্রার্থী টেট (TET) পাশ করেছেন। অর্থাৎ প্রার্থী ইন্টারভিউ দিয়েছেন, তাই বেনিফিট অফ ডাউট হিসেবে ধরা যাবে টেট পাশ করেছেন। আর চাকরিতে নিয়োগ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।

বর্তমানে যে ডেটার উপর ভিত্তি করে এই তথ্যগুলি দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি সবই ডিজিটাল ডেটা। কোর্ট এখনও এই মান্যতা দেয়নি। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই ডিটেগুলি সঠিক তা কোর্ট বা পর্ষদ বলতে পারে না। সেক্ষেত্রে বেনিফিট অফ ডাউট হিসেবে চাকরি (TET) দেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এ নিয়ে পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা প্রশ্ন করেন, পর্ষদের ওই ডিজিটাল ডেটার উপর ভিত্তি করেই বর্তমানে বহু প্রার্থী চাকরি করছেন। প্রশ্ন ভুল মামলায়ও ডিজিটাল ডেটার উপর ভিত্তি করেই পর্ষদ পাশ হিসেবে গণ্য করেছে। সেই সমস্ত চাকরির ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডেটাকে মান্যতা দেওয়া হলে এক্ষেত্রে কেন তা করা হচ্ছে না?

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারী কর্মীদের 3% ইনক্রিমেন্ট ঘোষণা, কার কত বেতন বাড়লো হিসাব দেখে নিন।

যদিও আদালতের তরফে পর্ষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই প্রার্থীকে বেনিফিট অফ ডাউট হিসেবে চাকরি দেওয়ার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি টেট পাশের জন্য ৮২ না ৮৩ নম্বর পেতে হবে? এ নিয়ে মামলা গিয়েছে তৃতীয় বিচারপতির বেঞ্চে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই বেঞ্চ নির্দিষ্ট করবেন প্রধান বিচারপতি।
এই সংক্রান্ত খবরের নতুন আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button