Primary TET – প্রাইমারী টেট নিয়ে ফের মামলা, আবার মহা বিপাকে 32000 বাতিল শিক্ষক।
Primary TET – শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হল নতুন মামলা।
শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) প্রক্রিয়া নিয়ে মামলা। আর মামলার পর মামলায় জেরবার পুরো প্রক্রিয়া। এবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার।
এই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করার স্বপক্ষে মামলাকারীদের বক্তব্য, যেখানে নির্দিষ্ট নম্বরের ভিত্তিতে পাস করার নিয়ম রয়েছে সেখানে ১ নম্বর কম পাওয়ার পরেও সিঙ্গল বেঞ্চ তাদের টেট পাস পরীক্ষার্থী হিসেবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় (Primary TET Interview Process) অংশ নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে। আর তার বিরুদ্ধেই এই মামলা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রিজার্ভেশন ক্যান্ডিডেটদের নিয়ম অনুযায়ী টেট পরীক্ষায় ৮৩ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ হিসেবে ধরা হয়। সেই জায়গায় ওই পরীক্ষার্থীরা ৮২ নম্বর পান। এবার তারপরেই তারা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সেই মামলায় এক নম্বর কম পাওয়া সত্ত্বেও উত্তীর্ণ হিসেবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, NCTE- এর নিয়ম অনুযায়ী এই ১ নম্বর কম পাওয়ার পরেও তাদের উত্তীর্ণ হিসেবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, টেট পরীক্ষায় পাশ করেছেন, তারা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ইন্টারভিউ প্রসেসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
আর এর পরেই দেখা যায়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ জারি করা ৮২ নম্বর পাওয়া পাশ করা পরীক্ষার্থীরা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসেই সেই ইন্টারভিউ (Primary TET) প্রক্রিয়া হয়েছে। আর সেই প্রক্রিয়া চলাকালীন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে MAT ফাইল করেছেন। বুধবার দিন ছিল সেই মামলার শুনানি। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে MAT ফাইল করা হয়েছে।
এদিকে ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় আছে ৩২০০০ বাতিল শিক্ষকদের ফের ইন্টারভিউ এর সময়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পর্ষদের এই বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়নি, তাই এই অবস্থায় কি সিদ্ধান্ত হয়, সেটাই দেখার বিষয়।