Teacher Recruitment – 2016 সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের নোটিশ দেওয়া শুরু। কি লেখা আছে?

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) নিয়ে যে দুর্নীতির কথা উঠেছে সেটা নিয়ে সর গরম রাজ্য রাজনীতি। অনেকেই আছে যাদের ম্যারিট লিস্টে নাম্বার কম থাকা সত্বেও নিয়োগ প্যানেলে নাম আছে। অথচ বেশি নাম্বার পাওয়া পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ লিস্টে নাম নেই। এই নিয়ে একাধিক মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Of India) ২০১৬ এবং ২০২০ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তালিকা নিয়ে আরেকবার প্রশ্ন উঠলো। এই বৃহস্পতিবার এই নিয়োগ প্রসঙ্গ নিয়ে পর্ষদের কাছে জানতে চাইল আদালত।

Primary Teacher Recruitment Scam News.

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) জানিয়েছিল যে, ২০১৬ সালে ৪২,০০০ এবং ২০২০ সালে ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Teacher Recruitment) করা হয়। ৪ বছরের মাথায় ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের দাবি করেছিল পর্ষদ। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার শুনানির দিন জানতে চান, রুল অনুযায়ী সঠিক প্যানেল কোথায়? তিনি আরও প্রশ্ন করেন পর্ষদকে প্রাথমিক বোর্ড ৯৪ জনের নিয়োগ বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল তাদের আসনের চেয়ে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল কিনা?

এই সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক হলফনামা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী ৭ ই ডিসেম্বর মধ্যে জমা দিতে বলেছিলেন।এদিন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী আদালতে জানান পর্ষদ মিথ্যা কথা বলছেন। তারা কোনো নিয়োগ (Teacher Recruitment) প্যানেল প্রকাশ করেননি। কিন্তু পর্ষদ এই কথাকে মিথ্যা বলে তারা প্যানেল প্রকাশ করেছেন একই বক্তব্য রাখেন। এদিকে বিচারপতি পর্ষদের আইনজীবিকে প্রশ্ন করেন তিনি এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা?

বিচারপতি অমৃত সিনহার কিছু কথায় সেদিন চাকরিপ্রার্থীদের অনেকটাই আশার আলো পান। বিচারপতি অমৃত সিনহার কথা অনুযায়ী ” তিনি বলেন অনেক বঞ্চিত বেকার যুবক অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁদের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। একটা দিন যাওয়া মানে তাদের সম্ভাব্য সার্ভিস জীবনের ১ দিন নষ্ট হওয়া। এছাড়া একাধিক মামলায় (Teacher Recruitment) বিস্তর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে”।

Primary TET Exam (প্রাথমিক টেট পরীক্ষা)

এছাড়া সেদিন আদালতে চাকরি (Teacher Recruitment) থেকে যাদের বরখাস্ত করা হয় তারাও একক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের পক্ষের আইনজীবী আদালতে জানান, তার মক্কেলরা কোনও মিথ্যা তথ্য দেননি। আইনজীবীর বক্তব্য ছিল ভুল প্রশ্ন থাকায় শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল প্রত্যেককে ১ নম্বর দিতে হবে। সেই নম্বর যুক্ত হলে এই পরীক্ষার্থীরা যোগ্য হবে। এমনটাই দাবি ছিল আইনজীবীর।

পশ্চিমবঙ্গে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ। ভোটের আগে সরকারের বড় উদ্যোগ।

এদিকে বিচারপতি পর্ষদের নতুন নিয়োগ (Teacher Recruitment) প্যানেল দেখাতে বললে পর্ষদের আইনজীবী বলেন আরও সময় দিতে। কিন্ত বিচারপতির কথা অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেই হলফনামা দেখানোর সময় দেওয়া হয়েছিল আর কত সময় লাগবে একটা হলফনামা বার করতে ? তবুও সবদিক বিচার করে বিচারপতি এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিয়েছে আগামী ১২ ডিসেম্বর। দেখা যাক সেদিন শেষ পর্যন্ত Teacher Recruitment নিয়ে কি হয়! কোন দিকে এই মামলার রায় যায়।
Written by Shampa Debnath.

রোজগার মেলায় আরও 51000 জনকে সরকারী চাকরি দেবে। পশ্চিমবঙ্গের

Leave a Comment