আবারও বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের সকল স্কুল কলেজ, কতদিনের ছুটি? দেখুন।

কিসের জন্য পড়ছে এই ছুটি, জানুন বিস্তারিত।

হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। তারপরেই রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোট। সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রস্তুতি একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে। চলছে মিটিং, মিছিল, প্রচার, কর্মসূচি। গ্রাম বাংলার রাশ কার হাতে থাকবে, তাই নিয়েই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে লড়াই। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে রাজ‍্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission) তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে।

Advertisement

আর এদিকে সবে গরমের দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে খুলে গিয়েছে স্কুল কলেজ। স্বাভাবিক পঠন-পাঠন ফের চালু হয়েছে। তবে স্কুল কলেজ গুলিতে ফের আরো এক দফা ছুটি পড়তে চলেছে। তার মূল কারণ, পঞ্চায়েত এলাকায় যে সমস্ত স্কুল-কলেজ রয়েছে, সেইগুলি ভোট কেন্দ্র বা পোলিং স্টেশন (Polling Station), স্ট্রংরুম (Strongroom) হিসেবে নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করতে চলেছে। সাধারণত সমস্ত স্কুল-কলেজেই পোলিং স্টেশন তৈরি করা হয়ে থাকে।

Advertisement

আর ভোটকেন্দ্র স্কুল কলেজগুলিতে হওয়ার ফলে ভোটের দিনের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সেখানে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি নিতে হয়। যেহেতু আগামী ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচন, ফলে যে সমস্ত ভোট কেন্দ্রগুলি স্কুল কলেজে তৈরি হবে, সেই স্কুল কলেজগুলিতে তার ২ দিন আগে থেকে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিতে হবে। তাই এবার রাজ্যের স্কুল-কলেজগুলিতে ফের আরো এক দফা যে ছুটি (School College Holiday in July) পড়তে চলেছে।

সেখানে জানা যাচ্ছে, ৬ জুলাই, ৭ জুলাই, এবং ৮ জুলাই ছুটি দেওয়া হচ্ছে। ভোট হচ্ছে ৮ জুলাই শনিবার। ফলে তারপরের দিন রবিবার স্বাভাবিকভাবে স্কুল কলেজগুলি ছুটি থাকছে। এবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, স্কুলগুলি ১০ জুলাই সোমবারেও ছুটি দেওয়া হবে। তাই রবিবারকে স্বাভাবিক ছুটির দিন হিসেবে ধরে নিলেও পরপর ৫ দিনের একটা লম্বা ছুটি ফের পড়তে চলেছে রাজ্যের স্কুল কলেজগুলিতে। পঞ্চায়েত এলাকার অধীনে থাকা সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বশাসিত সংস্থা, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থা, বেসরকারি সংস্থা সমস্ত কিছুই ভোট গ্রহণের দিন বন্ধ থাকবে।

তার বাইরে অর্থাৎ পঞ্চায়েত এলাকার বাইরের যে সমস্ত সংস্থা রয়েছে, তাতে যে কর্মচারীরা কাজ করেন, তারা পঞ্চায়েত ভোটের কারণে ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য ছুটি নিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে ভোটগ্রহণের দিন অর্থাৎ ৮ জুলাই শনিবার সরকারি ছুটি (Government Holiday) ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে রাজ্যবাসী পঞ্চায়েত ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

পঞ্চায়েত ভোটের জন্য রাজ্যের স্কুল কলেজ ও সরকারি অফিস কোন কোন দিন ছুটি থাকবে জেনে নিন।

এবার গ্রীষ্মের দাবদাহের দাপটে গরমের ছুটি (Summer Vacation) নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগেই স্কুল কলেজে দিয়ে দিতে হয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তড়িঘড়ি ঘোষণা করে জানিয়ে দেন, ২ মে থেকেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজে গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। সেই সময় তাপপ্রবাহ চলছিল রাজ্য জুড়ে, ফলে পড়ুয়াদের যাতে স্কুল কলেজে গিয়ে কষ্টের সম্মুখীন না হতে হয়, সেই কারণেই রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।

এবার দীর্ঘ গরমের ছুটি কাটিয়ে ১৫ই জুন স্কুল কলেজগুলি খুলে গিয়েছে। সেখানে এই লম্বা ছুটি থাকার কারণে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের যে সিলেবাসের পূরণ করার ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের সিলেবাসের ঘাটতি পূরণ করার জন্য অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে। শিক্ষক- শিক্ষিকাদের পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে গাইডলাইনও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকা স্কুল চলাকালীন বাইরে বেরোতে পারবেন না।

এমনকি টিফিন টাইমেও বাইরে বেরোনো যাবে না। শুধু তাই নয়, স্কুলের পড়ুয়াদের স্বার্থে অতিরিক্ত ক্লাস সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে। তার কারণ, চলতি বছরেই মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এগিয়ে আনা হয়েছে। তার ফলে স্কুলগুলিতে বিভিন্ন শ্রেণীর সেমিস্টারের পরীক্ষাও শুরু হওয়ার মুখে। তাই যাতে তার আগেই সিলেবাস পূরণ করে দেওয়া যায়, সেই কারণে শিক্ষা দপ্তর স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ জারি করেছে।

এবার সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যেহেতু পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে রাজ্যের স্কুল কলেজগুলি ব্যবহার করা হবে, তাই সেখানে বেশ কয়েকদিন আরও এক দফা ছুটি থাকবে। ৬ জুলাই থেকে ৮ জুলাই অর্থাৎ ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হবে স্কুলগুলিকে। ৯ জুলাই রবিবার স্বাভাবিকভাবেই ছুটি। এবার তার সঙ্গে আরও ১দিন ছুটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, ১০ জুলাই সোমবার। এই ৫ দিনের ছুটি মিটে যাওয়ার পরে ফের স্বাভাবিকভাবে স্কুল-কলেজগুলি চালু হয়ে যাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button