Durga Puja Holiday – গরমে অতিরিক্ত ছুটি থাকায় দুর্গা পূজার ছুটি বাতিল করে স্কুল খোলা রাখতে হবে।
Durga Puja Holiday – পূজার মধ্যে খোলা থাকবে স্কুল, পূজা শেষে ফাইনাল এক্সাম আর পাঠ্যসূচি শেষ করতেই কি এই পরিকল্পনা, জানুন বিস্তারিত।
এই বছর স্কুলগুলো অনেক ছুটি (Durga Puja Holiday) পেয়েছে। যেমন গরমের ছুটি অন্যবারের চেয়ে বেশি পেয়েছে। কারণ মারাত্বক গরমের জন্য পড়ুয়াদের স্কুল যেতে সমস্যা না হয় সেইজন্য স্কুল বন্ধ ছিল টানা দু মাস। এরপরও অন্যান্য অনেক ছুটি এবার এক্সট্রা দেওয়া হয়েছে। তারপর ভোটের জন্য কিছু দিন স্কুল বন্ধ ছিল। সবমিলিয়ে স্কুল এত বন্ধ থাকার কারণে পরীক্ষার সিলেবাস শেষ হয়ে ওঠেনি। এদিকে আর কিছুদিন বাদেই দুর্গাপূজার ছুটি একদম কালীপূজা, ভাইফোঁটা অবধি।
আর স্কুল খুললেই তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা। তাহলে আর পাঠ্যসূচি শেষ করার সময় পাওয়া যাবেনা। কিছু প্রত্যন্ত গ্রাম আছে যাদের স্কুলের পড়াই ভরসা। বাড়িতে কোনো টিচার রাখা থাকেনা। তাদের বেশি সমস্যা হবে। পূজার দিনগুলো বেশিভাগ ছেলেমেয়ে পড়তে চায়না। আর পূজো (Durga Puja Holiday) শেষে পরীক্ষা হলে তাদের পরীক্ষায় কতদূর কি পারবে সেই নিয়ে স্কুলগুলোর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের, আগে কখনও এমনটা ঘটেনি।
তাই কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষক চাইছেন যদি লক্ষ্মী পূজা ও কালীপূজার মাঝে যেটুকু গ্যাপ থাকে সেই ৭ দিন যদি স্কুল খোলা থাকে তবে কিছুটা সিলেবাস এগানো যাবে। কিন্ত তাদের কথা এভাবে নিজে থেকে স্কুল খোলা রাখাতো অনুচিত কাজ। তার জন্য পর্ষদের অনুমতি দরকার। কিন্তু পর্ষদ কি অনুমতি দেবে? সেই নিয়ে দ্বন্দ্বে আছেন। অনেক স্কুল এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
এছাড়া পূজোর পর স্কুল খুললে নভেম্বরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট এক্সাম। পূজোর পর একটু সময় দেওয়া না হলে পড়ুয়াদের পড়ার প্রস্তুতি ঠিক থাকবে কিনা সেই নিয়ে। সন্দেহে আছেন অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। তবে কিছু স্কুল উদ্যোগ নিয়ে সেই ৭ দিন স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও বাকি স্কুল গুলো এই সিদ্ধান্তে উপনীত হবে বলে মনে করেন না। তার জন্য পর্ষদের তরফে ঘোষনা দরকার।তবে এখনো অবধি পর্ষদ তরফে কোনো ছুটি (Durga Puja Holiday) সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি আসেনি। তাই এই ছুটি আদৌ পাওয়া যাবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয়।
যেহেতু প্রতিবছর এমনই পূজার ছুটি ঘোষণা করা হয় তাই এবারেও তার অন্যথা হবে মনে হয়না। এখন কিভাবে পড়ুয়ারা সিলেবাস কভার করবে সেটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাঙ্গুর মেমোরিয়াল মাল্টিপারপাস স্কুলের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় বড়ুয়া জানান বছরে তারা ৬৫ টি ছুটি পান। আর সেই ছুটি গুলোকে এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যে পূজার মাঝে ৭ দিন ছুটি থাকলেও মোট ছুটির সংখ্যা এমন কিছু বাড়ত না। এদিকে তিনি এও জানান অনেক আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল ছাত্রছাত্রী আছে যাদের বাড়িতে হোম টিউটর নেই তাই তাদের স্কুল টিচারদের পড়ার ওপর নির্ভর করতে হয়।
স্কুল এত ছুটি থাকার জন্য সিলেবাস কমপ্লিট হয়নি। এদিকে পরীক্ষায় সেই সিলেবাস গুলো থেকে প্রশ্ন এলে তারা সমস্যায় পড়বে। সেইদিক চিন্তা করেই এই পূজার (Durga Puja Holiday) মাঝে ৭ দিন স্কুল খোলা রাখার জন্য চাইছিলেন। এখন দেখা যাক পর্ষদ কি চিন্তাভাবনা করেন ও স্কুল খোলা রাখার কোনো বিজ্ঞপ্তি দেয় কিনা। সেই দিকেই তাকিয়ে কিছু স্কুল।
Written by Shampa Debnath