E Shram Card – আধার কার্ড থাকলেই 3000 টাকা পাবেন প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পে। এখনই আবেদন করুন।

প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য জনকল্যাণমূলক প্রকল্প একের পর এক প্রকল্প (E Shram Card) এনে চলেছেন তাদের সুবিধার জন্য। সামনেই লোকসভা ভোট আর এরমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ব্যাবস্থা করছেন। তেমনই একটি প্রকল্প হলো E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড।

Get Instant 3000rs on E Shram Card Apply Online

দেশের গরীব মানুষদের এই কার্ডের ফলে অনেকটাই আর্থিক কষ্ট দূর হবে। কারণ এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডের মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন ৩০০০ টাকা করে প্রতিমাসে। কিছুটা পেনশনের মতন।আপনি একবার আবেদন করলেই কোনো ঝামেলা ছাড়াই প্রতিমাসে আপনার একাউন্টে টাকা ঢুকবে।

  • প্রকল্পের উদ্দেশ্য
  • বয়স সীমা
  • প্রকল্পের সুবিধা
  • প্রয়োজনীয় নথি
  • আবেদন পদ্ধতি

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

দরিদ্র পরিবারে যে সমস্ত খেটে খাওয়া মানুষজন রয়েছে তারা বৃদ্ধ বয়সে আর খেটে রোজকার করার ক্ষমতা থাকে না। সেই অবস্থার তাদের রোজকার জীবন চালাতে কষ্টকর হয়ে যায়। তাই যদি বৃদ্ধ বয়সে ঘরে বসেই আপনি ৩০০০ টাকা করে পান সেটা অনেকটাই আর্থিক কষ্ট দূর করবে।

অর্থাৎ যাদের স্থায়ী রোজকার নেই কোন পেনশন জাতীয় কিছু পাবার নেই তাদের বৃদ্ধ বয়সে একটু সুরক্ষিত থাকার জন্যই এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

বয়স সীমা

১৬ বছর বয়স হলেই এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করা যাবে। আর ৬০ বছর বয়স পার হলেই প্রতি মাসে পাবেন ৩০০০ টাকা। জানা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত দেশের মোট ২০ কোটি মানুষ ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এরমধ্যে সরকার ইতিমধ্যে ২ কোটি মানুষকে এই টাকা দিচ্ছেন।

ধীরে ধীরে আরও আবেদনকারীরা এই E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডে সুবিধা পাবেন। আপনিও যদি এই ই শ্রম কার্ডে নাম নথিভূক্ত করতে চান তাহলে কিভাবে আবেদন করবেন কি নথি প্রয়োজন জেনে নিন আগে জানা দরকার কেন এই ই শ্রম কার্ড এ নাম নথিভূক্ত করবেন? কি কি সুবিধা দিচ্ছে এই ই শ্রম কার্ড।

প্রকল্পের সুবিধা

১) প্রথমেই বলে রাখা ভালো এটা একটা পেনশন স্কিম। আপনি বৃদ্ধ বয়সে বিনা পরিশ্রম নিশ্চিন্তে প্রতিমাসে ৩০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এমন সুযোগ অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয় কোনো সংগঠন কর্মী ছাড়া।
২) শ্রম কার্ড সারা ভারতে যে কোনো প্রান্তে কার্যকর।

৩) এছাড়া আবেদনকারি ব্যক্তি যদি ৬০ বছরের আগে কোনো কারণে দুর্ঘটনায় আহত হন বা প্রাণ হারান তাহলে প্রধানমন্ত্রী সেই ব্যক্তির নাম প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনার আওতায় নথিভূক্ত করে দেন। যার ফলে সেই ব্যক্তির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা বীমা প্রদান করা হয়। আর সেই ব্যক্তি যদি আংশিক আহত হন তবে ১ লক্ষ টাকা বীমা প্রদান করা হয়।

ফলে একটি E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করে অন্য প্রকল্পের সুবিধা সরকার থেকেই পাইয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া ই শ্রম কার্ডের আবেদনকারীরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ও সুবিধা পেয়ে থাকেন। যার মাধ্যমে কারোর যদি পাকা বাড়ি বা নির্দিষ্ট বাসস্থান না থাকে সেটি বানিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দেয় সরকার।

1 লাখ 30 হাজার টাকা পেতে এখনই আবেদন করুন কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে।

তাছাড়াও যদি কোন গর্ভবতী মহিলার E Shram Card বা ই শ্রম কার্ড থাকে তাহলেও সেই পরিস্থিতিতে কাজ করার ক্ষমতা না থাকলে প্রতিমাসে নির্দিষ্ট টাকা দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি ই শ্রম কার্ড ব্যাবহার করে অন্য প্রকল্পের সুবিধা অনায়াসে পেয়ে যেতে পারবেন।

৪) E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডে আবেদন করতে হলে যিনি কোনো সংগঠন কর্মী নন তিনিই একমাত্র আবেদন যোগ্য। অর্থাৎ কোনো সরকারি বা বেসরকারি কাজের সাথে যুক্ত থাকা কিংবা আয়কর প্রদান করা কোনো ব্যক্তি এই কার্ডে নাম নথিভূক্ত করতে পারবেন না। যার কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা, ভাগচাষ বা অন্যান্য অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী তাদেরই এই সুবিধা পাবেন।

Free Ration - বিনামূল্যে রেশন

৫) আবেদনকারী EPFO কিম্বা ESIC এর মেম্বার হলে এই E Shram Card সুবিধা নিতে পারবেন না।
৬) বয়স হতে হবে সর্বনিম্ন ১৬ থেকে সর্বোচ্চ ৫৯ বছর। তবেই আবেদন করতে পারবেন। আর ৬০ বছর পর থেকে পেনশন পেতে থাকবেন।

প্রয়োজনীয় নথি

  • আধার কার্ড
  • এক কপি সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো।
  • প্যান কার্ড
  • ব্যাংকের পাশবুক

ভোটের মুখে 1 লক্ষ 30 হাজার টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। পশ্চিমবঙ্গবাসী কিভাবে আবেদন করবেন?

আবেদন পদ্ধতি

  • প্রথমে E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
  • এরপর পেজের ডান পাশে থাকা New Registration বাটানে ক্লিক করুন।
  • এরপর Registration on E Labour অপশনটি বেছে নিন।
  • এরপর সেই মোবাইল নম্বরটি এন্টার করুন যেটিতে আধার নম্বর সংযুক্ত আছে।
  • এরপর Send OTP তে ক্লিক করুন। তারপর সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন দেখবেন নতুন পেজ ওপেন হবে। সেটি আবেদন পত্র।
  • সেটিতে যা যা বিবরণ চেয়েছে সেটা পূরণ করুন। তারপর ডকুমেন্ট স্ক্যান করে সাবমিট অপশনে ক্লিক করে আবেদন সম্পন্ন করুন।

এভাবেই আপনি E Shram Card বা ই শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনিও যদি কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সুযোগ নিতে চান অনলাইনে আবেদন করে ভবিষ্যতের জন্য পেনশন স্কিম বজায় রাখুন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প সমন্ধে জানতে এই পেজ ফলো করুন।
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment