Money Savings Tips: যে হারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে খরচ চালানো দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মানুষের ইনকামের অংক একই থাকছে অথচ জিনিসপত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সমস্ত খরচ চালিয়ে মাসের শেষে মধ্যবিত্তদের পকেটে অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে যায়। বাজারের প্রত্যেকটা জিনিসই দাম যেন আগুন ছোঁয়া।
Money Savings Tips – টাকা সঞ্চয় টিপস
সেটা খাবার দব্য হোক কিংবা ওষুধপত্র কিংবা কোনো জিনিসপত্র। সমস্ত খরচ চালিয়ে যেতে মধ্যবিত্তদের হিমশিম খাওয়ার অবস্থা। সমস্ত খরচ চালিয়ে একটু যে ভবিষ্যতের জন্য সেভিংস করবে সেটা আর হয়ে ওঠেনা অনেকের। অনেকেই হয়তো ভাবে এই মাসে হয়তো কিছু সেভিংস হবে কিন্তু মাস শেষে দেখা যায় হাতে কয়েকটা টাকা ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
আজকের এই প্রতিবেদনে এমন কিছু এডভাইস দেওয়া হবে যাতে আপনি মাস শেষে কিছু টাকা সেভিংস করতে পারবেন। একটা হিসেব রেখে খরচ করুন। তবে সেই হিসেবটা কিভাবে করবেন সেটাই বলা হবে আজকের প্রতিবেদনে। কিছু অভ্যাস যদি চেঞ্জ করেন তাহলে আপনার অনেকটাই টাকা সেভিংস হবে। নিচে সেই সমন্ধে আলোচনা করা হলো।
১) অনেক ব্যক্তির নেশার প্রতি আসক্ত থাকেন। তাই এই নেশার দ্রব্য কিনতে গিয়ে অনেক টাকা চলে যায়। এছাড়া এমন অনেকে আছে সপ্তাহে একদিন দামি রেস্টুরেন্টে গিয়ে চা, কফি খাওয়ার অভ্যাস। এগুলোতে অনেকটাই টাকা খরচ হয়ে যায়। এইসব অভ্যাসগুলো যদি একটু কমান তাহলে অনেক টাকায় আপনি সেফ করতে পারবেন।
দামি রেস্টুরেন্টে চা কফির দাম এমনিতেই অনেকটাই বেশি থাকে তাই আপনি ইচ্ছা করলে একটু বেশি ভালো ব্র্যান্ডের যাবা কফি কিনে বাড়িতেই তৈরি করে খান তাহলে আপনার ইচ্ছা পূরণ হবে এবং টাকাটাও কম লাগবে। এতে করে মাসিক এই ব্যাপারে যে খরচ হতো তা অনেকটাই কমবে। আর আপনি যদি নেশার দ্রব্য থেকেও কিছুটা কম করতে পারেন সেক্ষেত্রে অনেকটাই টাকা সাশ্রয় হবে।
২) বাড়ির বিদ্যুতের বিলে রাশ টেনেও কিন্তু অনেকখানি টাকা সঞ্চয় করা যায়। অনেকেই আছেন বিনা কারণে লাইট পাখা চালিয়ে রেখে দেন। অনেকেই আছেন যারা ঘর থেকে বাইরে বেড়িয়ে গেলেও লাইট , পাখা বন্ধ করতে ভুলে যান। এই অভ্যাস ত্যাগ করুন। কোনো ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস ব্যবহারের সাথে সাথেই সুইচ অফ করুন। বাড়িতে রাখুন উন্নত মানের অয়্যারিংও। এতে বিদ্যুতের বিলের খরচ অনেকটাই কমবে।
৩) বর্তমানে অনলাইন শপিং অ্যাপ গুলোর জন্য অনলাইনে কেনাকাটা বেড়েছে। ফলে কষ্ট করে দোকানে গিয়ে জিনিস কেনাকাটা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বাড়িতে বসে অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে জামাকাপড় পছন্দ করে কেনেন। চোখের দৃষ্টিতে যে ড্রেস, গৃহস্থালির সরঞ্জামঘর, ঘর সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য জিনিস দৃষ্টি আকর্ষণ করছে সেগুলি ফটাফট বুকিং করা হয়ে যায়। ফলে অনেকে অকারনেই একগুচ্ছ জিনিস কিনে ফেলেন। এতে অনেকটাই খরচ হয়ে যায়। তাই অনলাইন শপিং করা থেকে বিরত থাকুন দেখবেন আপনার মাসিক খরচ অনেকটাই কমে গেছে।
৪) প্রতি দিনের খরচ করার পর একটা বাজেট লিস্ট করে নিন। একটা দিনে যে পরিমাণ খরচ করলেন সেটা পুঙ্খানুপুঙ্খ লিস্টে লিখুন। যদি কোনদিন একটু বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়, চেষ্টা করবেন তার পরের দিন যেন একটু কম টাকা খরচ হয়। প্রত্যেকদিন খরচের বাজেট মোটামুটি এক রাখার চেষ্টা করবেন। যে দিন খরচের হার একটু বেশি হবে চেষ্টা করুন পরের দিন একটু কম করার। এরফলে আপনারই লাভ হবে।
৫) ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করুন। যে কোন সরকারি সঞ্চয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংকে প্রতি মাসে টাকা সঞ্চয় করুন। ফিক্সড ডিপোজিট করুন এমন স্কিমে যেখানে সুদের পরিমাণ বেশি। এছাড়া মানুষ মাত্রই রোগ হতেই পারে। তাই আগের থেকেই স্বাস্থ্যবিমা করিয়ে রাখুন, অসুস্থতাজনিত খরচ অনেকটাই কম লাগবে। উপরিউক্ত পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে আপনার মাসিক খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
দেখবেন আপনার আগের থেকে অনেকটাই টাকা বেছে যাচ্ছে মাসের শেষে। সবসময় পকেটের সব টাকা খরচ না করে কিভাবে অল্পের মধ্যে খরচ করে জীবনের বিশেষ চাহিদা গুলো পূরণ করা যায় সেদিকে লক্ষ্য দিন। তাহলেই আপনার টাকা অনেকটাই সাশ্রয় হবে। এই সমস্ত দরকারি খবরের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করতে পাড়েন।
Written by Shampa Debnath.