2014 সালের টেট উত্তীর্ণদের চাকরি দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের।

২০১৪ প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণদের নিয়োগের বিষয়ে নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট চিন্তায় শিক্ষকেরা। ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসেছিল। এই ২০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়। এই সকল মামলাকারীর বক্তব্য ছিল ৬ – ৭ টি প্রশ্ন ভুল ছিল প্রশ্নপত্রে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই মামলা চলছে।

Advertisement

টেট মামলায় কাদের চাকরি দেওয়া হবে দেখে নিন লিস্ট।

এই মামলার নিস্পত্তির জন্য নির্দিষ্ট দিন বেধে দিলো আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের দুই ন্যায়াধিশ সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতিম ভট্টাচার্য আগামী ২০ শে জানুয়ারির মধ্যে উভয় পক্ষের তরফে নিজেদের চূড়ান্ত মত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এই শুনানিতে প্রথম বারের জন্য প্রাথমিক টেট মামলার রায় দান করেন।

রাজ্যের টেট দুর্নীতি মামলায় শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট।

এর পরে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে চলছে এই মামলা। এই দীর্ঘ মামলার শুনানি গত শুক্রবার শেষ হয়েছে। হাইকোর্ট এই প্রাথমিক টেট মামলার রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছে এবং উভয় পক্ষকে ২০ শে জানুয়ারি ২০২৩ এর মধ্যে নিজেদের আর কোন বক্তব্য থাকলে সেটা বলতে বলা হয়েছে। ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেয় শুধুমাত্র মামলা কারি পরীক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দিতে হবে।

কিন্তু এই রায়ের বিরোধিতা করে কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী আদালতের দারস্থ হয়। প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিভ্রাট নিয়ে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে পৌঁছয়। সেখানে এক মামলা কারি বলে এই ৬ নম্বরের জন্য এমন অনেক হাজার হাজার পরীক্ষার্থী আছে যারা চাকরির নিয়োগ থেকে বঞ্চিত থেকে গেছেন।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় ও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চকে নির্দেশ দেন রায় দান করার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে এই মামলা ৮ বছর ধরে বিচারাধীন। ইতিমধ্যেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ৬ নম্বর বারিয়ে দিলে নিয়োগ সমস্যা ফের বৃদ্ধি পাবে।

কিন্তু মামলাকারিদের উকিলদের বক্তব্য বিদ্যালয়ে পরীক্ষার সময় কোন প্রশ্ন ভুল থাকলে সেই নম্বর সকল পরীক্ষার্থীদের দিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে এখন এই কাজ কেন করা হবে না।
২০১৪ প্রাথমিক টেট এর প্রশ্ন বিভ্রাট মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট কি নির্দেশ দেয় তার দিকে নজর সকলের।

রাজ্যে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর (DEO) পদে প্রচুর স্থায়ী কর্মী নিয়োগ, জানুন আবেদনের শেষ তারিখ।

এই ৬ নম্বর বারিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা হলে বিপাকে পড়বে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সহ কর্মরত শিক্ষকেরা।
এই নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button