Ration – রেশন ব্যবস্থায় বড় বদল, কি কি সমস্যায় পড়বে সাধারন মানুষ, দেখে নিন এক নজরে।

Ration – বদলে যাচ্ছে সব কিছু, জানুন বিস্তারিত।

রাজ্য সরকার হোক বা কেন্দ্র সরকার সাধারণ মানুষ থেকে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের জন্য (Ration) সবসময় কিছু না কিছু উপকার করেই চলেছে। নানা প্রকল্প ব্যাবস্থার মাধ্যমে অনেক সুবিধা এনে দিয়েছেন। তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অভাবনীয় পদক্ষেপ এই রেশনিং ব্যাবস্থা। এই রেশন কার্ডের মাধ্যমে সরকার থেকে নির্দিষ্ট দ্রব্য মূল্যের অনেক কম দামে জিনিস পাওয়া যায়। যার ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাল, গম, চিনি, খুব অল্প মূল্যে পেয়ে থাকেন।

Advertisement

এরপরও করোনা কালীন সময়ে নরেন্দ্র মোদী ঠিক করেন দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জন্য বিনা মূল্যে খাদ্য (Ration) দ্রব্য বণ্টন করবেন। ২০২৩ পর্যন্ত সময়সীমা ছিলো বিনা মূল্যে রেশন ব্যাবস্থার তবুও আরো কিছু সময় বাড়ানো হয়েছে আসন্ন পূজার কথা ভেবে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষগুলোর জন্য। রেশনে একটি স্লিপ দেওয়া হয়। যারা রেশন তোলে। এখন এই রেশন স্লিপ নিয়েই দ্বন্দ শুরু হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র মধ্যে।

Advertisement

রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে বড় নিয়োগ, শূন্যপদ 7000, এই বছরেই জয়েনিং।

কারণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে রেশনিং (Ration) এই স্লিপে আমূল পরিবর্তন হবে। কেন্দ্র চাইছে এই স্লিপে গরীব খাদ্য যোজনা ও লোগো থাকবে। কিন্ত রাজ্য সরকারের মতে রেশন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প হলেও রেশনে সামগ্রী আনা নেওয়া ভাড়া খরচ রাজ্য কেই বহন করতে হয় ডিলারদের কমিশনের ব্যাপারটাও দেখতে হয় এক্ষেত্রে। এছাড়া তাই তাদের এই স্লিপ করতে অনেক খরচ পড়ে যাবে। আর যদি এই স্লিপ করা হয় তাহলে স্লিপে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নাম ও লোগো থাকবে। কিন্ত কেন্দ্র এটা মানতে নারাজ।

কেন্দ্রর কাছে রাজ্য সরকার আর্জি জানান পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সাথী, সরকারের নামে লোগো করার। এই নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব এর সৃষ্টি হয়। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, রাজ্যর এই সিদ্ধান্তে আপত্তি রয়েছে রাজ্যের একাংশের মন্ত্রীদের। তার কথা অনুযায়ী কেন্দ্র শুধু চাল-গম এর ব্যাবস্থা করেন, কিন্ত সেটা বণ্টন করে রাজ্য।

যেহেতু কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যেরও ভূমিকা রয়েছে এখানে, তাই বিশ্ব বাংলার লোগোও সেখানে ব্যবহার হোক, দাবি রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের। এখন কোন দিকে মোড় নেয় সেইদিকে তাকিয়ে ছাড়া আর উপায় নেই সাধারণ জনগণের। তবে নেতা মন্ত্রী গণের একাংশে মতামত ভোটের আগে এই চাপা অসন্তোষ ইচ্ছে করেই সৃষ্টি করা হচ্ছে।

এখন দুই পক্ষই একটু ইগোর লড়াই সরিয়ে আদৌ কি লড়াই শেষ হয়ে মিউচ্যুয়াল সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন নাকি এই সরকারের মধ্যে লড়াইয়ে সাধারণ গ্রাহকরা বিপাকে পড়বে। সেদকেই তাকিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ।
Written by Shampa Debnath

রান্নার গ্যাস এবার অর্ধেক দামে মাস চলবে। মা বোনেদের মুখে হাসি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button