এখন থেকে ভারতের কারেন্সি নোট এর মধ্যে গান্ধীজী নয় থাকবে লক্ষ্মী – গণেশের ছবি, জানুন বিস্তারিত।
প্রথম বার দেশে ১৯৯৬ সালে গান্ধীর মূর্তি ছাপানো কারেন্সি নোট এর প্রচলন শুরু হয়। তখন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ১০ টাকা ও ৫০০ টাকার নোটে এই ব্যাংক নোট এর প্রচলন চালু করা হয়। তার পর থেকে আজকের দিন পর্যন্ত ভারতীয় সকল ব্যাংক নোটে গান্ধীর ফটো দেখা যায়। সম্প্রতি নোটবন্দির পরে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোটেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সম্প্রতি দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এর এক মন্তব্যে বিতর্কের শুরু হয়। তার বক্তব্য অনুসারে এবার ভারতীয় কারেন্সি নোট এ গান্ধীর মুখের বদলে ভগবান লক্ষ্মী দেবী ও গণেশের মূর্তি দেওয়ার দরকার। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ জনসংখ্যার নিরিখে তাও তাদের মুদ্রায় ভগবান গণেশের মূর্তি রয়েছে। কিন্তু ভারতে বিশ্বের সব থেকে বেশি হিন্দু জনসংখ্যা থাকার পরেও কোন হিন্দু দেবতার মূর্তি ব্যাংক নোটে নেই কেন।
25 কেজি নয়, এই মাস থেকে রেশন কার্ড থাকলেই গ্রাহকরা পাবেন 150 কেজি চাল।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানাবেন যাতে এবার থেকে ভারতীয় ব্যাংক তাদের কারেন্সি নোট এ ভগবান লক্ষ্মী ও গণেশের ব্যবহার করুক। দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যর পরে সকল বিতর্কের শুরু হয়। এই নিয়ে দেশের সংসদেও বিতর্ক শুরু হয়। সকলের মনে প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি এবার রাষ্ট্রপিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ফটো সরিয়ে দেওয়া হবে ভারতীয় ব্যাংক নোট থেকে?
এই নিয়ে বিরোধী সাংসদদের তরফ থেকে সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় – স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে শুরু করে অনেক পশু – পাখি, রাষ্ট্রীয় প্রতীক এছাড়াও দেশের বিভিন্ন ভ্রমণ স্থান এর ছবি দেশের ব্যাংক নোটে দেওয়ার জন্য অনেক আবেদন এসেছে। কিন্তু এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া রাতারাতি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সরকারের বক্তব্য দেশে ব্যাংক নোট ছাপানো থেকে শুরু করে সেটা সার্কুলেশনে পৌছনো পর্যন্ত এই সকল দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার হয়ে থাকে। RBI এর আইন অনুসারে ব্যাংক নোট কী রকম দেখতে হবে, তাতে কি কি ছবি থাকবে, কি সাইজের কারেন্সি নোট হবে সেই সকল কিছু আর বি আই এর পর্ষদ সুপারিশ করলে তার পরে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।
এই কথার পরে এক বিরোধী সাংসদ কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। সরকার কি চাইছে এই নিয়ে, মন্ত্রীর বক্তব্য বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের এরকম কিছু পরিকল্পনা নেই। ভারতের স্বাধিনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আমরা গান্ধীর মূর্তি দেখে আসছি নোটে। এবার যদি সত্যি লক্ষ্মী – গণেশের মূর্তি দেখা যায় ব্যাংক নোটে তাহলে সেটা হবে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এই বিষয় নিয়ে আপনাদের কি মতামত নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। ভাল লাগলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন সঙ্গে থাকুন আরও এই ধরনের খবর পাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।
PNB ব্যাংক গ্রাহকদের টাকা তোলা বন্ধ করা হয়েছে, কি করলে আবার টাকা তুলতে পারবেন।
Ye jarur sahi bat bola kejrilal ji ne..
Lakshmi devi aur ganesh dev ka photo rahna chahiye..
Power mil gaya toh saale hawa me urhne lage hai kutte ki aulad…
Itna maar khayega janam bhar yaad rakhega harami