Cheque Bounce – চেক বাউন্স হলে কত টাকা জরিমানা দেবেন। সঠিক নিয়ম জেনে রাখুন।

বর্তমান যুগে অনলাইন কেনাকাটার বা মানি ট্রান্সফার (Cheque Bounce) করলেও এখনো অনেক ব্যক্তি পুরাতন চেক পদ্ধতি ব্যাবহার পছন্দ করেন কারণ এটাকেই সহজ পদ্ধতি বলে মনে করা হয়। এছাড়া বড়ো লেনদেনের জন্য চল থাকলেও বর্তমানে অনলাইন লেনদেন বৃদ্ধি পেলেও, অনেকেই চেক ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। বড় লেনদেনের জন্য চেক ব্যবহার করা হয়। তবে প্রায়ই শোনা যায় চেক বাউন্স হয়েছে তাই চেক ব্যাবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

Rules for Paying Penalty in Case of Cheque Bounce

  • কি কি কারণে চেক বাউন্স হতে পারে?
  • চেক বাউন্স হলে কি কি ক্ষতি হতে পারে?

কি কি কারণে চেক বাউন্স হতে পারে?

  • অনেকসময় চেক জমা দেওয়ার পর ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকলে চেক বাউন্স বা Cheque Bounce হতে পারে।
  • চেক লেখার সময় কোনো ভুল ত্রুটি হলেও চেক বাউন্স হতে পারে।
  • স্বাক্ষরের অমিল হলেও চেক বাউন্স হতে পারে।
  • অনেকসময় চেক লিখতে গিয়ে একই জায়গায় দুবার ওভাররাইট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে চেক বাউন্স হতে পারে।
  • একাউন্ট নম্বর ভুল হলে, একাউন্ট বন্ধ থাকলে এবং চেক যদি ওভারড্রাফ্ট সীমা অতিক্রম করে যায় তাহলেও চেক বাউন্স হতে পারে।
  • তাই চেক লেখার সময় এবং তা জমা দেওয়ার আগে অনেক সতর্কতা মেনে চলা উচিত। নয়তো আপনাকে ঝামেলায় পড়তে হবে।

চেক বাউন্স হলে কি কি ক্ষতি হতে পারে?

  • চেক বাউন্স বা Cheque Bounce হয়ে গেলে ব্যাংক আপনার থেকে জরিমানা ধার্য্য করবে। এই জরিমানা একেক ব্যাংকের জন্য একেক রকম। এই জরিমানা ১৫০ টাকা থেকে ৭৫০ বা ৮০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
  • চেক বাউন্স করার এক মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে ‘নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট 1881’-এর 138 ধারায় মামলা করা যেতে পারে। এতে ঋণগ্রহীতাকে ২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বা চেকের দ্বিগুণ জরিমান দিতে হতে পারে।

জমানো টাকা হবে দ্বিগুণ। ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে এই পদ্ধতিতে মেনে চলুন।

  • কারণ এটাকে একটা অপরাধ মূলক কাজের আওতায় ফেলা হয়। তাই আপনাকে অতিরিক্ত সতর্কতা না মানলে এই ঝামেলায় আপনিও জড়িয়ে পড়তে পারেন।
  • টাকা লেনদেন কিংবা ব্যাংকের কাজের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। তাহলেই এইসমস্ত বিপদ এড়াতে পারবেন।
Bank Account বা ব্যাংক একাউন্ট

চেক বাউন্স বা Cheque Bounce হলে ব্যাঙ্ক প্রথমে পাওনাদারকে একটি রসিদ দেয়। সেখানে চেক বাউন্সের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়। এরপর পাওনাদারকে ৩০ দিনের মধ্যে চেক প্রেরকের কাছে নোটিস পাঠাতে হবে। নোটিসের ১৫ দিনের মধ্যে কোনও উত্তর না পেলে পাওনাদার ১৫ দিন শেষ হওয়ার তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এরপরেও যদি টাকা না মেলে তাহলে চেক প্রেরকের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়।

আপনার কাছে 5 ও 10 টাকার কয়েন আছে? পুরনো কয়েন আর চলবে না? RBI কি জানালো?

চেক ইস্যু (Cheque Bounce) করার তারিখ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় পাওয়া যায়। এর মধ্যে প্রাপক চেক প্রেরকের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। কিংবা চেক প্রেরক একটি নতুন চেক ইস্যু করতে পারেন। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, চেক বাউন্সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল হতে পারে। চেক ফেরত গেলে গ্রাহকের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক জরিমানাও নেয়।
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment