Employee Benefits – অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী কর্মীদের মতোই বেতন দিতে হবে। আদালতের কড়া নির্দেশ।
বিভিন্ন কাজে দেখা যায় চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে (Employee Benefits) নেওয়া হয়। কিন্ত তাদের কাজ করানো হয় স্থায়ী কর্মীর মতন। কিন্ত বেতন দেওয়া হয় স্থায়ী কর্মীর থেকে অনেক কম। এই নিয়ে অনেক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা। শেষে সুপ্রিমকোর্টে মামলা দায়ের করেন। এই মামলার রায় কাদের পক্ষে গেলো জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন। এই ধরনের আরও নিত্য নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ও আমাদের পেজটি ফলো করুন।
WB Govt Employee Benefits for Contract Worker
কর্ণাটকের এক ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে সেখানকার কর্মীদের (Employee Benefits) একটি মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে মামলার প্রসঙ্গ ছিল স্থায়ী কর্মীর মতন কাজ করতে চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বেতন দেওয়া নিয়ে। এই মামলার রায় দিতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন কর্মীদের পক্ষেই। এবার থেকে একই কাজ করানো হলে সবাইকে একই বেতন দিতে হবে।
কোন কর্মীকে চুক্তিভিত্তিক বলা যাবেনা এমনটাই নির্দেশ দিলেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেছেন, সমকাজে সমবেতন কর্মচারীদের (Employee Benefits) মৌলিক অধিকার। তাই সমপরিমাণ কাজ করিয়ে কাউকে আর আইনের মার প্যাঁচে কম বেতন দিতে পারবে না নিয়োগকারী সংস্থা।
গত ১ দশক ধরে রাজ্য সরকারগুলি ব্যাপকভাবে চুক্তিভিত্তিক কর্মী (Employee Benefits) নিয়োগ শুরু করেছে। কিছু ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতরও চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করছে। কিন্ত তাদের কাজের পরিধি থাকে একজন স্থায়ী কর্মীর মতনই। তবে বেতনের ক্ষেত্রে এতটাই কম বেতন দেওয়া হয় যেটা ওই কাজের যোগ্য পারিশ্রমিক নয়।
সেই সঙ্গে ছুটি সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং ভাতাও বিশেষ একটা পান না। এক্ষেত্রে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে, খোদ সরকার সমকাজে সমবেতনের নিয়ম মানছে না। কর্মীরা (Employee Benefits) অনেক আন্দোলন করেছে কোনো সুরাহা মেলেনি। শেষপর্যন্ত তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এবং সঠিক বিচার পেয়ে খুবই খুশি তারা।
আবারও বাড়ল DA! লোকসভা নির্বাচনের আগেই সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সন্দীপ মেহতা ও বিচারপতি পামিদিঘান্তম নরসিংহের বেঞ্চে ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার রায় হিসেবে বলা হয় চুক্তিভিত্তিক কর্মী বলে তাঁদের কোনো সুযোগ-সুবিধা ছাঁটাই করা চলবে না। সকলকে স্থায়ী শ্রমিকের (Employee Benefits) মর্যাদা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেন বিচারপতিরা।
শুধু কর্মী নয়, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে সরকারি স্কুলের (Employee Benefits) প্যারা টিচারদের অবস্থা অনেকটা এইরকম। তাদের কাজ একজন স্কুলের স্থায়ী শিক্ষকের মতনই। পড়ানো, খাতা দেখা, প্রশ্ন তৈরি করা থেকে বিভিন্ন কাজ করিয়ে খুবই অল্প বেতন দেওয়া হয়। প্যারা টিচারদের এই বেতন বৈষম্য কবে উঠবে সেই নিয়ে কোনো মামলা দায়ের করবেন কিনা প্যারা টিচাররা সেটাই দেখার।
কারণ একই কাজের পরিশ্রম করে ভিন্ন বেতন (Employee Benefits) পাওয়া যেমন দৃষ্টিকটু ব্যাপার তেমনি কাজের প্রতি আগ্রহ পাওয়া যায়না। প্রতিটি ব্যক্তি অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করেন। অথচ একই কাজ করে সামান্য বেতন দেওয়া হবে এই বৈষম্য তুলে দেওয়াই উচিত। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের পরে সকল কর্মীদের কাছে খুশির খবর। তাদের এতদিনের আন্দোলন স্বার্থকতা লাভ করেছে।
Written by Shampa Debnath.