TET Scam – টেট মামলায় সুপ্রীম কোর্টে রাজ্যের হার, জাস্টিস গাঙ্গুলীর রায় বহাল, কি নির্দেশ এলো?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal SSC TET Scam) একের পর এক কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চ, পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন। কখনো ডিভিশন বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাজ্য সরকারের পক্ষে রায় যায়, আবার কখনো দেখা যায়, হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সেই একই নির্দেশ বহাল রাখা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে কোনো নির্দেশ সিঙ্গেল বেঞ্চে দেওয়া হলে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার আইনি পথ রয়েছে।
West Bengal TET Scam
ফলে দেশের বিচার ব্যবস্থায় এই এক ধারাবাহিক রীতি। আর এর মধ্যে পড়ে বিভিন্ন সময়ে বহু ধরনের কাজকর্ম বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যেমন বর্তমানে বহু নিয়োগ প্রক্রিয়া শুধুমাত্র আদালতের জটিলতার কারণে থমকে দাঁড়িয়ে আছে। এবার দেখা গেল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে SSC সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করলেও হাইকোর্টের রায় (TET Scam) বহাল রাখল শীর্ষ আদালত। কি সেই মামলা?
২০১৬ সালের একাদশ এবং দ্বাদশের পরীক্ষার ওএমআর শিট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতা সরকার একটি WBSSC TET Scam মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে অন্যায় ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে ববিতা সরকার আদালতে মামলা করেন।
সেই মামলায় তদন্ত করার পরে অঙ্কিতার চাকরি ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীতে দেখা যায়, আরো একজন চাকরিপ্রার্থী তার নম্বর ববিতার থেকে বেশি বলে জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন। ফের আদালত তাকেও নিয়োগের নির্দেশ দেন। কিন্তু ববিতা সরকার আদালতে OMR শিট প্রকাশের দাবি জানান। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় SSC- কে ২০১৬ সালের একাদশ- দ্বাদশের ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দেন। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এসএসসির তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। তবে সেখানেও হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 32000 বাতিল শিক্ষক চরম সংকটে, পর্ষদ সভাপতির জরুরী তলব, ফের ইন্টারভিউ হবে?
প্রথমে অঙ্কিতার চাকরি ববিতাকে, আবার ববিতার চাকরি ঠিক হয়নি বলে আরেকজন চাকরিপ্রার্থী দাবি জানালে তাকেও নিয়োগের নির্দেশ দেয় আদালত। ফলে আদালতের এই ধরনের প্রক্রিয়া নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠতে দেখা গিয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের একাংশের নির্দেশকে কেন্দ্র করে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে। পশ্চিমবঙ্গের TET Scam নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চর্চাও শুরু হয়েছে।
বিচার ব্যবস্থার গরিমা নিয়েও মানুষের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ও এম আর শিট প্রকাশের নির্দেশকে বহাল রাখল সুপ্রিমকোর্ট। এই প্রসঙ্গে ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান, ২০১৬ সালের একাদশ- দ্বাদশে পরীক্ষার ভিত্তিতে ৫ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশন ৯০৭ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি হয়েছে বলে আদালতে জানায়। তবে সেই ও এম আর শিট (OMR Sheet) যদি প্রকাশ্যে আসে তখনই জানা যাবে কারা বাড়তি নম্বর পেয়েছে।
রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্পে আবেদন করলেই মিলবে নগদ 30000 টাকা, আগে এলে আগে পাবেন।
আবার ফের সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আদালত তাদের আবার বরখাস্তের নির্দেশ দিয়ে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ দিতে পারে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর মাত্র দুটো দিন এসএসসির কাছে রয়েছে। ওএমআর শিট প্রকাশ করা হয় কিনা সেদিকেই নজর রয়েছে। তবে একের পর এক আদালতের তরফেও এর চাকরি ওকে, ওর চাকরি তাকে দেওয়ার ফলে বহু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।