Ration – রেশন দুর্নীতি রুখতে রাজ্য সরকারের নয়া পদক্ষেপ, এবার থেকে বেশি বেশি রেশন পাবেন গ্রাহকেরা।
Govt Of West Bengal Big Step For Ration Scam.
রেশন কার্ড (Ration) হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ নথি বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের কাছে। এই কার্ড বাঁচিয়ে রেখেছে অনেক পরিবারকে। রেশন কার্ডের ক্যাটাগরি ভিত্তিক অনেক ধরনের হয়। আর সেই ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রত্যেককে খাদ্যদ্রব্য হিসাবে চাল, ডাল, চিনি, গম দেওয়া হয়। এছাড়া করোনা কালীন সময় থেকে বিনা পয়সায় খাদ্যদ্রব্য মেলে যাদের অন্ন যোজনার কার্ড রয়েছে। এই বিনাপয়সায় রেশন দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবার কথা থাকলেও সেটা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে আরও ৬ বছরের জন্য এটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইদিক থেকে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কিন্ত এই রেশন (Ration) নিয়েও কম দুর্নীতি হয়নি। প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী ও জেলে আছেন। দেখা গেছে যারা বিনা পয়সায় রেশন পাওয়ার নয় তারাও নিচ্ছে এই বিনা পয়সার রেশন। এছাড়া একই ব্যক্তির দুটো রেশন কার্ড, কিংবা মৃত ব্যক্তির নামের রেশন কার্ড বাতিল না করেই মাসের পর মাস রেশন তোলা হচ্ছে। এদিকে রেশন ডিলারশিপ গুলোতেও ওজনের গরমিল করছে। এমন দুর্নীতি রুখতে একবার রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ডের লিংক করানোর কথা বলেছিলেন সরকার। যাতে যাতে একটা সঠিক নথি থাকে সরকারের কাছে।
কিন্ত রেশনের ব্যাপারে রাজ্য সরকার এবার আরও কড়া ব্যাবস্থা নিলো। সেটা কি ? রেশন দোকানগুলির কারসাজি রুখতে এবার নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এবার রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগ রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক ওজন স্কেল চালু করছে। এটির আসলে ভালো নাম হল ‘ওয়েয়িং স্কেল’।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “রেশনিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এবং খাদ্যশস্যের ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীরা যাতে কোনও ভাবেই প্রতারিত না হন তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য। তাই রেশন (Ration) দোকানগুলিতে ইলেকট্রিক মেশিন ব্যাবহার করা হবে যাতে কারচুপি করতে গেলে যে কোনো ব্যক্তি ধরে ফেলবে। বহু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে নানা সময় অভিযোগ ওঠে রেশনে কারচুপির। যে কারণে এখন ১৮ হাজার রেশন দোকানে এই যন্ত্র বসিয়ে দিয়েছে রাজ্যের খাদ্য দফতর।
মধ্যবিত্তের মুখে হাসি! আরও দাম কমলো ভোজ্য তেলের, কম থাকতে কিনে নিন।
আরও জানা গেছে, এই ইলেকট্রিক ওজন পরিমাপক স্কেলগুলি ই-পিওএস মেশিনের সাথে লিংক করা থাকবে আর যখন রেশনে কোনো ব্যক্তিকে খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হবে তখন খাবারের যে ওজন দেখাবে সেটা শীর্ষ বিভাগের কেন্দ্রীয় সার্ভারে উপলব্ধ হবে। ফলে বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন রেশন গ্রাহকরা সঠিক পরিমাণে রেশন দ্রব্য পাচ্ছে কিনা।
অন্যদিকে, গ্রাহকরা যে কার্ড নিয়ে কারচুপি করে সেটা রুখতে এতদিন ধরে সরকার রেশন ও আধার লিংক ও চোখের রেটিনা স্ক্যানের মাধ্যমে সমস্ত পদক্ষেপ ইতিমধ্যে শেষ করেছে। ফলে এই ইলেকট্রিক মেশিন এসে গেলেই রেশন (Ration) সংক্রান্ত কোনো দুর্নীতি আর থাকবেনা বলে সরকারের মতামত।
Written by Shampa Debnath.