Madhyamik Pass – মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস ফেলের নম্বর কত? পরীক্ষার আগে জেনে নিন।

Madhyamik Pass বা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস নম্বর নিয়ে এক জরুরী খবর আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত। কিছুদিনের অপেক্ষা। নতুন বছর পড়লেই ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উদগ্রীবতার শেষ নেই। কারণ স্কুলজীবনের গণ্ডির মধ্যে সর্ব প্রথম বোর্ড এক্সাম হলো মাধ্যমিক। তাই একটা ভয় সাথে উৎকন্ঠা কাজ করে একসাথে।

Advertisement

Madhyamik Pass Marks In 2024.

শুধু তাই নয় এই পরীক্ষার ফল নিয়ে ছাত্রছাত্রী ও মা বাবার আশা থাকে অনেক। মাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত নাম্বার একজন ছাত্র ছাত্রীর পরবর্তী জীবনে অনেকটাই ভূমিকা পালন করে। মাধ্যমিকের পরেই কোনো ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরের (Madhyamik Pass) ভিত্তিতে পরবর্তী পর্যায়ে সাবজেক্ট চুজ করতে পারে। কারণ কোনো চাকরি পরীক্ষায় যে সমস্ত সার্টিফিকেট দেখতে চাওয়া হয় তার মধ্যে মাধ্যমিকের পাশের (Madhyamik Pass) রেজাল্ট খুব ইম্পর্ট্যান্ট।

Advertisement

এছাড়া এখন মাধ্যমিক (Madhyamik Pass) পাশে অনেক চাকরির পরীক্ষা হয়। তাই সেইসব চাকরিতে মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বরটি খুব প্রয়োজনীয়। তবে আগের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ ফেল থাকলেও এখন সে সব অতীত। বর্তমানে গ্রেডেশন পদ্ধতিকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। জেনে নেওয়া যাক পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Secondary Education) কিভাবে গ্রেডেশন ওপর ভিত্তি করে নম্বর বিভাজন করেছে।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট বিষয় থাকে ৭ টি। প্রত্যেকটি বিষয়ের মোট নম্বর (Madhyamik Pass) থাকে ১০০। আবার এই ১০০ নম্বরটি ভাগ করা থাকে দুটি ভাগে। ৯০ নম্বর থাকে লিখিত ভাবে আর ১০ নম্বর থাকে প্রজেক্টে। ৭ টি বিষয় মিলিয়ে সর্বমোট নম্বর ৭০০। একেকটি বিষয়ে ১০০ এর মধ্যে ২৫ পেলেই তাকে পাশ (Madhyamik Pass) বলে গণ্য করা হয়। যদি কোনো ছাত্রছাত্রী কোনো বিষয়ে ২৫ এর কম পেয়ে যায় তবে সেই বিষয়ে সে অকৃতকার্য বলে গণ্য করা হয়। নাম্বার বিভাজন ও গ্রেডেশন।

  • ৯০-১০০ নম্বর যদি কেউ পায় তাহলে তার গ্রেড AA – Outstanding( অসামান্য)।
  • ৮০-৮৯ নম্বর পেলে তার গ্রেড A+ – Excellent (চমৎকার)।
  • ৬০-৭৯ নম্বর পেলে তার গ্রেড A- Very Good (খুব ভালো)।
  • ৪৫-৫৯ নম্বর পেলে তার গ্রেড B+ – Good (ভালো)।
  • ৩৫-৪৪ নম্বর পেলে তার গ্রেড B – Satisfactory (সন্তোষজনক)।
  • ২৫-৩৪ নম্বর পেলে তার গ্রেড C – Marginal (প্রান্তিক)।
  • ২৫ এর কম নম্বর পেলে তার গ্রেড D – Disqualified (অযোগ্য)।

মাধ্যমিক রেজাল্ট যখন দেওয়া হবে তখন প্রত্যেকটি বিষয়ের আলাদা করে গ্রেড দেওয়া থাকবে এবং ৭ টি বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর (Madhyamik Pass) যোগ করে ৭ দিয়ে ভাগ করে তাকে গ্রেড করা হবে। এই গ্রেড করার পর প্রাপ্ত সংখ্যায় দশমিক পড়বে আর যদি দশমিকের পরের সংখ্যাটি ৫ বা ৫ এর বেশি হয় তাহলে গ্রেড নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তার পরবর্তী নম্বরটি ধরা হয় এবং যদি দশমিকের পরের সংখ্যাটি ৫ এর কম হয় তাহলে গ্রেড নির্ণয়ের ক্ষেত্রে তার আগের সংখ্যাটি ধরা হয়।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে সারাজীবন ধরে মাসে মাসে 1000 টাকা পেতে আজই এই কাজ করুন।

এমনই ভাবে গ্রেড করা হবে। আর বেশি দেরি নেই মাধ্যমিকের শুরুর, তাই সবাই খুব ভালো করে পড়াশুনা করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়তো তুঙ্গে। আর আপনারা এই মাধ্যমিক পরীক্ষায় (Madhyamik Exam) পাস নম্বর নিয়ে কোন বেশি চিন্তা না করে নিজেদের পড়াশোনার ওপরে মনোযোগ দিন। তাই মাধ্যমিক (Madhyamik Pass) সংক্রান্ত আরও অন্যান্য আপডেট পেতে নিয়মিত ফলো রাখুন আমাদের পেজে।
Written by Shampa Debnath.

পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সবাই পাশ। ফেল করলেও পাশ করার সুযোগ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button