এই ধান যেখানে চাষ বা Rice Cultivation করা হচ্ছে সেখানে নানা রকমের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা রয়েছে। তবে চাষিরা সমস্ত প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে রেখে চাষ করছে। এই ধানের একবার ভালো মতন চাষ করতে পারলে ফলন এতটাই বেশি করে হয় যে আপনার চাষে জন্য বরাদ্দ কষ্ট সার্থক হবে। এই রাজ্যে মোট ২৮ রকমের এই রকমের নামিদামি ধানের চাষ হচ্ছে। যদিও প্রথম দিকে এই ধানের ফলন কষ্টকর হলেও একবার ফসল ফলাতে পারলে আপনার চেয়ে লাভবান আর কেউ হবেনা।
Costly Rice Cultivation in West Bengal India
একবার যদি ধান তথা Paddy ঠিকভাবে তৈরি হয়ে যায় তাহলে চাষিরা খুবই লাভবান হবে। কোথায় এই চাষ বা Rice Cultivation করা হচ্ছে এই ধানের জানেন? সুন্দরবনের মত প্রাকৃতিক প্রতিকূল এলাকায় চাষ হচ্ছে এই ধান। জানা যাচ্ছে এই ধান খুবই সুগন্ধি। এই ধানের থেকে যে চাল বেরোয় তার রং কালো, বেগুনি লালচে রঙের হয়।
এই চাষের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বায়োডাইভারসিটি বোর্ড বা West Bengal Stet Biodiversity Board. ২০১৯ সালে এই দামি ধান ফলানোর বা Rice Cultivation প্রথম চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সময় দুই থেকে তিন বিঘা জমিতে চাষ শুরু করা হয়েছিল। এরপর সাফল্য আসার পর ধীরে ধীরে প্রায় আট হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ তথা Rice Cultivation করা হচ্ছে।
সাবধান! বাতিল হচ্ছে প্রচুর রেশন কার্ড। আর করবেন না এই কাজ। করলেই মহাবিপদে পড়বেন।
এই সমস্ত ধানের বিপুল পরিমাণের দাম পাওয়া যাচ্ছে। সুন্দরবনের গোসাবার টিটলিঘেরা, শান্তিগাছি এবং কুলতলির মইপীঠ গ্রামে এই ধানের চাষ হচ্ছে। এছাড়া এই গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও চাষিরা এই ধান চাষ তথা Rice Cultivation করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এই মুহূর্তে ২৮ রকমের সুগন্ধি ধান পরীক্ষামূলকভাবে চাষের কাজ শুরু হয়েছে।
এই ২৮ রকমের সুগন্ধি ধান এর মধ্যে রয়েছে মরিশাল, মেঘনা, মাছকন্যা, বিরহী, কলাবতী, খণ্ডগিরি, লাল জোয়ারি, দোপানা, তুলাইপাঞ্জি, খেজুর ছড়ি, হরিণ খুরি, নাগেশ্বরী, তুলসীমুকুল, নরসিংহের মত ধানও। এই সকল ধানগুলো প্রত্যেক কিলো ধরে ১১০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
পিএম কিষান যোজনার 17 তম কিস্তির টাকা কবে পাবে কৃষকবন্ধুরা? লিস্ট ও তারিখ চেক করুন।
আর এর ফলে এই ধান তথা Paddy বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে কৃষকেরা। আপনিও যদি কৃষক হয়ে থাকেন তাহলে এই ধান চাষ তথা Rice Cultivation এর পদ্ধতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে এই ধানের চাষ করে লাভবান হওয়ার সুযোগ করে নিন।
Written by Shampa Debnath.