রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের তরফ (GPF Withdrawal Rules) একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে কিছু নতুন নিয়ম উল্লেখ করা আছে। এই নিয়ম অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের অনেকটাই লোকসানের মুখে পড়তে হবে এবার থেকে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোন খাতে ক্ষতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে জেনে নেওয়া যাক। সম্পূর্ণ খবর জানতে হলে পুরো প্রতিবেদনটি পড়ুন। এবং এই ধরনের নিত্যনতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন ও আমাদের চ্যানেলটি ফলো করুন।
Govt Employees GPF Withdrawal Rules Update
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে General Provident Fund বা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড বা জিপিএফ (GPF) নিয়ে একটি নিয়ম। সেই নিয়ম অনুযায়ী এবার থেকে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকার বেশি জমা করতে পারবেন না কোনও (GPF Withdrawal Rules) রাজ্য সরকারি কর্মী।
এবার থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (GPF Withdrawal Rules) নিজেদের বেসিক বেতনের ৬ শতাংশ পর্যন্ত টাকা রাখতে পারবেন। এই নিয়মের পরেও অনেক কর্মী নির্দিষ্ট সীমার বাইরে টাকা রাখেন। তাই আবারও কড়া নির্দেশ দেওয়া হলো এই বিষয়ে।
কিন্ত এমন কড়া নির্দেশ দেওয়ার কারণ কি
জিপিএফ-এ এমনিতে অন্য জায়গার থেকে সুদের হার (GPF Withdrawal Rules) বেশি হয়। প্রায় ৮ শতাংশ সুদ দেওয়া হয়। আর বেশি সুদের লাভের জন্যই বেশি করে টাকা রাখছিলেন কর্মীরা। সরকারের যাতে বেশি সুদ দিতে না হয় সেজন্য এই নিয়ম জারি করলো অর্থ দপ্তর। বেশি সুদ হলে সেটা সরকারকেই বহন করতে হবে। তাই একটা নির্দিষ্ট টাকা সীমা বেঁধে দেওয়া হলো।
প্রসঙ্গত, সরকারি কর্মীরা যদি জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে বা General Provident Fund টাকা রাখেন, তাঁকে ৮ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হয়। সাধারণ ব্যাঙ্কের সুদ থেকে তা অনেকটাই বেশি। এই আবহে বেশি সুদের জন্যেই হয়ত অনেক সরকারি কর্মীরা নির্ধারিত সীমার বেশি টাকা রাখছিলেন জিপিএফ অ্যাকাউন্টে। তবে সেই সুদ সরকারকেই দিতে হবে।
নিজের ব্যবসা করতে টাকা দিচ্ছে সরকার। আজই MSME লোনের আবেদন করে, ব্যবসায়িক ঋণ নিন।
এইজন্য GPF Withdrawal Rules এ কড়া নির্দেশ দিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো অর্থ দপ্তর। এরপরেই যদি কেউ এই নিয়মকে উপেক্ষা করে বেশি সুদের আশায় ৫ লাখের বেশি টাকা জমা করেন তারজন্য উপযুক্ত স্টেপ নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, নতুন অর্থবর্ষ থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের জন্য অনলাইন জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড পোর্টাল চালু হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার লক্ষের মতো। এই অনলাইন জিপিএফ একাউন্ট খোলার (GPF Withdrawal Rules) পরে অনেকটাই সুবিধা হলো শিক্ষক শিক্ষিকাদের।
আধার কার্ড গ্রাহকদের সুখবর। টাকার দরকার হলেই টাকা দিচ্ছে ব্যাংক। 5 মিনিটে ব্যাংক একাউন্টে ঢুকবে।
কারণ এতদিন স্কুলে গিয়ে একাউন্ট দেখার জন্য আর্জি জানাতে হতো। এখন থেকে বাড়িতে বসেই অনলাইনে খুব সহজেই দেখে নেওয়া যাবে (GPF Withdrawal Rules) জিপিএফ একাউন্ট। অর্থাৎ একটা দিক দিয়ে রাজ্য সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকাদের লোকসান হতে চলেছে। অন্যদিকে অনলাইনে একাউন্ট দেখার সুবিধাও মিলেছে।
Written by Shampa Debnath.