Lakshmir Bhandar New Update.
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের জন্য অনেক রকম প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) ব্যাবস্থার চালু করেছেন। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কন্যাশ্রী, যুবশ্রী এবং বার্ধক্য ভাতা আর তারসাথে যেটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছে সেটা হলো বাংলার মহিলাদের জন্য করা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় যে সমস্ত মহিলা নিযুক্ত রয়েছেন তাদের সারাবছর ধরে একটা মাসিক ইনকামের রাস্তা বের হয়েছে।
ফলে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের অনেক গৃহবধূর হাত খরচ চালানোর মতন কিংবা দরকারি কাজ মেটাতে এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। অনেক মহিলাই এই প্রতি মাসের লক্ষ্মীর ভান্ডারের (Lakshmir Bhandar) টাকা জমিয়ে ছোটখাটো ব্যাবসা করে স্বনির্ভরশীল হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তাই সারা বাংলা জুড়ে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প নাম করেছে।
এতদিন এই লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য কয়েকদিন ব্যাপী স্কুলে স্কুলে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসে। সেই ক্যাম্পে গিয়ে ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে থাকা মহিলারা উপযুক্ত নথি ( আঁধার কার্ড, ছবি, ব্যাংকের পাশবুকের জেরক্স, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড) প্রভৃতি নিয়ে ফ্রম নিয়ে পূর্ণ করে জমা দিয়ে আসতে হয়। আর তারপরেই নির্দিষ্ট সময় পরে সরকারের খাতায় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে তার নাম নথিভূক্ত হয়। এরপর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে টাকা ঢোকে।
এই প্রকল্পে এস সি ও এস টি ক্যাটাগরির মহিলাদের সরকার থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে এবং জেনারেলদের প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে জমা হয়। সেপ্টেম্বরে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসেছিল। তাতেও নতুন করে অনেক মহিলা নাম নথিভূক্ত করেছে।
বর্তমানে রাজ্যের ১.৯৮ কোটিরও বেশি মহিলা এই প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar) সুবিধা পাচ্ছেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত দুয়ারে সরকারের শেষ সংস্করণে প্রাপ্ত আবেদনগুলি যাচাইয়ের পরে আরও ৯.৫ লক্ষ মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে জানা যাচ্ছে। এই নতুন সুবিধাভোগীদের যুক্ত হলে মোট সংখ্যা ২.০৭ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
তবে আর কোনো দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বসবে না। এবার থেকে সারাবছর ধরেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করা যাবে। আর তার জন্য গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দারা আবেদন পত্রের জন্য নিকটবর্তী বিডিও অফিসে যেতে হবে এবং সেখানে উপযুক্ত ডকুমেন্ট নিয়ে ফ্রম ফিলাপ করে একই জায়গায় জমা দিতে হবে। শহুরে এলাকার ক্ষেত্রে, মহিলাদের এসডিও অফিসে যেতে হবে। কলকাতার বাসিন্দারা কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (কেএমসি) অফিসে গিয়ে এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য মাত্র চার মাস পরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সরকার থেকে একটি সমীক্ষা চালু করা হয়েছে রাজ্যের মহিলাদের জন্য এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প কতটা প্রভাব ফেলেছে সেটা পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
তবে বাংলার মহিলাদের জন্য এই লক্ষ্মীর ভান্ডার অনেকটাই আর্থিক দিক থেকে বাংলার মহিলাদের জন্য একটা স্বনির্ভরের জায়গা করে দিয়েছে সেটা বোঝাই যায়। আর এখন থেকে নতুনদের জন্য দুয়ারে সরকারের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে হবেনা। আপনি চাইলেই যে কোনো সময় এই লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
Written by Shampa Debnath.
পেনশন গ্রাহকদের সুখবর। লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত।