Life Certificate – নয়া নিয়মে বদলে যাচ্ছে অনেক কিছু, জানুন বিস্তারিত।
প্রত্যেক সরকারি পেনশনভোগীদের বছরের শেষে নভেম্বর মাস নাগাদ লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দিতে হয় ব্যাংকে। নভেম্বর মাস পড়েই গিয়েছে। ফলে সরকারি পেনশনারদের চিন্তা কবে ব্যাংকে যাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে। বিশেষ করে যাদের বয়স অনেক ও বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন তাদের চিন্তাটা আরও বেশি। কারণ প্রতি বছর এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে যাওয়া একটা সমস্যার বিষয়। কিন্ত এবছর থেকে সেই চিন্তার থেকে রেহাই মিলল। এবার থেকে ব্যাংকে গিয়ে স্ব শরীরে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে আসতে হবেনা। সরকার থেকে বাড়ি বাড়ি লোক পাঠাবে এই সার্টিফিকেট জমা নেওয়ার জন্য।
লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক কেনঃ
প্রত্যেক সরকারি জব করতেন যারা কাজ থেকে রিটায়ার্ড হয়ে গেছেন তাদের মাসে মাসে একটা পেনশন দেয় সরকার। লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) হলো তিনি যে নিজে এখনো অবধি জীবিত আছেন তার প্রমাণপত্র ব্যাংকে জমা দেওয়া। তাই প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাসের মধ্যে স্ব-শরীরে ব্যাংকে গিয়ে সেটা জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দিওয়ালী উপলক্ষে নভেম্বরে মাসে 2 বার রেশন দেওয়া হবে! সাথে পাবেন অতিরিক্ত সামগ্রী।
এছাড়া সরকার থেকে দেখেছে এমন অনেক ব্যক্তি মরে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তার ডেড সার্টিফিকেট জমা করেনি। এবং তার পরিবর্তে সেই মৃত ব্যক্তির পেনশনের টাকা প্রতিমাসে ব্যাংক থেকে তার হয়ে তুলছিলেন। আবার যারা মূর্মুষ রোগী পেনশন পান তাদের টাকা প্রতি মাসে ঠিক আসার জন্য এই নভেম্বর মাসে যতই কষ্ট হোক দরকারে খাট সুদ্ধ বা কোলপাজা করে তুলে ব্যাংকে আনা হতো।
এই সমস্যাগুলো দুর করার জন্য ব্যাংক ঠিক করে লাইফ সার্টিফিকেট নিয়ে কিছু নতুন নিয়ম। আর এবার থেকে কষ্ট করে ব্যাংক আসতে হবেনা। সরকার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যাংকের কাজটি বাড়িতেই করিয়ে নেবে। এর ফলে সেই অসুস্থ মানুষটির ব্যাংকে যাওয়ার ঝক্কি থেকে রেহাই পাবেন।
তবে এর কতগুলো নিয়ম এবং শর্ত আছে। আসুন সেগুলো দেখে নেওয়া যাক-
(1) ৮০ বছরের বেশি বয়সের পেনশনারদের লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হল। ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর করা হলো।
(2) ৮০ বছরের নিচে পেনশন প্রাপকদের লাইফ সার্টিফিকেট জমার সময়সীমা আগের মতই পর্যন্ত রাখা হয়েছে। ১লা নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর।
(3) পেনশন প্রপকরা চাইলে ব্যাঙ্কের এই নতুন নিয়ম ডোর স্টেপ ব্যাংকিং পরিষেবা পদ্ধতি নিতে পারেন। বাড়িতে বসেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারবেন। তাঁদের আর ব্যাঙ্কে আসার বিন্দুমাত্র দরকার পড়বে না।
(4) ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং পরিষেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বা ডোর স্টেপ অ্যাপ ব্যবহার করে নিকটবর্তী শাখায় বাড়িতে বসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সার্ভিস বুক করতে হবে। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টের মধ্যে এই সার্ভিস নিতে পারবেন।
(5) বাড়িতে বসে লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দেওয়ার সার্ভিস বুক করলে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি আপনার বাড়িতে এসে অ্যাপের মাধ্যমে গোটা কাজটা সেরে নেবেন। তবে এর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় যাবতীয় নথি থাকতে হবে।
যেমন আঁধার কার্ড, আঁধার কার্ডের সাথে পেনশন অ্যাকাউন্টের লিংক করা থাকতে হবে।
চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন, প্যান কার্ড এগুলো হাতের কাছে থাকতে হবে ।
বাড়িতে বসে লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) জমা দেওয়ার এই পরিষেবার ক্ষেত্রে নন ফিনান্সিয়াল ডোর স্টেপ ব্যাঙ্কিং সার্ভিস চার্জ করা হবে। এর জন্য ৭০ টাকা প্লাস জিএসটি খরচ পড়বে। তবে কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই সার্ভিস চার্জ বেশি হতে পারে। আবার কিছু ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের বিনামূল্যে এই পরিষেবা দিয়ে থাকে
তবে কোনও ব্যাঙ্কের যদি ডোর স্টেপ ব্যাংকিং পরিষেবা চালু না থাকে তবে সেখানকার গ্রাহকরা এই সুবিধা পাবেন না। যদি আপনি এই সুবিধা নিতে চান তাহলে খুব দ্রুত এই নভেম্বরের মধ্যেই ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গিয়ে বা ডোর স্টেপ অ্যাপ ব্যাবহার করে এই সার্ভিস বুক করুন।
Written by Shampa Debnath.
বিনামূল্যে রেশন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা। আগামী 5 বছর পুরো ফ্রি, নিশ্চিন্তে থাকুন।