Free Ration In West Bengal
রাজ্য সরকার থেকে করোনাকালীন সময়ে বিনামূল্যে রেশন (Free Ration) দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশ প্রত্যেক রেশন ডিলারগুলোতে বলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত সরকারের বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ঘোষণার অনেক আগেই ডিলারদের নিজেদের অর্থ দিয়ে রেশন সামগ্রী কিনে রেখেছিলেন। কিন্ত সরকারের নির্দেশ মতন তারা বিনামূল্যে রেশনে খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করেন। তাদের নিজদের টাকা দিয়ে কেনা সামগ্রীর জন্য সরকার টাকা দিয়ে দেবেন বলেন। কিন্ত আজও সেই বকেয়া টাকা তারা পাননি বলে অভিযোগ করেন।
কিন্ত সরকার থেকে বলা হয়েছিল রেশন ডিলাররা এই রেশনের খাদ্য সামগ্রী কেনার জন্য যে অর্থ খরচ করবে সরকার সেটা দিয়ে দেবে। এতদিন হয়ে যাবার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর না পাওয়া এবার চরম উত্তেজিত হয়ে উঠলো রেশন ডিলারদেন সংগঠন।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর মন্তব্য ‘সমস্যা না মিটলে ডিসেম্বর মাস থেকে বাংলার রেশন ডিলাররা আর রেশন পরিষেবা দেবেন না।’ তিনি জানান, সংগঠনের রাজ্য কমিটির বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত DA বৃদ্ধিকে হাতিয়ার করে নিজেদের দুর্দশার কথা তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা।
দিওয়ালী উপলক্ষে নভেম্বরে মাসে 2 বার রেশন দেওয়া হবে! সাথে পাবেন অতিরিক্ত সামগ্রী।
তাদের মূল বক্তব্যঃ
যে হারে প্রতি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি হয়ে চলেছে তার ফলে তাদের খাদ্য সামগ্রী কিনতে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে কিন্তু সরকার থেকে রেশন ডিলারদের (Free Ration) কমিশন বাড়ানো হচ্ছে না। বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। কিন্তু তাদের কমিশন বাড়ছে না সমান তালে। ২০২২ সালের এপ্রিলে ২০ টাকা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু সেই টাকা পর্যাপ্ত নয় এই মূল্যবৃদ্ধির যুগে। সেই ব্যাপারে কোনো চিন্তা নেই কেন্দ্রের।
এদিকে শুধুমাত্র কেন্দ্র নয়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ রয়েছে রেশন ডিলারদের। এই নিয়ে বিশ্বম্ভর বসুর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের কাছে বহুবার দরবার করেও সমস্যার সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি। এমনকী রাজ্যের কাছে প্রচুর বকেয়া জমে রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এই আবহে বাংলায় রেশন পরিষেবা (Free Ration) বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ডিলারদের।
এছাড়া তাদের আরও অভিযোগ হলো রেশন সামগ্রীর হ্যান্ডলিং লসের টাকাও অনেক ক্ষেত্রে ঠিকঠাক পাওয়া যায় না। এই নিয়েই এক অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। রেশন ডিলারশিপ গুলো একত্রিত হয়ে জোটবদ্ধ হয়েছে। তাদের দাবি না মেটানো অবধি তারা আর রেশন বণ্টন করবেনা। সরকারকে তাদের বক্তব্য শুনে তাদের দাবি মেটাতে হবে তবেই তারা রেশন বণ্টন করবে।
কিন্তু এমন রেশন বন্ধের দাবিতে সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে দরিদ্র থেকে নিম্ন মধ্যবিত্ত। তাদের এই রেশনের খাদ্য সামগ্রী খেয়েই জীবন কাটে। কিন্ত ডিলারদের এই রেশন (Free Ration) বন্ধের হুশিয়ারি যেন তাদের অনেকটাই চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। তবে সরকার থেকে এই নিয়ে এখনো কোনো বার্তা দেয়নি। দেখা যাক সরকার কি স্টেপ নেয় সবকিছু পর্যালোচনা করে।
Written by Shampa Debnath.
লটারি জেতার উপায়। এই পদ্ধতিতে লটারি কাটলে পুরস্কার জেতা নিশ্চিত।