এই বছরে মুখ্যমন্ত্রীর নতুন দুই প্রকল্পের ঘোষণা করা হল।

নতুন বছর শুরু হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির তরফে রাজ্যবাসীর জন্য নতুন দুই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। তার বক্তব্য অনুসারে “দিদির সুরক্ষা কবচ” ও “দিদির দূত” নামে দুটি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। ২ রা জানুয়ারি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্প নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।

কি এই নতুন দুই প্রকল্প জেনে নিন।

দিদির সুরক্ষা কবচঃ-
এই নতুন প্রকল্পের অধীনে পূর্বের সকল প্রকল্প যেমন – কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এছাড়াও রাজ্য সরকারের ১৫ টির বেশি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সকল নাগরিকরা ঠিক ভাবে পাচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে।

দিদির দূতঃ-
দিদির দূত হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মীদের এই কাজের জন্য নিযুক্ত করা হবে। এর অতিরিক্ত দিদির দূত নামে একটা অ্যাপ লঞ্চ করতে চলেছে সরকার। এই অ্যাপ এর মধ্যে রাজ্যের সকল প্রকল্পের তথ্য ও আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দিদির দূত দের মূল কাজ হবে সকল নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে নিশ্চিত করা যে তারা এই অ্যাপ ঠিক করে ব্যবহার করতে পারছে কিনা।

আগামী মাস থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আরও বেশি টাকা পাবেন, নতুন নামের লিস্ট দেখুন।

দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকারের সকল প্রকল্প গুলিকে ৬ টি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে –
১. প্রথম শ্রেণীঃ-
এই শ্রেণিতে সরকারের মুখ্য সামাজিক প্রকল্প গুলিকে রাখা হয়েছে যেমন – লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু এই সকল প্রকল্প স্থান পেয়েছে।

২. দ্বিতীয় শ্রেণীঃ-
উপার্জনের জন্য সকল প্রকল্প গুলিকে এই দ্বিতীয় শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। যুবশ্রী প্রকল্পকে মুলত রাজ্য সরকারের রোজগার প্রদানকারী প্রকল্প হিসাবে ধরা হয়ে থাকে।
৩. তৃতীয় শ্রেণীঃ-
রাজ্যের শিক্ষার উন্নতির জন্য সকল প্রকল্প গুলিকে এই শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, ঐক্যশ্রী, সকল প্রকারের স্কলারশিপ গুলিকে রাখা হয়েছে।

৪. চতুর্থ শ্রেণীঃ-
স্বাস্থ্যর উন্নতির জন্য প্রকল্প গুলিকে এই শ্রেণিতে রাখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক এবং অদ্বিতীয় এক প্রকল্প হল স্বাস্থ্যসাথী। এছাড়াও সমব্যাথী, শিশুসাথী এই সকল প্রকল্প গুলিকে এই শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।

৫. পঞ্চম শ্রেণীঃ-
রাজ্যের সকল নাগরিকদের নিজের বাড়ি প্রদান করার উদ্দেশ্যে “স্নেহালয় হাউসিং স্কিম” ২০২২ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর তরফে। এছাড়াও বাংলা আবাস যোজনাকে এই শ্রেণিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
৬. ষষ্ঠ শ্রেণীঃ-
রাজ্যের সকল তপশিলি ও উপজাতিদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করা হয় জয় বাংলা প্রকল্পের অধীনে। এই প্রকল্পের আওতায় ১০০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।

নতুন বছরে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে যুক্ত হল নতুন নিয়ম, না মানলে বাতিল হবে কার্ড।

আগামী ১১ ই জানুয়ারি ২০২৩ থেকে এই দুটি প্রকল্প কার্যকর করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এই দিন থেকেই দিদির দূতেরা রাজ্যের সকল বাড়িতে ঘুরে ঘুরে এই নতুন প্রকল্পের বিষয়ে সকলকে জানাবেন এবং ক্যালেন্ডার আর ছবি বিতরণ করবেন।
এই দুই প্রকল্প নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরণের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।

Leave a Comment