8 টি প্রকল্পের টাকা পঞ্চায়েত ভোটের আগেই একাউন্টে ঢোকানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।

বছরের শেষে নাগরিকদের জন্য সুখবর নিয়ে হাজির হল সরকার। দিতে চলেছে ৮ প্রকল্পে আর্থিক সাহায্য দেখে নিন বিস্তারিত ভাবে। ২১ এর দশকে এসেও আমাদের দেশকে এখনও কৃষিপ্রধান দেশ বলা হয়। আর ভারতকে কৃষিপ্রধান দেশ বানানোর কাণ্ডারি হচ্ছেন আমাদের দেশের কৃষকরা। এক সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমানে আমাদের দেশে ৩ কোটি ৬১ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত। এই বিপুল কৃষকের জন্য আমাদের দেশ চাল উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়, গম উৎপাদনে দ্বিতীয় ও দুধ উৎপাদনে সারা বিশ্বের মধ্যে প্রথম।

Advertisement

নতুন ৮ প্রকল্পে টাকা পাবেন কীভাবে দেখুন।

তাই স্বাধীনতার পর থেকে সকল সরকারেরা কৃষকদের জন্য নানা স্কিম নিয়ে হাজির হয়েছে। আজকে আমরা এই সকল বিষয়ে আলোচনা করতে চলেছি।
১. কৃষক বার্ধক্য ভাতাঃ-
পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারি যেই সকল কৃষকের বয়স ৬০ বছর পার হয়ে গেছে বা তারা কোন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জন্য আর কৃষিকাজ করতে পারেন না। তাদের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রকল্পর ঘোষণা করা হয়েছিল। এই স্কিমের অধীনে সকল কৃষকদের মাসে ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। তাই বছরের শেষেও তারা এই আর্থিক অনুদান পেয়ে যাবেন।

Advertisement

২. কিষান ক্রেডিট কার্ডঃ-
কিষান ক্রেডিট কার্ড ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে কৃষকদের এই কৃষি কাজ করার জন্য একটা ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের অধীনে একজন কৃষককে সর্বচ্চো ৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু কোন কৃষক এই প্রকল্পের অন্তর্গত কত টাকা পাবে সেটা তার জমি আর চাষ করার অভিজ্ঞতার ওপরে নির্ভর করে। এর আগে যারা এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তারা চলতি মাসে এই টাকা পেয়ে যাবেন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এর টাকা পাবেন কীভাবে? মানতে হবে এই নিয়ম, নইলে লিস্টে উঠবেনা নাম।

৩. প্যাডি পারচেস স্কিমঃ-
এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি বছরের ১৫ ই ডিসেম্বর রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সরাসরি কৃষক বা কৃষকদের কো – অপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে ধান কেনা হয়ে থাকে। বিভিন্ন সরকার তাদের নাগরিকদের জন্য খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের জন্য এই ধান কিনে থাকে। তাই বছরের শেষে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রি করে টাকা রোজগার করতে পারবে।

৪. বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পঃ-
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের সকল শ্রেণির কৃষকদের জন্য এই বিমার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যেই সকল কৃষকের ফসল ঝড় – বৃষ্টি – প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য খারাপ হয়ে যায়। তাদের জন্য বছরে দুইবার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় সরকারের তরফে। এই বছরের জন্য দ্বিতীয় কিস্তির টাকা এই ডিসেম্বর মাসে দেওয়া হবে।

৫. কৃষক যন্ত্রায়ন প্রকল্পঃ-
এই প্রকল্পের অন্তর্গত কৃষকেরা কৃষি কাজের জন্য যেই সকল যন্ত্র কেনা হয় সেখানে সরকারের তরফে ৫০% ভর্তুকি দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এর প্রধান শর্ত হল – প্রথমে কৃষকদের নিজেদের টাকায় পুরো মেশিন কিনে নিতে হবে। এর পরে সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউণ্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের জন্য যারা আবেদন করেছিলেন তারা চলতি মাসে এই টাকা পেতে চলেছেন।

৬. বাংলা কৃষি সেচ যোজনাঃ-
চাষ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদান হল জল। আর এই স্কিমের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সকল অন্নদাতাকে ১৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। পুরো জমির পরিমাপের ওপরে এই জিনিসটা নির্ভর করছে।

৭. কৃষক বন্ধু প্রকল্পঃ-
পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুসারে ১৭ ই জুন ২০২১ সালে এই স্কিমের শুরু হয়েছিল। আমাদের অন্নদাতারা যাতে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে যেতে কোন ধরনের আর্থিক অনটনের সম্মুখীন না হতে হয়। এর মাধ্যমে এক বছরে দুই বার ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। যাতে কৃষকেরা ঋণগ্রস্ত না হয়ে পরে জমির পরিমাপ অনুসারে অনুদানের সীমা ঠিক করা হয়।

৮. কৃষক বন্ধু ডেথ বেনিফিট প্রকল্পঃ-
যেই সকল কৃষকের পূর্বে আলোচিত প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করা আছে তারা এই ডেথ বেনিফিটের সুযোগ পেয়ে যাবে। কৃষকের মৃত্যুর পরে ৩ মাসের মধ্যে পরিবারের সদস্য বা প্রকল্পে উল্লেখিত উত্তরাধিকারী ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে আবেদন করলে ২ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়ে যাবে। এর ফলে মৃত্যুর পরে কোন কৃষকের পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

 ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকলেই বিনামূল্যে মিলবে 2 লক্ষ টাকা, এইভাবে আবেদন জানান।

এই সকল প্রকল্পের মাধ্যমে যদি আপনি আবেদন করে থাকেন তাহলে আপনি এই মাসে সকল অনুদান পেতে চলেছেন। এই নিয়ে আপনার মোট নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই রকমের আরও খবর পাওয়ার জন্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button