Bank Loan – ব্যাংক লোন নেওয়া নিয়ে সতর্ক করলো রিজার্ভ ব্যাংক। গ্রাহক ও ব্যাংক সবাইকে মানতে হবে
Bank Loan – প্রত্যেকটি ব্যক্তি ব্যাংকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ ব্যাংকে প্রত্যেকটি ব্যক্তি নিজের উপার্জনের কিছুটা অংশ সঞ্চয় করেন ভবিষ্যতের জন্য আবার অনেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে। তাই ব্যাংকের সাথে জড়িত রয়েছে সাধারণ মানুষজন কিন্তু জানা যাচ্ছে ব্যাংক লোন দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে তার কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকার পরিমান দিনে দিনে কমছে।
New rules for Taking Bank Loan
ব্যাংকে সাধারণ গ্রাহকরা যে পরিমাণ টাকা সঞ্চয় করেন তার থেকেই ব্যাংক বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে লোন বা Bank Loan দিয়ে থাকে এবং তার প্রাপ্ত সুদ থেকে মুনাফা অর্জন করে থাকে ব্যাংকগুলো। কিন্তু ব্যাংকে জমায়েত অর্থের পরিমাণ যদি কমে যায় তাহলে ব্যাংক কিভাবে লোন দেবে? বর্তমানে এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন ব্যাংক কতৃপক্ষ মহা চিন্তায় পড়েছেন।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে দেশের ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ কমছে। এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিং এই পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছে। কারণ এমন অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সময়ে ব্যাংকগুলোকে লোন (Bank Loan) প্রদানের হার কমাতে পারে। আর এর ফলস্বরূপ সমস্যায় পড়বেন সাধারণ মানুষজন।
কারণ দেশে ঋণ গ্রহীতার সংখ্যা প্রচন্ড পরিমাণে বাড়ছে। বর্তমানে মানুষজন বাড়ি করার জন্য, গাড়ি কেনার জন্য, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, পড়াশোনার জন্য, মেয়ের বিয়ের জন্য বিভিন্ন কারণে লোন বা Bank Loan নিয়ে থাকে। গত কয়েকদিনে, HDFC ব্যাঙ্ক এবং ইয়েস ব্যাঙ্ক সহ অনেক ব্যাঙ্ক তাদের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিক ফলাফল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ও মুনাফা দেখেছে। চলতি অর্থ বছরেও তাদের পারফরম্যান্স চমৎকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকে আমানত কমে গেলে ঋণ দিতে সমস্যায় পড়বেন ব্যাংকগুলো।
আমেরিকার মর্যাদাপূর্ণ রেটিং এজেন্সি এসএন্ডপি গ্লোবাল রেটিংস এই বিষয়কে পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তকে উপনীত হয়েছেন যে আর কিছু দিন পর থেকে ব্যাঙ্কগুলি তাদের লোন বা Bank Loan প্রদান কমাতে বাধ্য হতে পারে কারণ ব্যাঙ্ক আমানত সেই গতিতে বাড়ছে না। ব্যাংকগুলো তে গ্রাহকরা বেশি টাকা জমা করছে না এর কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে যে ব্যাংক ছাড়াও অন্যান্য অনেক সংস্থা রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করলে আরো অধিক ভালো রিটার্ন পাওয়া যায় তাই এই ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকরা টাকা জমায়েত করতে বিরত থাকছে।
RBI এর নির্দেশে ভারতে চালু হচ্ছে নতুন ব্যাংক। গ্রাহকদের লাভ হবে? রিজার্ভ ব্যাংকের তালিকা দেখে নিন
এ বিষয় নিয়ে S&P গ্লোবাল রেটিং-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ডিরেক্টর নিকিতা আনন্দ বলেছেন, ‘ব্যাঙ্কের আমানতের বৃদ্ধি, বিশেষ করে খুচরা আমানত, কম হলে তা তাদের লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে ভালো হবে না। এ অবস্থায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর ঋণ প্রবৃদ্ধি ১৪ শতাংশে নেমে আসবে, যা গত অর্থবছরে ছিল ১৬ শতাংশ। S&P-এর মতে, সমস্ত ব্যাঙ্কের লোন-টু-ডিপোজিট অনুপাত হ্রাস পেয়েছে, যার মানে গ্রাহকেরা ব্যাঙ্ক থেকে বেশি ঋণ নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁদের টাকা কম জমা করছে। আমানতের প্রবৃদ্ধির চেয়ে ঋণের প্রবৃদ্ধি ২-৩ শতাংশ বেশি।
নিকিতা আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করছি যে ব্যাঙ্কগুলো চলতি অর্থবছরে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে আনবে এবং তাদের আমানতের বৃদ্ধির দিকে নজর দেবে। যদি ব্যাঙ্কগুলি এটি না করে, তবে তাদের পাইকারি তহবিলের জন্য আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে হবে, যা সরাসরি তাদের লাভের অঙ্কের উপর প্রভাব ফেলবে। উল্লেখ্য, ওদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সোমবার কিছু ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিতে এবং অতিরিক্ত চার্জ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
Bank Loan নিয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের কড়া নিয়ম। গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাবেন! সঠিক নিয়ম জেনে নিন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ঋণ বিতরণের জন্য চেক ইস্যু করার পরিবর্তে ব্যাংকগুলোকে অ্যাকাউন্টে অনলাইনে তহবিল স্থানান্তর করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ কারণ সাধারণ মানুষ বেশিরভাগ সময় ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটায় এ লোনের মাধ্যমে তাই ব্যাংক যদি লোন দেওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন।
Written by Shampa Debnath