Gas Booking – ভোগান্তি গ্রাহকদের, গ্যাস সিলিন্ডারের ঘাটতি। আজ বুকিং করলে কবে সিলিন্ডার পাবেন?

Gas Booking: রান্নার অপরিহার্য একটি অংশ হলো গ্যাস সিলিন্ডার। বর্তমানে প্রত্যেকটি পরিবারে রান্না করা হয় গ্যাসের মাধ্যমেই। বিশেষ করে উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্প আসার পর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোতেও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে থাকেন। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে রান্নার গ্যাস তথা এলপিজি গ্যাস সরবরাহ নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।

Gas Booking – গ্যাস বুকিং

এতদিন পর্যন্ত গ্যাস বুকিং (Booking Gas) করার ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যেই বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ হয়ে যেত। কিন্তু সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে গ্যাস বুকিং করার পরেও অনেকদিন সময় লেগে যাচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ হতে। এমন কেন হচ্ছে এই বিষয়ে চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ জনতা। কারণ গ্যাস সিলিন্ডার ছাড়া রান্না করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে সাধারণ জনতার।

বুকিং করার পরেও অপেক্ষা করেও সিলিন্ডার না পাওয়ার জন্য অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনতাকে। রান্না করার জন্য বিকল্প পথ বেছে নিতে হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, বুকিং করার পরেও ১০ থেকে ১২ দিন পর মিলছে গ্যাস সিলিন্ডার। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে যে সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটররা সিলিন্ডারের জোগান দেয় তারা ঠিক মতো জোগান দিতে পারছে না। রাজ্যের তিনটি প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার মধ্যে ইন্ডিয়ান অয়েলের যে ছয়টি বটলিং প্ল্যান্ট রয়েছে, সেগুলোতে মূলত এই জোগান সংকট চলছে।

এছাড়া রয়েছে ইন্ডিয়ান ওয়েলের কর্মীদের কথা অনুযায়ী তাদের ন্যায্য দাবি মেটা না পর্যন্ত তারা প্লান্টগুলির কাজ করবে না। এছাড়া সিলিন্ডারের লোডিং কমে গেছে এবং কিছু কিছু জায়গায় কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে যার জন্য ডিস্ট্রিবিউটরাও গ্যাস সিলিন্ডার ঠিকমতো জোগান দিতে পারছে না। তবে গ্যাস সিলিন্ডারে এরকম সংকট করানো উচিত নয় বলে জানিয়েছেন পেট্রোলিয়াম সংস্থাগুলি।

কারণ তারা নির্দেশ দিয়েছেন গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহতে কোনরকম বিলম্বিত করা যাবে না। বুকিং করার পরেও গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করাতে বিলম্বিত করে সাধারণ জনতার কোনো রকম সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না। এই প্রসঙ্গে, অল ইন্ডিয়া এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজনবিহারী বিশ্বাস জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান অয়েলের বিভিন্ন প্ল্যান্টে শ্রমিকদের আন্দোলনের জন্যই মূলত গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

আন্দোলনের কারণে প্ল্যান্টের কাজ ধীরগতিতে চলছে এবং কোন জায়গায় পুরোপুরি স্থগিত হয়ে রয়েছে। যার ফলে গৃহস্থদের গ্যাস সিলিন্ডার পেতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব খুব শীঘ্রই এই অবস্থা কাটিয়ে উঠবে প্ল্যান্ট গুলো। এছাড়া ইস্টার্ন ইন্ডিয়া এইচপি ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সঞ্জয় আগরওয়াল জানান, তারা দেখতে পাচ্ছেন যে গ্যাস বুকিংয়ের পর গড়ে সাতদিনের একটা টাইম গ্যাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

কলকাতা ও পানাগড়ের গ্যাস রিফিলিং কারখানাগুলিতে গ্যাসের ঘাটতির কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। তবে কবে থেকে এই ব্যবস্থা উন্নতি ঘটবে সে ব্যাপারে এখনো কোনো আশানুরূপ কথা বলতে পারেননি ইন্ডিয়ান গ্যাস অ্যাসোসিয়েশন। তবে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের সংকটের জন্য সাধারণ মানুষদের রান্নার জন্য বিকল্প পথ অবলম্বন করতে হচ্ছে যার ফলে কিছুটা বাড়তি আর্থিক চাপ দেখা দিচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবারে।

আরও পড়ুন, এখন আর 500 দিতে হবেনা সিলিন্ডার পিছু আরো কমে পেয়ে যাবেন রান্নার গ্যাস, সরকারের বড়ো ঘোষণা

রাজ্য সরকার যদি এই ব্যাপারে কোনরকম হস্তক্ষেপ না করে তাহলে কত দিনে এই অবস্থা সচল হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। তবে এই গ্যাস সংকট যদি চলতে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের রান্না করার ব্যবস্থা একটি কঠিন পর্যায়ে পৌঁছাবে। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান হবে এবং আগের মতনই গ্যাস সিলেন্ডার বুকিং এর চার পাঁচ দিনের মধ্যেই সরবরাহ হয়ে যাবে।

যদিও আপাতত যেহেতু এইরকম বিপর্যস্ত অবস্থা রয়েছে তাই আপনারা হাতে সময় রেখে গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং করুন। কারণ একদম গ্যাস শেষ হবার মুহূর্তে বুকিং করলে গ্যাস সিলিন্ডার পেতে অনেকটাই হাতে সময় লাগবে তাই শেষ হওয়ার কিছুদিন আগে বুকিং করার চেষ্টা করুন। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এমনটাই আশা রাখছেন ইন্ডিয়ান গ্যাস অ্যাসোসিয়েশন। এমন আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য চোখ রাখুন এই পেজে।
Written by Shampa Debnath.

Leave a Comment