Holidays – কারা কারা পাচ্ছেন না পুজোর ছুটি, জানুন বিস্তারিত।
আপামর বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গা পূজা। দূর্গা পূজার কয়েকটি দিন আনন্দে মেতে ওঠে ছোট (Holidays) থেকে বড়ো সবাই। স্কুল থেকে অফিস সরকারি হোক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দূর্গা পূজার কয়েকটি দিন ছুটি থাকে। প্রত্যেক বছর পূজা শুরু হওয়ার এক মাস আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি ক্লাব কমিটির হেড কে নিয়ে মিটিং হয় এছাড়া বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে শুরু করে পুরসভার চেয়ারম্যান ও অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক বসে। সেখানে আলোচনা হয় দূর্গা পূজা কিভাবে পরিচালনা করতে হবে এছাড়া বিদ্যুৎ এর সংযোগ প্রতিটি ক্লাবে ও এলাকায় যেন ঠিক মতন থাকে। মণ্ডপে আসা মানুষদের কোনো রকম দুর্ভোগ যেন তাদের আনন্দে মাটি করতে না পারে তাই সরকারের এমন সতর্কতা।
পূজার (Holidays) আর গুনে এক মাস বাকি। সারা রাজ্য জুড়ে পূজার প্রস্তুতি তুঙ্গে যখন ঠিক এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃতি যেন ঠিক তার বিপরীতে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে আকাশ জুড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। কোনো থামাথামির ব্যাপার নেই। আর চারিদিকে জল জমে মশার উপদ্রপ বেড়ে যাচ্ছে। মশার কামড়ে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে ঘরে ঘরে জ্বর সর্দিতে জেরবার মানুষ। হাসপাতাল গুলোতে ডেঙ্গুর পেসেন্ট ভর্তি। অনেকের ইতিমধ্যে ডেঙ্গুর কারণে মারা গেছে।
তাই সরকার থেকে পুরসভার কর্মীদের প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে মশা নিধনের ঔষধ স্প্রে করতে বলা হয়েছে।বাড়ির কোথাও জল জমা আছে কিনা তাও বাড়ি বাড়ি খোঁজ করে দেখা হচ্ছে। বাড়ির আশেপাশে ঝোঁপ জঙ্গল আবর্জনা না ফেলার জন্য পৌরসভা থেকে বলা হচ্ছে।কারণ জমা জলেই ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি। তাই এই সতর্কীকরণ।
রেশন কার্ডের নিয়মে ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনলো সরকার, এতো দিন ধরে সবাই এটাই চাইছিল।
যখন মানুষ পূজার আনন্দে মেতে ওঠার কথা, শেষ সময়ের পূজার শপিং করার কথা সেসময় জ্বরের কবলে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। জানা যাচ্ছে আগের বছরের তুলনায় এবার বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়েছে। এবছর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। গতবছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৪০০।
কিন্তু এই বছর সেই সংখ্যা দাড়িয়েছে ২৭০০। তাই সরকারের এবং সাধারণ মানুষের এই ডেঙ্গু নিয়ে একটা ভয় দানা বেঁধেছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এবার পূজায় পুরসভার কর্মীদের ছুটি বাতিল হবে । পুজোর সময় রাজ্যের চারপাশ যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে সেই দিকে তাদের নজর নজর দিতে হবে। সেই সাথে এলাকার পরিছন্নতা বজায় রাখার দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তায়।
এছাড়া কলকাতার পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ অতিন ঘোষ জানিয়েছেন কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু প্রকোপ রয়েছে। আর তার মধ্যে ১, ১০, ১৩ নম্বর বেরো তে বেশি প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ১০ নম্বর বেরো সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড প্রায় ১২ টি। জানা গেছে এখানে কিছু কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস রয়েছে সেগুলিতে পুরসভার কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়না পরিষ্কারের জন্য। তাই ওখানে বেশি নজর দিতে হবে। এইসব কারণে এবার পূজার ছুটি (Holidays) বাতিল হতে চলেছে পুরসভার কর্মীদের। তারা তাদের ডিউটি করে যেতে হবে পূজার দিনগুলো।
পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে আদালতে রাজ্য সরকারের ঘোষণা। কি জানা গেল?
এছাড়া আগেই বলা গিয়েছিল বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের ও ছুটি (Holidays) বাতিল হবে পূজায়। রাজ্য জুড়ে যাতে পূজার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ অব্যাহত থাকে ও কোনো বিদ্যুৎ এর কারণে গোলযোগ তৈরি না হয় সেদিকটা খেয়াল রাখার জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের ছুটি বাতিল প্রায় ৭১ হাজার বিদ্যুৎ কর্মীর।
সরকার থেকে দূর্গা পূজায় এই দুই প্রতিষ্ঠানের অফিস কর্মীদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছেন।
Written by Shampa Debnath