WBCHSE – পুরো তথ্য জানতে পড়ুন বিস্তারিত।
এতকাল যাবৎ আমরা দেখে এসছি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক (WBCHSE) একবারই বড়ো পরীক্ষা দিতে হয়। সেটা হয় ফেব্রুয়ারি ও মার্চের দিকে। এই দুটোই জীবনের প্রথম বড়ো পরীক্ষা। নিজের স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য অচেনা স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। কিছুদিন আগে সরকার থেকে বলা হয় ক্লাস এইট অবধি সেমিস্টার সিস্টেমে পরীক্ষা হবে। ঠিক যেমন কলেজ গুলোতে হয়। এছাড়া মাধ্যমিক ও সেমিস্টার হিসাবে হবে।
এবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দুবার করে হবে। মঙ্গলবার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সংবাদ মাধ্যমে একথাই ঘোষনা করেন। তিনি জানান তারা ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সাথে কথা বলেছেন ও এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া রাজ্য সরকারের মতে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি থেকে বেরিয়ে তারা নিজেদের মতন শিক্ষা নীতিকে জোরদার করতে চলছেন। আশা করা যাচ্ছে ২০২৪ থেকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন শিক্ষানীতি চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।
গণেশ চতুর্থীর শুভ তিথিতে ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে এই নিয়মে লটারি কাটুন, আর জিতুন নিশ্চিত পুরস্কার।
পরীক্ষার ধরনঃ
একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে নভেম্বরের দিকে আরেকবার নেওয়া হবে মার্চের দিকে। দুটো পরীক্ষার ফলাফল দেখে গড় নম্বরের ওপর মার্কশিট তৈরি করা হবে। অন্যদিকে CBSC তে এমনই সেমিস্টার পদ্ধতিতে দুবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (WBCHSE) নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা সংসদ তাদের অনুকরণেই দুবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে CBSC তে দুটো পরীক্ষার মধ্যে যেটাতে ভালো নম্বর পাবে সেটাকেই গ্রাহ্য করা হয়
প্রশ্নের ধরনঃ
প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় মাল্টিপল টাইপের MCQ প্রশ্ন থাকবে। যেটা OMR শীটে দিতে হবে। দ্বিতীয় পরীক্ষায় সাদা কাগজে উত্তর দিতে হবে। সংক্ষিপ্ত ও বড়ো প্রশ্ন থাকবে। তবে প্রাকটিক্যাল এক্সাম একবারই হবে বলে জানা যাচ্ছে। সব ঠিক থাকলে এছাড়া উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে দেওয়া সিদ্ধান্ত শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা এই সিদ্ধান্তকে সর্বতকরণে গ্রহণ করলেই আশা করা যায় পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা এভাবেই নেওয়া হবে।
কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির মতে এই সেমিস্টার (WBCHSE) সিস্টেমে পরীক্ষা নেওয়া যুক্তিপূর্ণ মনে করছেন না। কারণ সবসময় এই পদ্ধতি ভালো ফলাফল দেয়না। যেমন কলেজ গুলোতেও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। দুবার এক্সামের ফলে তাদের সিলেবাস তৈরিতে সমস্যা হয়। এছাড়া নম্বর বিভাজনের দিকটি ও সমস্যা দেখা দেয়। পড়ুয়াদের একটা বড়ো পরীক্ষার আগে যেমন পড়ায় চাপ থাকতো একাগ্রতা থাকতো দুবার পরীক্ষা হলে তারা পরীক্ষা গুলোকে হালকা ভাবে নেবে। এছাড়া কেউ একবার পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে পরের বার খারাপ করলে তার গড় হিসাবে নম্বর দেওয়া হবে ফলে সবার গুণগত মান সেদিক থেকে সঠিক নির্বাচন হবে কিনা সেই ব্যাপারে সন্দেহ আছে।
অন্যদিকে, শিক্ষা সংসদের মতে এখন স্কুল পাশ করলেই অনেক চাকরি পরীক্ষা দেওয়া যায় আর সেখানে MCQ টাইপের প্রশ্ন থাকে। তাও OMR শীটে। স্কুল জীবনে এই প্রশ্ন প্যাটার্নের সাথে যেহেতু পরিচিতি থাকে না তাই চাকরি পরীক্ষায় তাদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। স্কুল জীবন থেকেই যদি এইভাবে পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের অনেক সুবিধা হবে। সেই কথাই মাথায় রেখে এহেন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
পশ্চিমবঙ্গে রেশন কার্ড নিয়ে চালু নতুন নিয়ম। খুশি হলো 9 কোটি রেশন গ্রাহক।
এখন দেখা যাক স্কুল শিক্ষা দপ্তর গুলো এই সিদ্ধান্তে একমত হয়ে এই শিক্ষা নীতিকে গ্রহণ করে কিনা। তবে আশা করা যায় তাদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে একপ্রকার তারা সম্মতি প্রকাশ করেছে। ফলে আগামী ২০২৪ – ২০২৫ শিক্ষা বর্ষে এই সেমিস্টার সিস্টেমেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দুবার নেওয়া হবে।
Written by Shampa Debnath