Electricity Bill – বিদ্যুৎ এর বিল নিয়ে বড় আশার কথা শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী, এবার থেকে হু হু করে কমবে বিদ্যুৎ বিল।
Electricity Bill – ঠিক কি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী জানুন বিস্তারিত।
প্রতি মাসেই কারেন্টের বিল (Electricity Bill) নিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের চিন্তার শেষ থাকে না। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে বিদ্যুতের বিল বেশি আসা মানেই চরম হয়রানি। অতিরিক্ত গরমের কারণে ২৪ ঘন্টাই পাখা চালাতে হয়। ফলে কোনওভাবেই এই বিদ্যুতের বিল সঞ্চয় করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কিন্তু আপনাদের জন্য রয়েছে সুখবর। এবার এই বাড়তি বিদ্যুতের বিলের জন্য আর হয়রানির শিকার হতে হবে না আপনাদের। এবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুতের বিল আসবে নাগালের মধ্যেই। এর ফলে ১ লাখ মানুষ চাকরি পাবেন। কিন্তু কিভাবে ? আজকের প্রতিবেদনে আমরা সেই উত্তরটাই দেব। তাই আর দেরি না করে প্রবেশ করা যাক আজকের প্রতিবেদনের মূল বিষয়ে।
বাড়তি বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) নিয়ে সকলেরই ভীষণ চিন্তা হয়। আর এই চিন্তা এবার কমতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ইঙ্গিত দিয়েছেন এবার থেকে বিদ্যুতের বিল নাগালের মধ্যেই থাকবে। গতকাল বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে শাসক দলের বৈঠক হয়। এদিন বিদ্যুৎ বিল কে কেন্দ্র করে তাঁর এই ইঙ্গিত শুরু করে দিয়েছে জল্পনা। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর এহেন বড়সড়ো মন্তব্য, খুশি করেছে অনেককেই।
গতকাল বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা ব্যানার্জি। আবার বীরভূমেও এই নিয়ে বড়সড়ো মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন কয়লার আলাদা খনি মিলেছে। এই কয়লা আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জীবনে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে বলে অনুমান করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষের উন্নতির কথা ভেবেই বীরভূমে হচ্ছে দেউচা পাচামি। এরই মধ্যে বীরভূমে কয়লার নতুন খনি পাওয়া গেছে।
এই নিয়ে ইঙ্গিত করা হচ্ছে বীরভূমে যে পরিমাণ কয়লা উৎপাদন হবে, তাতে আগামী ১০০ বছরে পশ্চিমবঙ্গে বৈদ্যুতিক শক্তির কোনও অভাব হবে না। আর এত পরিমাণ কয়লা উৎপাদন হওয়ার দরুন বিদ্যুৎ বিল (Electricity Bill) বেশ খানিকটা কমে যাবে বলেই আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়াও ব্যাপক কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ফলে রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুবতীদের মনে আশার আলো আবার জন্মেছে।
জানা যাচ্ছে, দেউচা পাচামি হয়ে যাওয়ার পর কয়েক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সরাসরি ১ লাখ মানুষ চাকরি পেয়ে যাবেন এর কারণে। আর বহু মানুষ কাজ করতে পারবেন আনুষাঙ্গিক শিল্পগুলোকে কেন্দ্র করে। এর ফলে সবথেকে বেশি লাভবান হবেন মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমান সহ বীরভূম ও মালদার বাসিন্দারা।