DA Hike: প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্য সরকারের কর্মচারী এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে ডিএ নিয়ে অসন্তোষ প্রতিবাদ, মিটিং, মিছিল পার করে সুপ্রিম কোর্টে এখনো পর্যন্ত ডিএ মামলা চলছে। যদিও একের পর এক শুনানির ডেট আসছে কিন্তু বিভিন্ন কারণে শুনানির ডেট পিছিয়ে যাওয়ার ফলে ডিএ মামলার শুনানি এখনো স্থগিত হয়ে রয়েছে।
DA Hike – মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ এবং অন্যান্য ভাতা একের পর এক বৃদ্ধি করে চলেছেন। তার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পার্থক্য বেশ অনেকটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে লোকসভা ভোট চলে যাওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রী তরফ থেকে কোন রকম ডিএ বৃদ্ধি বা DA Hike নিয়ে আশানুরূপ কথা শুনতে পাওয়া যায়নি।
তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী তরফ থেকে আগামী মাসেই ডিএ বৃদ্ধির খবর আসতে চলেছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই মহার্ঘভাতা বৃদ্ধি বা DA Hike এবং বকেয়া টাকা নিয়ে একটা বৈঠক হবে এমনটা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। বৈঠকে আলোচনা করা হবে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা বর্তমানে কেমন চলছে সেই ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হলে ডিএ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
কত শতাংশ ডিএ দেওয়া হবে এবং কবে দেওয়া হবে সেই সম্পর্ক আলোচনা করা হবে। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নন-গেজেটেড কর্মচারী এবং শিক্ষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করে তাদের অসুবিধার কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতির সঙ্গে জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীদের সমস্ত রকম দাবি মেনে নেওয়া হবে তবে তা বিবেচনা সাপেক্ষ।
বৈঠকে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং রাজ্যের বর্তমান অবস্থার পর্যালোচনা করেই একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী মাসেই কোন ভালো ফল পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আর এই বিষয়ে কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু আরও জানান যে রাজ্যের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য তাই তাদের দাবির দেওয়া মিটিয়ে দেওয়াটাই রাজ্য সরকারের প্রধান কাজ।
তবে রাজ্য সরকার কর্মচারীরাও রাজ্য সরকারের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে থাকলে আগামী ভবিষ্যৎটা অনেকটাই সুদৃঢ় হবে। তবে এখন কেন ডিএ বাড়াতে পারছেন না সরকার কিংবা বকেয়া টাকা দিতে পারছেন না তার সম্পূর্ণ দোষ চাপিয়েছেন পূর্ববর্তী সরকারের ঘাড়ে। বর্তমানে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী তিনি বলছেন পূর্ববর্তী বিজেপি সরকার কর্মচারীদের ডিএ এর টাকা আটকে দিয়েছিল (DA Hike).
তাও তিনি ৭ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েছেন। তাছাড়াও ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকল পেনশনভোগীদের পুরো বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদি পূর্ববর্তী সরকার সেই সময়েই ডিএ বৃদ্ধি বা DA Hike এবং বকেয়া টাকা মিটিয়ে যেতেন তাহলে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর ওপরে ১০,০০০ কোটি টাকার বাড়তি বোঝা চাপতো না। বর্তমানে রাজ্যে কোষাগরে অবস্থা খুবই খারাপ।
আরও পড়ুন, সমস্ত বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে সরকারি কর্মীদের! মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা
তবুও মুখ্যমন্ত্রী করছেন রাজ্য সরকার কর্মচারীদের দাবি দাওয়া মিটানোর জন্য। সেই সাথে কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের উপরে আর্থিক বিধি নিষেধ আরোপ করেছেন এবং যাতে পুরনো পেনশন প্রকল্প চালু করা হয় সে ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন আগামী মাসেই বৈঠক করে বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক অবস্থার বিচার বিবেচনা করে কর্মচারীদের যতটুকু পারা যায় দাবি দাওয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।
সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে আগামী মাসেই রাজ্য সরকার কর্মচারীদের অনেকটাই আশা পূরণ হতে চলেছে। তবে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনো রকম আশা পূরণ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আগামী শুনানি ডেটের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের। এমন আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য চোখ রাখুন এই পেজে।
Written by Shampa Debnath.