Conjunctivitis – “জয় বাংলা” তে ধুঁকছে বাংলা, সংক্রমণ এড়াতে কি কি করনীয়, দেখেনিন এক নজরে।

Conjunctivitis – হু হু করে ছড়াচ্ছে “জয় বাংলা” বাঁচতে হলে কি করবেন জানুন।

বর্ষাকাল এলেই দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে নানান সংক্রমণ, জ্বর, সর্দি কাশি এবং পেটের রোগ। তাদের মাধ্যে অন্যতম হল “জয় বাংলা” (Conjunctivitis). সঙ্গে মশা বাহিনীর আক্রমণে ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়ার উৎপাত তো লেগেই থাকে। কিন্তু এবারের বর্ষায় হানা দিয়েছে এমন এক ব্যাধি যা রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে রীতিমত দেশবাসীর। এই রোগের নাম কনজাংটিভাইটিস এবং বাংলায় এটি ” জয় বাংলা” রোগ নামে কুখ্যাত হয়েছে। অদ্ভুত এই রোগটি আক্রমণ করছে চোখে যার জন্য অসুখটি “চোখ ওঠা” নামেও পরিচিত হয়েছে।

Advertisement

টাকা তো কামাচ্ছেন, জমাতে কি পারছেন? জেনে নিন টাকা সঞ্চয়ের কিছু টিপস।

রোগের উপসর্গ (Conjunctivitis) –
এই রোগের সংক্রমণে কটকটে লাল বর্ণ ধারণ করছে চোখের রঙ। সেইসঙ্গে দেখা দিচ্ছে তিব্র চোখ জ্বলুনি এবং অনবরত চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়া। প্রাথমিক ভাবে এইসকল উপসর্গ তেই চিহ্নিত হচ্ছে “জয় বাংলা”। ইতিমধ্যে, পশ্চিবঙ্গ সহ ভারতবর্ষের বেশিরভাগ রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই দুর্বিষহ রোগটি। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই এই রোগের কবলে পড়েছ

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কনজাংটিভাইটিস রোগটি (Conjunctivitis) বহু আগে থেকেই অস্তিত্ব বজায় রেখে চলেছে, তাই বর্ষাকালে এর উৎপাত নতুন নয়। প্রতিবছরেই বহু মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেn এই রোগে। তবে, এই বছরের বর্ষায় যেনো আরও বড়ো আকার নিয়ে ফিরে এসেছে রোগটি। কারণ এর আগে মাত্র ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই সেরে যেত কনজাংটিভাইটিস , যা এখন সারতে বেশ কয়েক দিন থেকে একসপ্তাহ পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে।

এমনকি চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়াটাই চিকিৎসকদের পরামর্শ ছিল প্রাথমিক পর্যায়ে। কিন্তু এই বছর এমন ভয়াল আকার ধারণ করেছে রোগটি যে হাসপাতালে পর্যন্ত ছুটতে হচ্ছে মানুষকে। রোগীদের থেকে তথ্যে জানা যাচ্ছে, অসম্ভব পরিমাণে চোখে যন্ত্রণা অনুভূত হচ্ছে এবং বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই তা সহ্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোটদের পাশাপাশি ভুক্তভুগী হচ্ছেন বড়রাও।

বিশেষজ্ঞ দের মতে, সাধারনত বাচ্চাদের চোখেই প্রথমে সংক্রমিত হয় এই কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) এবং তারপর সেখান থেকে বড়দের দেহে সংক্রমিত হচ্ছে এই রোগ। তবে এবার কনজাংটিভাইটিস এর সাথে একযোগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। তাই জন্য এবছর, চোখের লালবর্ণ ধরনের পাশাপাশি তীব্র যন্ত্রণা শুরু হচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের দৌলতে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, আগস্ট মাসেই।

কতদিনে সারতে পারে “জয় বাংলা”
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীদের চোখ বীভৎস রকমভাবে ফুলে যাচ্ছে , সেই সঙ্গে শুরু হচ্ছে চোখে থেকে অনবরত জল পড়া। কেউ কেউ আবার গায়ে হালকা থেকে মাঝারি জ্বর অনুভব করছেন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য, ছোটদের এই রোগ সেরে যাচ্ছে ৩-৪ দিনের অন্তরেই। কিন্তু বড়দের এই রোগ সহজে সারছে না, সম্পুর্ণ সুস্থ হতে দুই সপ্তাহ সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে দেশবাসীর।

রোগ সংক্রমণে কি করণীয়
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, কনজাংটিভাইটিস (Conjunctivitis) এর উপসর্গ দেখা দিলে ব্যবহার করা যাবেনা পরিবারের অন্য সদস্য দের তোয়ালে। সেইসঙ্গে নিজের ব্যবহারের জিনিসও সম্পূর্ণ আলাদা জায়গায় রাখতে হবে। অতি সংক্রামক এই রোগ খুব সুক্ষ থেকে সূক্ষ্ম জিনিসের মধ্যে দিয়ে এক শরীর অন্য শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এরসঙ্গে, ভিড় জায়গা এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই বর্ষাকালে, হাত ভালো করে না ধুয়ে চোখে দেওয়া উচিত নয়। এরসঙ্গে সতর্ক হতে হবে নিজের বাসন, পোশাক এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ব্যবহারের সময়। এর কারণ, বর্ষাকালে সব জিনিসের মধ্যে জলীয় কনা থাকার কারণে আদ্রতা লক্ষ করা যায় বেশি, যার জন্য সংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। কনজাংটিভাইটিস ও ঠিক একইরকম ভাবে বাসা বেধে চলেছে মানব শরীরে। পাশাপাশি , দুর থেকে কথা বলার অভ্যাস করতে হবে সংক্রমণ এড়াতে।


এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকেরা প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই, পরিষ্কার ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে হবে রোজ। আমলকী, বাদাম, দুধ জাতীয় জিনিসে প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা দেহের ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই খাবার গুলো গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button