দীর্ঘ ছয় বছর ধরে চলছে এই DA মামলা। কিন্তু কোন আশার আলো এখনও দেখতে পারছেন না পশ্চিমবঙ্গের সরকারী কর্মচারীরা। কবে মুখ্যমন্ত্রী আদেশ দেবেন বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দেওয়া, সেই অপেক্ষা তে দিন গুনছেন রাজ্যের ১০ লক্ষ সরকারী কর্মচারী। কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী ১৬ জানুয়ারি ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে শুনানি হতে চলেছে।
DA নিয়ে কি জানানো হল দেখুন।
আর কলকাতা হাইকোর্টের মতই দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও কর্মীদের জয় নিশ্চিত। কলকাতা হাইকোর্ট চলতি বছরের মে মাসে রাজ্য সরকারের দাবি খারিজ করে কর্মীদের পক্ষে রায় ঘোষণা করে ও ৩ মাসের মধ্যে সকল বকেয়া DA মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই নির্দেশ মানতে চায়নি রাজ্য। তারা রিভিউ পিটিশন দায়ের করে আদালতে কিন্তু এই আবেদন খারিজ করে নিজেদের পূর্বের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট।
এর পরেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় সরকার। এখন তারা গিয়ে পৌঁছেছেন সুপ্রিম কোর্টের দরজায়। তাদের বক্তব্য কর্মীদের কোন DA বকেয়া নেই! এই দাবি অন্যায্য। এছাড়াও রাজ্যের কোষাগারের হাল খুবই খারাপ, এমন অবস্থায় Dearness Allowance দিলে নিজেদের প্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করে দিতে হবে। এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন কর্মচারী সহ বিরোধী দলের নেতারা।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত। স্বস্তি কর্মী মহলে।
তাদের কথা অনুসারে, ভোটে জেতার জন্য একাধিক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প চালু করেছে সরকার সেই টাকা কোথা থেকে আসে? অক্টোবর মাসে এক দুর্গা পূজার উদ্বোধনে গিয়ে তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে স্বীকার করে নিয়েছিলেন রাজ্যের কোষাগারের হাল নিয়ে। তার কথা “আমার রাতে ঘুম আসে না টাকার কথা চিন্তা করলে”। এছাড়াও রাজ্যের মুখ্যসচিব এর গলায় একই সুর শোনা গেছে।
কিন্তু নিজেদের ন্যায্য পাওনা DA না পাওয়া অব্দি শান্তির নিশ্বাস না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সকল রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা। কিছু দিন আগে বিধানসভা অভিযানের সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য। এই অভিযানে গিয়ে ৪৬ জন গ্রেফতার হয়েছেন ও অনেকে কামড় খেয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কর্মীরা DA র জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের মধ্যে আরেকটি বাঙালি রাজ্য ত্রিপুরা।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী সকল কর্মচারীদের DA ১২% বারিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে এই মহার্ঘ ভাতার পরিমাণ ২০% গিয়ে পৌঁছেছে। ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ১ লক্ষ সরকারী কর্মী ও ৮০ হাজার পেনশনভোগীরা এই সুবিধা পেয়ে থাকবেন। এই খবর সামনে আসতেই যেন “কাটা গায়ে নুনের ছিটে” এই প্রবাদ বাক্য মনে পড়ে গেলো পশ্চিমবঙ্গ সরকারী কর্মচারীদের। তাদের কথা ত্রিপুরার মতো একটা ছোট রাজ্যে এই কাজ সম্ভব কিন্তু আমাদের রাজ্যে এখনও ঘুমিয়ে রয়েছে।
এই DA নিয়ে সরকারী কর্মী ও সরকারের মধ্যে শীতের মরশুমেও উত্তাপ বেড়েই চলেছে। ২০২৩ পড়লেই পঞ্চায়েত ভোট। সরকারের ওপরে যাতে জনগনের বিশ্বাস বজায় থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য ময়দানে নামলেন স্বয়ং অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তার বক্তব্য – আমরা নিজেদের কর্মচারীদের সুরক্ষার প্রতি দায়বদ্ধ।
আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন, ঠিক কোন সমাধানের পথ সামনে আসবে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন ২০১১ সালের মে মাসে ক্ষমতায় আসার পরই ষষ্ঠ বেতন কমিশনকে আমাদের রাজ্যে মঞ্জুর করা হয়েছিল এবং মূল বেতন ও DA মিলিয়ে সকলের মাইনে ১২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। যা কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের DA র থেকেও বেশি।
ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সেরা উপায়। মাসে আয় করুন কমপক্ষে 30 হাজার টাকা।
কোন ধরনের গুজবে কান দেবেন না ও শান্তি বজায় রাখুন এই বলে নিজের কথা শেষ করেন অর্থমন্ত্রী।
এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের মত নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। পছন্দ হলে শেয়ার ও সাবসক্রাইব করুন। সঙ্গে থাকুন এই ধরনের আরও খবরের আপডেট পাওয়ার জন্য।